গুরুত্ব পর্ব -২।। "বাংলায় তারার মেলা "।।১০% @btm-school
প্রথমেই নমস্কার জানায় সবাইকে।
কি খবর আপনাদের সবার ?ভালো আছেন তো সবাই ? আমিও অনেক ভালো আছি।
আজ আমি আবার হাজির হয়েছি গুরুত্ব গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
আমরা সবাই জানি মানুষ যদি কোনো কিছু থেকে অনেক বড় আঘাত পায় বা সে যাকে মন থেকে ভালো বাসে আর তাকে যদি সে না পাই তাহলে তার জীবনের উদ্দশ্য টায় যেন বদলে যায়। ঠিক এমনি হয়েছিল আকাশের সাথে। সেদিন ইউনিভার্সিটি থেকে আকাশ ওই ঘটনার পর অনেক দুঃখের সাথে বেরিয়ে আসে। আমরা সবাই হয়তো জানি মানুষ যখন খুব গভীর ভাবে মনে আঘাত পাই তখন সে তার নিজের কন্ট্রোল নিজেই হারিয়ে ফেলে। আকাশ এর সাথেও তার বিপরীত হয়নি। সেই ঘটনার পর থেকে আকাশ বেশিরভাগ সময় একা একাই সময় কাটাতে থাকে । কারোর সাথেই সে ভালো ভাবে কথা বলতো না এমন কি তার বাবা মা এর সাথেও ঠিক ভাবে কথা বলতো না আকাশ। প্রতিদিন ইউনিভার্সিটি তে ক্লাস করতো আর বেরিয়ে আসতো। নন্দিনীর ধারের কাছেও সে আর যাবার চেষ্টা করতো না কখনো । মনে একরাশ দুঃখ নিয়ে থাকতো সারাদিন সে। এমন করে আকাশ তার নিজের জীবনের লক্ষ্য, তার নিজের জীবনের সব স্বপ্ন যেনো একে একে ধুলোয় মিশিয়ে ফেলছিল। আকাশের এমন আচরণ কিছু দিন ধরেই তার বন্ধু লক্ষ করতে থাকে কিন্তু সে তাকে কিছু বলে না কারণ সে ভাবে আস্তে আস্তে হয়তো আকাশ আবার আগের মত হয়ে যাবে। কিন্তু হিতে বিপরীত হতে দেখে আকাশের বন্ধু তাকে উস্কানি মূলক কথা বলতে থাকে (তুই কোনো কাজের না, তোর জীবনে কিছু হবে না , তুই জীবনেও ভালো গায়ক হতে পারবি না) যাতে আকাশ আবার আগের মত হাসি খুশি হয়ে যায়। আকাশের মনের মধ্যে ধীরে ধীরে অনুভূতি হয় যে সে যেটা করছে সেটা কি আদেতেও ঠিক করছে।
কোনো একজনের জন্য নিজের জীবনের সমস্ত সপ্ন এই ভাবে একে একে শেষ করে দেওয়া কি তার ঠিক হচ্ছে। আকাশ এখন ঠিক করে সে আবার নতুন ভাবে সব শুরু করবে। সে আবারও আরো ডেডিকেশন এর সাথে সিংগিং শুরু করে। ধীরে ধীরে সে গান গাওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হতে থাকে। সে এখন একজন সোসিয়াল মিডিয়া সেনসেশন। ইউনিভার্সিটির সবাই তাকে এক নামে এখন চেনে । যারা আগে তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো তারাও এখন তার সাতে সেলফি তোলার জন্য তার পিছু পিছু ছোটাছুটি করে ।
একদিন ইউনিভার্সিটির এক মিউজিক পোগ্রামে আকাশের আবার নন্দিনীর সাথে দেখা হয় ।
দুজন, দুজন কে খালি এক দৃষ্টিতে দেখে যায় কিন্তু কেউ কারোর সাথে কথা বলে না।
আকাশ দেখতে পাই যে নন্দিনী তাকে দেখে আগে এত হাসাহাসি করতো সে এখন একদমই চুপচাপ। তার মুখের ভাব অনেক টায় বদলে গেছে। এখন তার মুখের ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে ভালোবাসার ছোঁয়া। আকাশ নন্দিনীর সাথে কথা বলার জন্য কিছুটা এগিয়ে যাই কিন্তু তখনি আগে ঘটে যাওয়া নিজের অপমান কথা ভেবে সে পিছিয়ে আসে।
এবং তার পর থেকে আর কোনো দিন আকাশের সাথে নন্দিনীর দেখা হয়নি।
তাই জন্যই মানুষটা থাকতে মানুষের গুরুত্ব দিন, মানুষটা হারিয়ে গেলে হয়তো মানুষটাকে খুঁজে পাবেন 'কিন্তু' আগের সেই মানুষটাকে আর পাবেন না।
নন্দিনীর কি আকাশের জন্য কোনো রকমের ফিলিং ছিল ? গুরুত্ব এর পরের পর্বে আমরা দেখতে পাবো নন্দিনীর কাহিনী।
ধন্যবাদ।
আকাশের সফলতা দেখে ফিলিংস হচ্ছে নন্দিনির এইটা তার ভালোবাসা না ভালোবাসা হলে সে আগেই সুযোগ দিতো তাকে
ওরে বাবা রে কত এক্সপিরিয়েন্স 😂কত সহজেই আপনি বুঝে গেলেন কি হয়েছে।
সত্যি আপনি অনেক ট্যালেন্টেড ।
কাহিনী ভালোই এগিয়ে চলছে দেখলাম।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি!
পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতড়ি আসবে।
যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পটা পরে অনেক ভালো লাগলো , ভাবতেই পারিনি এত সুন্দর লিখতে পারিস ভাই। গল্পটা পরে মনে হচ্ছে বাস্তব কাহিনী।
আচ্ছা তাইনাকি।
যাই হোক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যদি ফিলিংস থাকতো তাহলে সেটা আগে প্রকাশ করত।কিন্তু এখন যে ফিলিংস সেটা তার সফলতা দেখে এবং এটা সাময়িক
এমন নিত্য নতুন কাহিনি সবসময় চাই।