হোগার পিঠা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো খুবই লোভনীয় সুস্বাদু হোগার পিঠা রেসিপি।এই রেসিপিটি মূলতো উপজাতিদের। নামটিও উপজাতিদের দেয়া নাম। উপজাতিরা খুবই সুন্দর সুন্দর পিঠা বানাতে পারে এবং খুবই সুস্বাদু। বিন্নি ধানের লোভনীয় সব পিঠা বানায় ওনারা।আমি খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং বিকেলে ওনাদের পিঠা খেতে গিয়েছি।খুবই সুন্দর ও পরিপাটি করে রাস্তার ধারে নানান রকমের পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে থাকে।এই হোগার পিঠা বিন্নি ধানের চালের গুড়ি দিয়ে ওনারা বানায়।যেহেতু আমাদের এদিকে বিন্নি ধানের চাল ওচালের গুড়ি পাওয়া যায় না তাই আমি আমাদের স্থানীয় আতোপ চালের গুড়ি দিয়ে বানিয়েছি এই মজাদার হোগার পিঠা রেসিপিটি। আমি খেয়েছিলাম এবং ভুলেই গিয়েছিলাম হঠাৎ একদিন ফেসবুকে সামনে আসে এক উপজাতি দিদির পেজের হোগার পিঠা রেসিপিটি এবং তখনি ভেবে নিলাম বানিয়ে খাবো।যেহেতু বানিয়ে খাবো তাই ভাবলাম ফটোগ্রাফি করে নেই তাহলে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারবো।
তো চলুন দেখা যাক মজাদার পিঠা রেসিপিটি কেমন।
চালের গুড়ি |
---|
খেজুরের গুড় |
কলা পাতা |
নারিকেল কোড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কলাপাতা কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি। আমি গোটা কলাপাতা কেটে এনে কিছু সময় রোদে শুখিয়ে নিয়েছিলাম। রোদে শুঁখানোর ফলে কলা পাতা নরম হয়ে গিয়েছিলো আর সেই কলাপাতা দিয়ে হোগা বানাতে খুবই সুবিধা হয়।কলাপাতার এই হোগাটির নামকরণ অনুয়ায়ী পিঠার নাম হোগার পিঠা।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর চালের গুড়ি নিয়েছি ও তাতে উষ্ণ গরম জল দিয়ে মেখে নিয়েছি। যেমন করে ভাপা পিঠার জন্য চালের গুড়ি তৈরি করে নেয়া হয় ঠিক সেই পদ্ধতিতেই চালের গুড়ি পিঠার জন্য তৈরি করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন নারিকেল দু পদ্ধতিতে কুড়িয়ে নিয়েছি প্রথমে নারকেল কুড়ুনি দিয়ে নারিকেল কুঁড়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন লম্বা আকৃতির করে কুড়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আগে থেকে ধুয়ে রাখা কলাপাতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হোগা গুলো একে একে বানিয়ে নিয়েছি এবং নারিল শলা দিয়ে আটকে দিয়েছি যেমন করে আমরা ওরনা বা শাড়িতে পিনআপ করি ঠিক সেভাবে।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আগে থেকে পিঠার জন্য তৈরি করে রাখা চালের গুড়ি কলাপাতার হোগার ভিতেরে দিয়েছি ও তারপর নারিকেল কোড়া দিয়েছি তারপর আবার চালের গুড়ি তার উপরে গুড় এবং তার উপরে লম্বা আকৃতির নারিকেল কোড়া গুলো দিয়েছি। একের পর এক স্তরে স্তরে সব উপকরণ দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন রাইস কুকারে জল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও তাতে পিঠা গুলো দিয়ে পনেরো মিনিটের মতো জ্বাল করে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
হয়ে গেছে এবং কলাপতা গুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে পিঠা গুলে হয়ে গেছে এখন ঢাকা খুলে দিয়েছি ও রাইস কুকারে সুইস বন্ধ করে দিয়েছি।
নমব ধাপ
গরম গরম পরিবেশ করেছি মজাদার পিঠা গুলো।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার চমৎকার স্বাদের হোগার পিঠা রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আজকে আপনি হোগার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও এর আগে আমি কখনও এই পিঠার নাম শুনিনি এবং এই পিঠাও কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পিঠা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য।
এই পিঠা উপজাতিদের নামের পিঠা সেজন্য নাম হয়তো শোনেননি।খেতে অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হোগার পিঠা রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আমার কাছে হোগার পিঠা রেসিপি টি একটি নতুন রেসিপি মনে হচ্ছে। আসলে আজকে আপনার মাধ্যমে নতুন একটি পিঠা রেসিপির সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আপনার হাতে তৈরি করা হোগার পিঠা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক মজাদার পিঠাটি।
হ্যাঁ পাহাড়ি উপজাতিদের ব্লগে একদিন এই পিঠা রেসিপি তৈরি করার মাধ্যম দেখেছিলাম। আজকে আবার এই রেসিপিটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সেটা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি। ইউনিক এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা খুবই হাস্যকর,😅কারণ এটা আমাদের এলাকায় এই নামে কখনো কোনো জিনিসের নাম শুনিনি!ইদানিং ফেসবুককে প্রায় সময় উপজাতিদের ভিডিওতেই পিঠা দেখা যায় তাতেই বুঝতে পেরেছি এটা উপজাতিদের জনপ্রিয় একটি পিঠা।তুমি যেহেতু খাগড়াছড়িতে উপজাতিদের সাথে বেশ উঠাবসা করেছো তাই তোমার জানার কথা।নাম যেমনই হোক না কেন দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ উপজাতিদের এই পিঠা। দেখতে যেমন সুন্দর খেতে তেমনি সুস্বাদু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এই ধরনের পিঠার নাম আমি আগে কখনো শুনি নি। তবে আপনার পিঠা দেখে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি । পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া বেশ সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
পিঠার নাম প্রথম জেনেছেন আমার পোস্টের মাধ্যমে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।