আমার প্রিয় শহর কক্সবাজারের ভিতরের কিছু সৌন্দর্যময় স্থান এর বিবরণ
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ।
আমার প্রিয় শহর কক্সবাজারে এখানে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এখানেই বড় হয়েছি।বলতে গেলে চোখের পলাও কি বর্তমান কক্সবাজারের যে রূপ ধারণ করেছে সেটা দেখতে পেরেছি। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগের কক্সবাজার এবং বর্তমান সময়ে কক্সবাজারের যে রূপ দেখা যাচ্ছে সেটার মধ্যে আকাশ এবং পাতার পার্থক্য রয়েছে। চারিদিকে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আজকে আপনাদের সামনে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করব।
শহীদ মিনার প্রায় প্রত্যেকটা জেলার মধ্যেই একটি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রয়েছে। কক্সবাজারের বেতিক্রম নয়, কক্সবাজারের প্রথমে যে শহীদ মিনারটা ছিল ওটা দেখতে অতটা সুন্দর ছিল না এবং চারপাশে বাউন্ডারি দেওয়া ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কক্সবাজারে চমৎকার একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটা চারপাশে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে যেন সবাই এটা দেখতে পারে এবং এখানে বসে সময় কাটাতে পারে। বিকাল হতে রাত পর্যন্ত যুব সমাজ থেকে শুরু করে মুরুব্বী পর্যন্ত সবাই শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নানা রকম আড্ডা দেয়। রেস্ট নেওয়ার একটা জায়গা তৈরি হয়েছে পথচারীদের জন্য।
কক্সবাজারের সার্কিট হাউস এটা আরো একটি সুন্দর জায়। কক্সবাজার শহরের ভিতরেও কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ভালো একটা সময় কাটাতে পারবেন । এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কক্সবাজার সার্কিট হাউস। কক্সবাজার সার্কিট হাউস দুটি রয়েছে একটি পাহাড়ের উপরে এবং অন্য একটি পাহাড়ের নিচে। দুটি একই জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে কক্সবাজার বাহার ছড়া এলাকায়। সবচাইতে চমৎকার ভাবে তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ের উপরে যে সার্কিট হাউসটি রয়েছে সেটি। কক্সবাজার সার্কিট হাউজের উপরে একটি বুদ্ধদের জাদি রয়েছে। কক্সবাজার সার্কিট হাউজের সবচাইতে সুন্দর দিক হল এর পাহাড়ের উপর থেকে কক্সবাজার জেলা টা পুরোটাই খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায় । সমগ্র কক্সবাজার শহরের প্রত্যেকটা বাড়ি ঘর সহ সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় এই পাহাড়ের উপর থেকে।
কক্সবাজারে যারা ভ্রমণ করতে এসেছে এবং যারা মহেশখালী দ্বীপ সম্পর্কে শুনেছে তারা মহেশখালী ভ্রমণ করতে চাই নাই এমন ঘটনা খুব কম। কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসা মোটা মুটির 90 জন লোক অবশ্যই মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যায়। মহেশখালী যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম কক্সবাজারের ৬ নং ধাটে উপস্থিত হতে হয়। ৬ নংঘাট থেকে ছোট ছোট ডলার এবং স্পিডবোর্ড এর মাধ্যমে মহেশখালী যাওয়া যায়। ভোর সাতটা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত স্পিডবোর্ড চলাচলে করে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে মহেশখালি। এছাড়া যারা স্পিডবোটের চড়তে ভয় পান তাদের জন্য ছোট ডলারের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই ডলারগুলো ছাড়ে এক ঘন্টা পরপর। টলারে করে মহেশখালী পৌছাতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিটের মত। আর স্পিডবোটে করে গেলে সময় লাগে ১৫ মিনিট। কক্সবাজারের কস্তুর ঘাট এবং ছয় নাম্বার ঘাট এই দুইটা ও দেখার মতো জায়গা। সুযোগ হলে অবশ্যই কক্সবাজার শহরের অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলো ভ্রমণ করা দরকার।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত রাখাটি করার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।