আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ মাছ ধরার গল্প।
বন্ধুরা,
আশাকরি সবাই সুস্থ্য আছেন এবং সবরকম নিয়ম মেনেই দিন অতিবাহিত করছেন।
যাক আজ আর সেই একঘেঁয়ে করোনা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না এমনিতেই রোজ ওই এক খবর শুনতে শুনতে আর দেখতে দেখতে অস্থির হয়ে উঠেছি।
তাই আজ অন্য একটি মজার বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমি ছোটো থেকেই শান্ত স্বভাবের, লম্ফ ঝম্ফো তে বরাবর ওস্তাদ আমার বোন এবং সেটা আজ ও অব্যাহত আছে।
যাক কিন্তু আজ আমি আমার গল্প বলতেই এসেছি, গল্প মানে ঘটনা।
এবং সেটা অনেক বছর বাদে আজ মাথায় এলো।
তার পিছনের কারণ অবশ্য দুপুরের রান্না।
বুঝতে পারলেন না তো? আজ আসলে আমি বাড়িতে শোল মাছের ঝোল রান্না করেছি।
সেটা রান্না করতে গিয়েই ঘটনাটা চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে গেছিলো আরো একবার।
সেদিনটা ছিল বৃষ্টির দিন, এবং তার পরদিন ছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পূজো।
মা তখন ও আমাদের জীবনে বিরাজ করছিলেন শারীরিক ভাবে।
সময়টা এই ধরুন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার প্রাক্কাল। আমি এবং আমার বোন আমাদের পাড়ার মোড়ে একটি বিস্কুট কারখানা ছিল সেখানে জমা জল দেখবো বলে গেছিলাম।
এদিকে মা এবং বাবা পুজোর বাজার করতে যাবার উদ্যোগে ব্যস্ত ছিলেন।
আমি এবং আমার বোন গিয়ে দাড়াবার অল্প সময়ের মধ্যে মনে হলো কি যেনো পায়ের গোড়ালিতে এসে খোঁচা দিয়ে চলে গেলো!
পিছন ঘুরে দেখছি কিছুই নেই। আমার সামনে ফিরে দুবোন জল যাওয়া দেখছি।
এমন সময় আবার সেই খোঁচা এইবার সঙ্গে সঙ্গে পিছন ঘুরতেই দেখি এক বিশালাকার শোল মাছ জল থেকে বেরিয়ে এসে আমার পায়ে খোঁচা দিচ্ছিল।
সঙ্গে সঙ্গে বোনের দুষ্টু বুদ্ধি, বললো দিদি লাথি মার জলের বিপরীত দিকে! আমিও তখন যেনো কিছুক্ষণের জন্য পেলে হয়ে গেছিলাম।
আমার বোন এর গলা শুনে লোক জন জড়ো হয়ে গেছে কারখানা থেকে বেরিয়ে এসে।
তাদের মধ্যে একটি ছেলে আমাকে বললো মাছের কানকো র মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে মাছটা ধরো নইলে জল এ চলে যাবে।
আমি কি করে সাহস যোগালাম জানিনা কিন্তু শেষ মেশ মাছের কানকো দু দিক দিয়ে ধরে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করলাম।
বিশ্বাস করুন হয়তো সময় টা বেশ কিছু বছর আগের কিন্তু তখন একজন এর খুশির মুহূর্তে পাড়া শুদ্ধ লোক সামিল হতো।
আমার সাথে এবং পিছনে লোক এ লোকারণ্য, দেখলে মনে হবে ইলেকশন জিতে বাড়ি ফিরছি।
বোন ছুটে গিয়ে মা কে খবর দিল, দিদি আজ মাছ ধরেছে।
মা তো কিছুতেই বিশ্বাস করতে রাজি নন; যে,তার শান্ত মেয়ে গোল করে বাড়ি ফিরছে।
যাক আমাদের বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী লক্ষ্মী পুজোর দিন মাছ খেতে হয়।
সেই বার লক্ষ্মী পুজোর দিনটি সেই শোল মাছ দিয়েই নিয়ম রক্ষা হয়েছিল।
না, তারপর আর কোনোদিন কোনো মাছ আমি ধরিনি, ওটাই আমার প্রথম এবং শেষ মাছ ধরা ছিল।
আপনাদের ও নিশ্চই এমন অনেক গল্প আছে, শেয়ার করুন না আমাদের সাথে। আমার তো বেশ ভালো লাগে সবার জীবনের দুষ্টু মিষ্টি গল্প জানতে।
সবার জীবনের কত ঘটনা আছে, সেগুলো জানতে পারলে ভালো লাগবে।
আজ এই পর্যন্তই। আবার চলে আসবো নিজের অন্য কোনো অনুভূতি বা গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে ।
নমস্কার।
@sonu98 বাহ্।বেশ মজার ব্যাপার তো। মাছ টা হয়ত ভেবেছিল আপনি এত সাহসী হতে পারবেন না। কিন্তু বেচারার কপাল খারাপ 😊। আপনার গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।শুভরাত্রি।
ধন্যবাদ @sampabiswas আমার ছেলেবেলার গল্প ভালো লাগার জন্য।
খুব মজা পেলাম। আসলে এই ঘটনা গুলো একটু মজার বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ @hiramoni আপনার মতামত এর জন্য।
very funny incidence.. keep sharing
Thank you @lother68 for your comment 😊
ai rkm mojar ghotona porte and sunte valoi lage .thanks for share this.
ধন্যবাদ @shuvo35 আপনার ভালো লাগার জন্য।