হাত ধরে চলতে চলতে নিজের ক্ষমতায় চলার বিশ্বাস টা যেনো হারিয়ে না যায়।
(নীলিমা আমার চোখে আদর্শ নারীর উদাহরণ, অন্যের দয়ায় নয় নিজের মেরুদণ্ডের জোরে ছেলে নিয়ে জীবনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, অপমান কে নয় আত্মমর্যাদা কে প্রাধান্য দিয়ে।)
বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চলছেন!
আচ্ছা, এটা কিন্তু আমাদের সকলের জানা যে, জন্মেই কোনো শিশু নিজের পায়ে দাড়াতে পারে না তাই না?
বেশ কিছু মাস সে, শুয়ে শুয়ে কাটিয়ে দেয়; তারপর শুরু হয় হামাগুড়ির পালা।
তারপর একটু একটু করে দাড়াতে শেখা, এবং কয়েক সেকেন্ড দাড়িয়েই পড়ে যাওয়া।
এই বিভিন্ন স্তর গুলো কেবল একটি শিশুর বৃদ্ধি নয়, এটা আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও একটা বার্তা বহন করে।
সদ্য জন্মানো শিশু কিন্তু নিজের জন্য কিছু ভাবা বা কিছু সিদ্ধান্ত নেবার অবস্থায় থাকে না;
ফলে সেই সময় তাকে সম্পূর্ণ আগলে রেখে মা বাবা বড়ো করেন।
কিন্তু সময় এর সাথে বড়ো হতে হতে সেই আগলে রাখাটা মা বাবা একটু শিথিল করেন কিন্তু চোখে চোখে রাখাটা বন্ধ হয় না।
(আমার বোন এর বান্ধবি, ছলনার স্বীকার কিন্তু বশ্যতা স্বীকার করে নি)
তারপর নিজের পায়ে দাড়াতে গিয়ে অনেকসময় পড়ে গেলেও মা বাবা কতিপয় ধরতে আসেন।
কারণ টা কিন্তু ভালবাসার অভাবে নয়, সাবলম্বী করার তাগিদে।
আবার যেদিন প্রথম স্কুল যাবার দিন আসে, কষ্ট হলেও মা বাবাকে ছেড়ে বেশ কিছু সময় স্কুল এ কাটানোর অভ্যেস করানোটা ও সেই সাবলম্বী করবার তাগিদেই তাঁরা করে থাকেন।
তার অর্থ হলো কোথাও না কোথাও গিয়ে আমাদের জীবন এবং মা বাবার শিক্ষা আমাদের কে বুঝিয়ে দেয়, ভরসা করো;
কিন্তু সেটা যেনো নিজেকে মেরুদণ্ডহীন তৈরি না করে।
নিজের উপর আস্থা এবং বিশ্বাস কখনোই হারালে চলবে না। অন্যের প্রতি নিজেকে নির্ভরশীল না করে দাড়াতে হবে নিজের পায়ে।
নিজের ক্ষমতায় চলা শিখতে হবে, মনোবল যদি নিজের পায়ে প্রথম দাড়ানোর ক্ষেত্রে দেখিয়ে থাকতে পারো;
তাহলে সেই ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেলে কখনোই চলবে না।
(আমার বাড়িতে এসেছিল, নম্রতার আদর্শ উদাহরণ, আমার মেয়ে এবং আমার বোন এর সাথে বিগবাজার ঘুরতে গিয়েছিল, বিনা অপরাধে বিতাড়িত, কিন্তু মাথা নত করেনি)
আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি একা, এবং যাবো একা যত ভালোবাসার মানুষ হোক না কেনো কেউ কিন্তু সঙ্গে যাবে না এই ভেবে যে সে আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না।
কাজেই নিজেকে নিজের প্রতি সন্মান জ্ঞাপন এবং ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু কেবল নিজের।
অন্যের কাছ থেকে এই আশাগুলো করা একদমই বৃথা এবং অবান্তর বলে আমি মনে করি।
কাজেই অবশেষে বলতে চাই, হাত ধরে চলতে চলতে নিজের ক্ষমতায় চলার বিশ্বাস টা যেনো হারিয়ে না যায়।
(দৃঢ়তাই নারীর হাতিয়ার হওয়া উচিত)
বাঁচতে হলে সন্মান , আত্মমর্যাদা, আত্মসম্মানের সাথে বাঁচতে পারাটাই আদর্শ নারীর উদাহরণ। আমার প্রণাম উপরিউক্ত সকল নারীকে যারা কোনো শর্তেই নিজের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেয় নি।
আজ এখানেই ইতি টানলাম, আবার নিজের অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়ে যাবো, ততক্ষণ নিজের প্রতি যত্নশীল থাকবেন এবং নিজের আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতিও।
নমস্কার।🙏❤️
@sonu98 খুব ভালো লিখেছেন।জীবনের কিছু ক্ষেত্রে সত্যিই কঠিন হওয়া প্রয়োজন।
দৃঢ়তায় নারীর হাতিয়ার হওয়া উচিত। সহমত পোষণ করছি।
Kub sundor likhsen. Ami sohomot poson korse.