রোযনামচার পাতা থেকেঃ-০৪||১০%btm-School
মেয়েদের সাংসারিক জীবন
একটা মেয়ের বিয়ের পর তার কাঁধে যে কী পরিমান বুঝা ও দায়িত্ব থাকে, তা কেবল একটা মেয়েই জানে।
বিয়ের পরেই স্বামীর হক,তার মা বাবার হক, ভাই বোনের হক, সর্বোপরি তাঁর সংসার গুছানো দায়িত্ব একটা মেয়ের কাঁধেই পরে।
এসব কিছু মেনেজ করতে গিয়ে একটা মেয়েকে কতটা প্রেশারে থাকতে হয় সেটা বুঝানো দায়।
বিয়ের পর প্রথম কিছু দিন সময়টা একটু ভালোই কাটে সবার, এরপর যখন মেয়েদের বাচ্চা হয় তখন থেকে শুরু হয়ে যায় তাদের সংগ্রাম। তখন ঠিক মতো স্মামীর হক আদায় করা, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দেখা শুনা করা, উনাদের খাবার দাবারের খেয়াল রাখা, বিছানা পত্র গোছিয়ে দেয়া, জামা কাপড় গুলো ধোঁয়া, এসব কিছু তো একা তার হাতেই করতে হয়। তার উপর আবার সন্তানের দেখাশোনা করাটাও।
pixabay
সন্তানের খাবার ঠিক রাখা, তার শরীরের যত্ন নেওয়া, গোসল করানো, ঠিক সময়ে স্কুলে পাঠানো, আবার স্কুল থেকে আসার পর তাকে একটু সময় দেওয়া, বাচ্চাকে খেলতে দেওয়া, এসব তো সব একটা মেয়েকেই করতে হয়।
এতসব কিছুর পরও কিছু কিছু পরিবার আছে তারা মেয়েদের যোগ্য মর্যাদা দেয়।
আবার কিছু কিছু পরিবার আছে তারা মেয়েদের খেলনা মনে করে মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে,
অন্যায় আচরণ করে। আবার অনেকই তো মেয়েদের বাড়ি থেকেই বের করে দেয়।
আফসোস লাগে তাদের জন্য, তারা একটি বারের জন্যও চিন্তা করে না, যে মেয়েরা তাদের চির চেনা আপন মানুষ গুলো কে রেখে তাদের বাড়িকেই আপন করে নেয়।তাদের নিয়েই থাকে একটা মেয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
pixabay
আজ যারা মেয়েদের খেলনা মনে করেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথা বলতে চাই, আপনাদেরও তো বোন ভাগ্নি আছে??
যদি আপনি কোনোদিন শুনেন যে আপনার বোনের সাথে এমন ব্যবহার হচ্ছে, তাহলে আপনি কি করবেন?
সুতরাং সবাই সতর্ক হোন, মেয়েদের যোগ্যমর্যাদা দিতে শিখুন।
মেয়েরাই সংসারের প্রধান, তাদের ছাড়া সংসার অচল। আপনার কথা গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। সামনে আরো এই রকম লেখা দেখবো বলে আশা করছি।
ইনশাল্লাহ ভাই।
সংসারের যাবতীয় কাজ নারীর একার নহে, অবশ্যই তাতে পুরুষেরও হাত লাগানো উচিত। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে সব কাজ ভাগ করে নিলে আর প্রবলেম হয়না। কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ সংসারে দেখা যায় ঘরের যাবতীয় কাজ শুধুমাত্র নারীকেই করতে হয়... এসব কারণে বর্তমান সমাজে এত অশান্তি।
আপনার লেখাগুলো ভাল হচ্ছে।
খুব ভাল একটা পোস্ট কম বেশি সবাই ঘরে মা বোন আছে। এবং মেয়েদের অনেক রকম পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। প্রতিটা সময় যেনো এক এক পরীক্ষা
সুন্দর লিখেছেন
জি কথা গুলা সত্য
ওই মেয়েদের সাথে যারা খারাপ ব্যবহার করে তাদেরকে আল্লাহ হেদায়ত দান করুক আমিন
এবং সবাইকে সঠিক বুঝ বোঝার তোফিক দান করুক আমিন
ইনশাআল্লাহ আমার স্ত্রীকে সঠিক ভাবে মর্যাদা দেবার চেষ্টা করবো সব সময় ইনশাআল্লাহ