কোলকাতার হাওড়া ব্রিজ ঘুরে আসলাম | 10% @btm-school
এটি কোলকাতা হাওড়া ব্রিজ, এটি প্রকৌশল বিদ্যার এক আশ্চর্য সৃষ্টি। অনকে ছোট বেলা থেকেই এই ব্রিজ দেখার ইচ্ছে ছিল, এবার সেই ইচ্ছে কোলকাতা গিয়ে পূরণ করে আসলাম। এই ব্রিজটি সেতু প্রকৌশল ও প্রযুক্তির অন্যতম নিদর্শন। কোলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য হুগলি নদীর উপর সরকারি অর্থায়নে এই ব্রিজটি ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল ও গমনাগমনের জন্য পথ তৈরি ও সংরক্ষণ এবং নির্দিষ্ট হারে টোল আদায় করা হয়। এই ব্রিজ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আসা করা যায়, ১,৫২৮ ফুট দীর্ঘ এবং ৬২ ফুট প্রশস্ত ব্রিজটির উভয় পার্শ্বে ৭ ফুট প্রশস্ত পায়ে চলার পথ আছে। যা সাধারণত অন্যান্য ব্রিজের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা থাকে না, তাই এই ব্রিজ দিয়ে হেঁটে আমি আমার ইচ্ছে পূরণ করার সাথে এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি।
প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার ব্র্যাডফোর্ড লেসলের সাথে এই ব্রিজের পরিকল্পনা, নকশা ও বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি সম্পাদন করেছিল। কারিগরি কারণে ব্রিজের কিছু অংশ ইংল্যান্ডে তৈরি হয় এবং জাহাজে করে কোলকাতা নিয়ে এসে তা প্রকল্প স্থানে জুড়ে দেওয়া হয়। ব্রিজটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছিল সেই সময় প্রায় ৬০ লক্ষ রুপি। ১৮৭৯ সালে আগস্ট মাসে ব্রিজটির মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপন করা হয়।
এই ব্রিজের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি ক্যান্টিলিভার ব্রিজ,অর্থাৎ ব্রিজের তলদেশে কোন সাপোর্টে নাই এবং এই ব্রিজ তৈরিতে কোন নাট বল্টু ব্যবহার করা হয় নি। নদীর তলদেশ দিয়ে যাতে সহজেই জাহাজ যাওয়া আসা করতে পারে এই জন্য এটি এভাবে তৈরি। এই হাওড়া ব্রিজ অনেক সিনেমার শুটিং দেখা গিয়েছে, এটি রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত। লক্ষ লক্ষ কর্মব্যস্ত মানুষ এই সেতু প্রতিদিন ব্যবহার করে, এই সেতুটি কোলকাতার প্রাণ এবং কোলকাতার যোযোগাযোগ ব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি ব্রিটিশদের একটা অনেক বড় অবদান ভারতবর্ষ তথা কোলকাতা বাসীর জন্য। বাংলাদেশ থেকে যে কেউ সহজেই হাওড়া ব্রিজে যেতে পারবে, আমি গিয়েছিলাম বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ওপারে যেটা হরিদাসপুর নামে পরিচিত। বর্ডার এর কাজ শেষ করে হরিদাসপুর থেকে ৫০ টাকা দিয়ে অটো ভাড়া করে বনগাঁ স্টেশন যাই, সেখান থেকে রানাঘাট স্টেশন হয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছায়, ট্রেন ভাড়া ছিল মাত্র ২০ টাকা। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নেমে বাসে করে হাওড়া ব্রিজে সরাসরি যাই, বাস ভাড়া ছিল ১০ টাকা।
আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন, একটা নতুন অভিজ্ঞতা হবে।
সবাই ভালো এবং সুস্থ্য থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ভালো হয়েছে লেখাটা অনিক।
এভাবেই নিয়মিত লিখতে থাকেন।
হাওড়া ব্রিজ আমার অনেক প্রিয় একটি জায়গা। হাওড়া ব্রিজে আমার সাথে এক মজাদার কাহিনী হয়েছিল। পরে কোনো একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে কাহিনীটা। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।
যাব একদিন এখনও যাওয়া হল না। পোষ্টটা খুব ভাল হয়েছে অনিক দাদা
অনিক ভাই ধন্যবাদ। নিয়মিত এভাবে লিখে যান।
দারুন লাগলো হাওড়া ব্রিজ পোস্টটি