আমড়া মাখা রেসিপি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমড়া মাখা রেসিপি ভাগ করে নেবো।আমরা মাখা খেতে আমার মেয়ে ভীষণ ভালোবাসে।আমড়া ওলা আমড়া ভীষণ লোভনীয় করে মাখিয়ে দেয় যা ভীষণ মজা হয়।আমাড়ায় অনেক ভিটামিন। আমরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেও ওজন কমাতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আমরা বার্ধক্যকে প্রতিহত করেও কোমল দেখায়। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আমড়া নানা ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে।আমড়ার চাটনহ,আমড়ায় আচার,আমড়ার টক ও এভাবে আমড়া মাখা।দারুণ লাগে খেতে আমড়া।আজক যে আমড়া মাখা করেছি এগুলো বাড়ির গাছের আমড়া তবে আমার গাছের নয় আমার গাছে ফুল এসেছে এবং যে আমড়া ছিলো তা মেয়ে ছিড়ে খেয়ে ফেলেছে। আমার কাকা শ্বশুড়ের গাছের আমড়া এগুলো।মেয়েকে দিয়েছে সে মাঝে মাঝেই আমড়া ওদের বাড়ি থেকে এনে খায়।আমাদের সবার বাড়িতেই কলমের আমড়া গাছ লাগানো আছে উঠানে।গাছ মাটির সাথে কথা বলে কিন্তুু আমড়া ধরে প্রচুর।তাও আবার সারা বছর ধরে।বারোমাসি আমড়ার গাছ এগুলো।
তো চলুন দেখা যাক কেমন ছিলো আমড়া রেসিপিটি।
১.আমড়া | চারটি |
---|---|
২.সরিষা বাটা | এক টেবিল চামুচ |
৩.লবন | এক চা চামুচ |
৪.হলুদ | হাফ টেবিল চামুচ |
৫.সরিষার তেল পরিমাণ মতো | |
৬.মরিচের গুড়া | হাফ টেবিল চামুচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমড়া গুলো ধুয়ে নিয়েছিও খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কেটে নিয়েছি ও তাতে লবন,হলুদ সরিষার তেল,মরিচের গুড়া দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
সব উপকরণ সহ আমড়া গুলো মেখে নিয়েছি খুব সুন্দর করে।
চতুর্থ ধাপ
মাখা হয়ে গেছে তাই পরিবেশ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের লোভনীয় জিভে জল আসার মতো আমড়া মাখা রেসিপি।আসা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
আমড়া মাখা আমার খুব পছন্দের। সত্যিই আমড়া মাখা খেতে খুবই দারুণ। বাসায় যখন আমার আপু আসতো তখন বেশ আমড়া মাখা তৈরি করতো। আপনার আমড়া মাখা রেসিপি খুব অসাধারণ হয়েছে। আমড়া মাখা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এইতো সুন্দর লোভনীয় রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাসায় আপু আসলে এভাবে আমড়া মাখানো জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
এভাবে আমড়া মাখা করলে কারো না খেতে ইচ্ছা করবে।দেখেই তো আমার জিভেতে জল চলে এসেছে।মাঝেমধ্যেই বিকেল বেলায় এভাবে আমড়া মাখিয়ে খাওয়া হয়। বেশ মজা লাগে আমার কাছে।এত সুন্দর ভাবে মজা করে আমড়া মাখানোর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমড়া মাখা খেতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। তবে সরিষা বাটা দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। তবে এখন মাখিয়ে খাব এখানে আমড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমড়া মাখা কাসুন্দি দিয়ে মাখালে ভালো লাগে বেশি কিন্তুু আমার ঘরে কাসুন্দি ছিলো না জন্য সরিষাবাটা দিয়ে মেখেছি। সরিষাবাটা দিয়ে চমৎকার লাগে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে আমড়া মাখা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশি শুধু হবে। এমনিতে আমড়া মাখা রেসিপির নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জিভে জল আসার মতোই রেসিপি ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
আপনার আমড়া মাখা এতটাই লোভনীয় হয়েছে যা দেখেই আমার জিভে জল চলে আসলো। অনেকদিন হলো এরকম করে আমড়া বা অন্য যে কোন কিছু খাওয়া হয়নি। তবে এরকমভাবে মাখিয়ে খেলে কিন্তু দারুণ লাগে। আমড়া মাখা তৈরি করার প্রসেস সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে বেজায় ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
দিদি কি রেসিপি দেখাইলেন জিভে জল এসে গেলো শেষ কবে এভাবে নিজের হাতে আমরা মেখিয়ে খেয়েছি মনে নেই।অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় একটি রেসিপি করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জিভে জল আসার মতোই আমড়া মাখা গুলো ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
কিছুদিন আগে আমি আমাদের গাছ থেকে পেরেছিলাম এবং এভাবে মাখিয়ে খেয়ে ছিলাম। আমড়া আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর রেসিপি, দেখে জীবিত জল চলে আসলো।
আপনি গাছ থেকে আমড়া পেয়েছেন এবং এভাবে মেখে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
ধর্মে সইবে এরকম ব্লগ করলে? লোভনীয় খাবারদাবার তাও আবার চটপটা খাবার বানিয়ে লোভ দেখায়। আমি আবার চিন্তা করছি ডায়েট করার। কিন্তু এইসব দেখে তো ডায়েট মাথায় উঠে যাবে। পড়তে পড়তেই জিভে জল এসে গেছে ভাই। না জানি খেতে কত ভালো হয়েছিল।
হাহা আমারও তোমার মতো অবস্থা লোভনীয় কোন রেসিপি দেখলেই খেতে মন চায় তখনি😄।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছো জন্য।
আমড়া মাখানো দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। আমড়া মাখা আমার খুবই পছন্দের। আমড়া ফলটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি দেখে। জিভে জল চলে আসলো। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আমড়া আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।এরকম লোভনীয় আমড়া মাখা দেখলে লোভ না লেগে কি পাড়া যায়।বিভিন্ন ট্রেন বা বাসে করে লোকেরা আমড়া মাখা বিক্রি করে তবে বাড়িতে তৈরি করে আমড়া মাখা খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।