ইউটিউব চ্যানেল মানুষের প্রত্যাশা পূরুনে কতটুকু ভুমিকা রাখছে।

Razu.jpg

আধুনিক বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির এই বিশাল সফলতার যুগে ইউটিউব চ্যালেন নি:সন্দেহাতিত ভাবে মানুষের কল্যানে অগ্রগামী ভুমিকা পালন করেছে।শুরুটা বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকলেও ক্রমান্বয়ে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সহ বর্তমান শিক্ষা থেকে গবেষণা, কিংবা চাষাবাদ থেকে পশুপালন পর্যন্ত সবকিছুই এই ইউটিউব চ্যানেলের কল্যানে মানুষ জেনে থাকে।কি এমন নেই যেটা আপনি ইউটিউব এ সার্চ করলে পাবেন না। আইনি সহায়তা থেকে দৈননন্দিন প্রয়োজনীয় সকল কিছুই আপনি ইউটিউবে পাবেন যার ফলে উপকৃত হচ্ছে মানুষ আর ক্রমান্বয়ে যুগের সাথে আপডেট হচ্ছে।
আজকাল অনেকেই পেশা হিসাবে নিচ্ছেন ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নানান ধরনের ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে যাতে তারা বিভিন্ন স্থানের ভ্রমন দৃশ্যগুলো ধারন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা সহ তুলে ধরছেন ফলে সাধারন মানুষ ঐ স্থানে না যেয়েও্র তার বিস্তারিত কিছু উপভোগ করতে পারছেন।করোনা পেনাডেমিক সময়ে মানুষ বিভিন্ন ইস্যুতে ইউটিউব নির্ভর হয়ে পড়ছেন আগের চেয়ে অধিকতর ভাবে। করোনার ভয়াল থাবার বিভিন্ন স্থানের দৃশ্যাবলি যেমন তাদের সাবধান করেছেন তেমনি বিভিন্ন ভিডিও তে চিকিৎসা সেবাও অনেকেই তুলে ধরেছেন। তারউপর বিভিন্ন ফানি ভিডিও কিংবা টিকটকের মাধ্যেমে মানুষ বিনোদন ও পেয়েছেন।
ইউটিউব চ্যানেল এর সুফল:
ইউটিউব চ্যানেল এর সুফল আমরা প্রতিটা বিষয়ে উপলব্দি করছি। টিন.এজ রা যেমন বিনোদন নিয়ে ব্যাস্ত আছেন বিপরীত দিকে ব্যাস্ত বড়োরা ব্যাস্ত আছেন বিভিন্ন সংবাদ, বিশ্বের নানান প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো জেনে কিংবা মাঝে মধ্যে হারিয়ে যান ছোটবেলার সেই পুরুনো বিনোদনগুলো ভিডিও দেখে। আর
নিতান্তই ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে চান তাদের জন্য রয়েছে নানান ধরনের ধর্মীর আলোছনা সাথে থাকছে মধুর কন্ঠে ধর্মীয় গ্রন্থ তেলাওয়াত। সবচেয়ে বর্তমান এই কর্মব্যাস্ত সময়ে যারা বেশী অবহেলার শিকার হচ্ছেন তারা হলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কর্ণধার শিশুরা । আজকাল ইউটিউবের কল্যানে তারা নানান কিছু শিখছে। সারা বিশ্বের শিশুরা বোঝার চেষ্টা করছে উপহারের তালিকায় কোন খেলনাগুলো তাদের রাখা উচিত। অনেকে হয়তো দোকানের তালিকা দেখে নিচ্ছে, কেউ কেউ হয়তো খেলনার দোকান এবং ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেখে খেলনা বাছাই করার চেষ্টা করছে। আর অনেক শিশু ইন্টারনেটে নানা খেলনার বাক্স খোলা থেকে শুরু করে বর্ণনা দেখে দেখে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। বিশেষভাবে শপকিন্স, লেগো এবং হ্যারি পটার খেলনার ভিডিওগুলো ইউটিউবে দেখতে পছন্দ করে আর ইউটিউব হচ্ছে এ ধরণের ভিডিওর প্রধান প্লাটফর্ম। শিশুদের
এগুলো দেখতেও বেশি ভালো লাগে কারণ এসব ভিডিওতে জানা যায় যে এসব খেলনা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে সেটি নিয়ে খেলতে হয়।''
ইউটিউব চ্যানেল এর কুফল:
বিজ্ঞান মানুষকে যেমন বেগবান করেছেন তেমনি কেড়ে নিয়েছে মানুষের আবেগ কে তাই শত কল্যানের মাঝেও কিছু স্বার্থন্নেসি মানুষের জন্য এই কল্যানকর একটি চ্যানেল বিতর্কের মধ্যে পড়েছে। তার কারন কি? আর কিভাবে এগুলো একটা চ্যানেলকে বিতর্কিত করছে? মূলত এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্যই কলম ধরেছি।
প্রথমত যে বিষয়টি মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে সেটা ধর্মীয় আলোচেনার নামে কিংবা এগুলো পুজি করে অনেকেই নিছক মজা নেওয়ার জন্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন।ইউটিউব চ্যানেল এর কুফল:
বিজ্ঞান মানুষকে যেমন বেগবান করেছেন তেমনি কেড়ে নিয়েছে মানুষের আবেগ কে তাই শত কল্যানের মাঝেও কিছু স্বার্থন্নেসি মানুষের জন্য এই কল্যানকর একটি চ্যানেল বিতর্কের মধ্যে পড়েছে। তার কারন কি? আর কিভাবে এগুলো একটা চ্যানেলকে বিতর্কিত করছে? মূলত এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্যই কলম ধরেছি।
প্রথমত যে বিষয়টি মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে সেটা ধর্মীয় আলোচেনার নামে এবং এগুলোকে পুজি করে অনেকেই নিছক মজা নেওয়ার জন্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন।উদহারন সরুপ: আল্লামা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী সাহেবের বিভিন্ন উক্তিকে বিকৃত করে উপস্থাপন বা টিকটক ভিডিও।
মাওলানা রফিক উল্ল্যাহ আফসারীর বিভিন্ন সময়ের মুখায়ব বিকৃত করে নবী রাসুলদের সানে বিকৃত উক্তিগুলো নিতান্তই আদবের বরখেলাপ।
এছাড়া বিভিন্ন বক্তাদের একে অপরের নামে কুৎসা রটনা সাধারন মানুষদের মনে কিছুটা হলেও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে। কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিকর যে বিষয়টি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে সেটা হলো আজকাল বিভিন্ন জন অভিজ্ঞতা ছাড়াই যে কোন বিষয়ের উপর লেকচার ভিডিও করছেন এবং ইউটিউবে ছেড়ে দিচ্ছেন যা কারো উপকারে তো আসেই না বরং আউট সোর্সিং মার্কেটিং কে অধিকতর বিতর্কিত করছেন যারফলে এসব অজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের কারনে ফ্রিল্যান্সীং বিরাট ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে।
আপনাদের অবগতির জন্য কিছু উদহারন দিচ্ছি । আমি দীর্ঘদিন ধরে এসব ভিডিও গুলো পর্যবেক্ষন করছি তারা শেখানোর নামে ১০/১৫ মিনিটের একটি ভিডিওতে ৫/৭ মিনিট ধরে নিজেদের কথাই বলে যাচ্ছেন যেমন , আজ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে কি করবেন, তার আগে আমার ভিডিওটি সাবস্ক্রাইব করুন বেল আইকন ক্লিক করুন! হ্যাঁ যা বলছিলাম অনেক বন্ধু এই করেন ঐ করেন? আজ আমি দেখাবো কিভাবে সহজভাবে আপনি হয়ে উঠবেন একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার , ইত্যাদি ইত্যাদি । তারপর শেষ ৪/৫ মিনিট একটা গোঁজা মিল দিয়ে ভিডিও শেষ করেন এতে কেউ উপকৃত হয় কিনা জানি না তবে অজ্ঞতা বশত অনেকেই বড় ধরনের ভুল করেন যারফলে সাধারন মানুষ এখন কোন ভুল দেখলে বলেন অনলাইনের ইঞ্জিনিয়ার।এই যে এ ধরনের কথাগুলো মূলত এই ভিডিও গুলোর বৌদলতেই আসছে। আপনি কি বিশ্বাস করেন ৪০/৪৫ মিনিটের একটি ভিডিও দেখে, একজন মানুষ ওয়েব ডেভোলাপার হতে পারবেন কিংবা ডিজিটাল কোন মার্কেটিং কাজ করতে পারবেন?কিংবা কোন কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন।
অনেকেই আবার সিরিয়ালি বিশদভাবে আলাপ করেন যাদের প্রফেশনাল জ্ঞান আছে কিন্তু তাদের অনুকরন করে সাধারন কিছু ভিডিও এডিটর রা এগুলো করেন যা শিক্ষার নামে প্রবঞ্চনা করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর ইউটিউবে গুজব ছড়ানো এখন নিত্যনৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, ইচ্ছা হলো একটা নাটক বা সিনেমার কাটপিছ করলাম তারপর এটার উপর একটা মিথ্যা রটিয়ে দিলাম। যা সমাজের জন্য এবং পরবর্তী প্রজেন্মের জন্য অত্যন্ত হুমকি সরুপ ।
পরিশেষে এতটুকু বলে লেখা শেষ করতে চাই যে, ইউটিউব চ্যানেলকে এসব ভুয়া ভিডিও আপলোডকারীদের সনাক্ত করতে হবে এবং তাদের ভিডিও এর মান যাছাই করে সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করার অনুমতি দেওয়া উচিত তাহলেই ইউটিউব চ্যানেল মানুষের শতভাগ উপকারে আসবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62195.97
ETH 2415.56
USDT 1.00
SBD 2.64