বেড়ানো | তাজহাট জমিদার বাড়ি | রংপুর, বাংলাদেশ (১ম পর্ব) | ১০% @btm-school
রংপুর শহরে দর্শণার্থীদের জন্য যতগুলো বেড়ানোর জায়গা রয়েছে তারমধ্যে তাজহাট জমিদার বাড়ি অন্যতম। আকর্ষণীয় ডিজাইনের মুঘল স্থাপত্যশৈলী বাড়িটিকে করেছে অনন্য। পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা এবং মুঘল আমলের যতগুলো নিদর্শন রয়েছে, সেগুলোর সাথে এই ভবনের স্থাপত্যশৈলীর সাদৃশ্য রয়েছে। এটা রংপুর তথা বাংলাদেশের একটা ঐতিহাসিক স্থান। জায়গাটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সাল থেকে তাজহাট জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বিবেচনায় ভবনটিকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর হিসেবে পরিচালনা করে আসছে।
ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তৎকালীন মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায়ের তত্ত্বাবধানে এই দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদটি নির্মিত হয়। সেসময় এই প্রাসাদ বানাতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। মহারাজা গোপাল রায় ছিলেন হিন্দু এবং পেশায় ছিলেন একজন স্বর্ণকার। তিনি সবসময় মাথার উপর একটা তাজ বা মুকুট পরে রাখতেন। কথিত আছে, তার বিখ্যাত সেই তাজ বা মুকুটের কারণেই পরবর্তীতে এই এলাকাটির নামকরণ তাজহাট হয়েছিল। সেই থেকে সারাদেশের মানুষ এই বাড়িটিকে তাজহাট জমিদার বাড়ি হিসাবেই চিনে আসছে।
তাজহাট জমিদার বাড়িতে যেতে হলে রংপুর শহরের যেকোনো জায়গা থেকে রিক্সা বা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে যেতে পারবেন, ভাড়া নিবে ৩০-৫০ টাকার মধ্যে। রংপুর শহরের কাছাকাছি রংপুর-কুড়িগ্রাম হাইওয়ের পাশে তাজহাট মোড় থেকে হাতের বামে তাজহাট রোড ধরে এগিয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন তাজহাট জমিদার বাড়ি। রাস্তার পাশেই জমিদার বাড়ির সাইনবোর্ড সম্বলিত বড় গেট। গেটের ডানপাশে ভেতরে প্রবেশের জন্য টিকিট কাউন্টার। সেখান থেকে পারহেড ২০/- টাকা করে টিকিট কিনে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন।
আজ এই পর্যন্তই, আগামী এবং শেষ পর্বে আপনারা রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। খুব শীঘ্রই বাকি পর্ব নিয়ে হাজির হবো আপনার সামনে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া সিঁড়িতে উঠা নিষেধ কেন ?
সিঁড়িটা সেভাবে মেইনটেইন করা হয়না, জং বা মরিচা পড়ে নাট-বোল্ট ক্ষয়ে গেছে, কেউ উঠতে গিয়ে যদি দূর্ঘটনার শিকার হয়, সেজন্য ওটাতে উঠা নিষেধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্মন্ধে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
দেখেই বোঝা যাই কেন এটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত।
দেখতে অনেকটাই আমাদের হাজারদুয়ারীর মতো লাগছে।
সত্যিই তখনকার কারিগরদের হাতে জাদু ছিল।
জী হ্যাঁ দাদা।
তখনকার কারিগরদের কাজ ছিল খুবই নিখুঁত।
পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এটা দেখি এক সময় সুপ্রিম কোর্টও ছিল। আর কি সুন্দর ভাবে নিমার্ন করেছেন। আর পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটা ঐতিহাসিক জায়গার সাথে পরিচিত হলাম।
ধন্যবাদ রোমেন, পুরোটা পড়ার জন্য।
আসলে স্টিমিট অনেক মজার একটা প্লাটফর্ম। এখানে অনেক কিছু জানা যায়।
হ্যাঁ, অনেক কিছু জানার আছে শেখার আছে এখানে।
লেগে থাকুন, নিয়মিত একটিভ থাকুন।
ধন্যবাদ।