The diary game || 28/05/2023- বাবার সাথে কাটানো একটি ব্যস্ত দিন।
সুপ্রভাত,
আমি শিপন পাল। আমার স্টিমিট আইডি @sheponpal.
ক্যানভা দিয়ে বানানো
নমস্কার সবাইকে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও বাসুদেবের কৃপায় ভালো আছি।আজকের ডায়েরি গেম টা একটু ভিন্ন। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছি। এ দিনটি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আজকে আমার বাবার সাথে আমি দিন অতিবাহিত করেছি।
আজ আমার বাবা আমার শহরে আসেন। তাই বাবার সাথে কাটানো সময় গুলো তুলে ধরলাম। সকালে ঘুম ভাঙ্গে বাবার কলে। বাবা বলল যে আজকে চাঁদপুর আসবেন। তাই আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, সকালের নাস্তা করি। নাস্তা করে কম্পিউটারে একটু কাজ করি। তারপর বাবার কল আসলো, বাবা হাজীগঞ্জে চলে আসলেন। তারপর আমি বলে দিলাম কিভাবে চাঁদপুর আসবে। আমি বললাম হাজীগঞ্জ থেকে বোগদাদ বাসে করে চাঁদপুর ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসতে। তারপর বাবা চলে আসেন সকাল ১১ টায়। বাবাকে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। উনি বাড়ি থেকে আমার জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসছেন। বাড়ির গাছেপাকা অনেকগুলো আম।
নিজে তোলা আমের ছবি
মিষ্টি কাটাঁ আম
এবং সাথে করে দুধ নিয়ে আসছেন দুই কেজি। বাবা আসার পর বাবাকে আম কেটে দেই এবং আমরা আম খাই। বাবার সাথে কয়েক বছর পর এক সাথে আম খেয়েছি। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি ওনাদের থেকে দূরে চাঁদপুর শহরে ছয় বছর ধরে থাকি। অবশ্য বাবা চাঁদপুর আসছেন ওনার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আমার বাবা আমাদের পোস্ট অফিসে কিছু টাকা রাখার জন্য আসেন। তাই আমি বারোটায় বাবাকে নিয়ে পোস্ট অফিসে যাই কাগজপত্র গুলো নিয়ে। পোস্ট অফিসে কাজগুলো শেষ করি। ওখানে আমাদের অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়।
পোস্ট অফিস,চাঁদপুর location what3words
তারপর বাবাকে নিয়ে যাই আমাদের চাঁদপুরের মোহনার তীরে। বাবা এই প্রথম মোহোনায় আসেন।ওনি একসাথে পদ্মা আর মেঘনা নদী দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হয়। বাবাকে বলি। এই সুন্দর মুহূর্তটা আর কয়েকটা ছবি তুলে নিতে। আমি ওনাকে বলছি ওনার কয়েকটা ছবি তুলে দেই। কিন্তু বাবা রাজি হয় নাই। তাই বাবার অজান্তেই আমি বাবার কয়েকটা ছবি তুলি। আমি আর বাবা সেখানে অনেকটা সময় কাটাই। এবং আমরা বার্গার খাই সেখানে। বার্গার খাওয়া শেষ করে বাবাকে আমি লিচু কিনে দেই ১০০টা। লিচু এখন আমাদের মৌসুমি ফল। এখনকার লিচু অনেক মিষ্টি। আমি ১০০ লিচু বাবাকে ২৫০ টাকা দিয়ে কিনে দেই। বাড়িতে গিয়ে মা আর বাবা একসাথে খেতে পারবে।
তারপর মোলহেড থেকে গাড়ি করে আমার বাসায় চলে আসি। এসে বাবাকে একটু বিশ্রাম নিতে বলি। বিশ্রাম নেওয়া শেষ করে বাবা কে গাড়িতে তুলে দিয়ে বিদায় দেই। তারপর আমি বাসায় এসে স্নান করে দুপুরের খাবার খাই। খাওয়া শেষ করে বিকেলে আমি একটু ঘুমাই। তারপর আমি সন্ধ্যায় আমার দৈনন্দিন কাজের জন্য বেড়িয়ে পড়ি। অর্থাৎ আমি আমার টিউশনে যাই।
আমার ছাত্র
বাজার করার সময়
আমি সেখানে এক ঘন্টা টিউশন করিয়ে বাজার করতে আসি বাজারে। বাজারে এসে ১ কেজি টমেটো। আধা কেজি শসা এবং এক হালি লেবু কিনে বাসায় আসি।বাসায় এসে দেখি আমার একটা ফ্রেন্ড মেসেজ করে বলল, চাঁদপুরের বিখ্যাত ভূতের বাড়ি রেস্টুরেন্টে আজ নাকি অফার চলছে। অফারটা হলো ১০০ টাকায় রাতের খাবার। অপার প্যাকেজে ছিল ফ্রাইড রাইস, সাথে মুরগি এবং সালাদ।
তাই আমরা অফারটা গ্রহণ করার জন্য ছয় জন বন্ধু সাড়ে আটটায় চলে যায় ভূতের বাড়ি রেস্টুরেন্টে। সেখানে আমরা খাবার অর্ডার করি। আমরা ছয় জন মোট ছয়টা খাবার দিতে নির্দেশ করি। খাবার পরিবেশন যথেষ্ট সুন্দর ছিল। এবং ভূতের বাড়ি রেস্টুরেন্টে দেখতেও খুব ভয়ানক ছিল। ভিতরে মনে হচ্ছিল চারিদিকে ভূত পেত্নী ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং আলোটাও কম ছিল। যাক একটু ঘোরাফেরা করার পর খাবার চলে আসে। খাবারের গুণগত মান খুবই ভালো ছিল। আমরা সবাই তৃপ্তি সহকারে খাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা অনেক ছবি তুলি সেখানে।
ভূতের বাড়ি রেস্টুরেন্টে Location |
---|
ছবি তোলা শেষ করে খাবারের টাকা করে আমরা যার যার মত বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে আমি কম্পিউটারটা অন করি স্টিমিটে আমার আজকের ডাইরি গেম পোস্ট করি।
প্রতিটা দিন সবার ভালো কাটুক এই আশাই করি। সবার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। সবাই ভালো থাকবেন ।
Twitter share link,
https://twitter.com/SheponPal/status/1662886959818362880
বাবা সাথে কাটানো সুন্দর সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। বাড়ির গাছের আমের স্বাদ অসাধারণ, আর বাবা-মা এমনই হয় সন্তানকে রেখে কিছু খাওয়ার করে না। আরেকটা কথা অফারের খাবারটা ভালো ছিলো।
ধন্যবাদ আপু,আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য।