Share Your Student Life Memory " With Some Your Self Photography.
@rumman @rahman66 @joynalabedin
আপনারা প্রিয় ৩জন প্রিয় Steemit Lover...
আপনাদের প্রতি আমার আমন্ত্রণ রইলো,আশাকরি সকল নিয়ম মেইনটেইন করে অংশ নিবেন।
আমাদের শিক্ষার জীবনের আমাদের স্মৃতির অভাব নেই। ভালো কিংবা দুঃখের। এটা সবার জন্যই সমান।
সাধারণত আমরা এই ভালো মন্দের মধ্য দিয়েই আমাদের শিক্ষাজীবন পার করি।
আজ আপনাদের সাথে আমার স্মৃতিপট থেকে গল্প শুরু করছি আমার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। শুনুন যখন আমার বাবা আমাকে বললেন ভালো একটা শিক্ষা প্রতিষ্টানে পড়ার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, তখন আমার মাথায় বুদ্ধি আসে মাদ্রাসা বোর্ডের সেরা প্রতিষ্টানের। অর্থাৎ তামীরুল মিল্লাতের,কিন্তু এর আগে আমার কখনো এটাতে পড়ার প্লান আমার মধ্যে ছিলো না।
বাবার কথাতেই ভরসা পেয়ে আমার দুই ভাই বিদেশ এ ভরসায় আমি ঢাকায় পড়াশুনা করার ইচ্ছা জোরালো করি। বাবা সে সময় ব্যবসা বাণিজ্য গুছিয়ে আর পড়াশুনা করানো কিংবা সংসারের হাল ধরার পূর্ণাঙ্গভাবে সেই সক্ষমতা ছিলো না উনার।
কারণ তখন দুই ভাইকে একসাথে বিদেশ পাঠিয়ে উনি একটু বিশ্রামের আশা করছিলেন।
সত্যিকারের অর্থে বাবা তখন হার্টের রুগী ছিলেন। আমার বাবার এখনো বেশ দামী জায়গা রয়েছে।
তখন আমার পুরা সাপোর্ট দরকার হতো ভাইদের কাছে চাইতে হতো। বিশেষ করে বড় ভাইয়ের অবদান অনেক বেশি। উনার যথেষ্ট টাকা আমার জন্য খরচ হয়েছে। আমার মেঝোভাই সেও মাঝেমধ্যে দিতো। খুব কম সংখ্যক। বিশ্বাস করেন কখনো শো-অফ করে পড়াশুনা করিনি। স্রোতে গা ভাসিয়ে দিইনি।
অপ্রয়োজনীয় ১ টাকা খরচ করতাম না।
কারণ টাকাটা বাবার ছিলো না।
অনেক কঠিন নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে দুইটা বছর ঢাকায় কাটালাম যা আমার জন্য এক প্রকার ট্রাজেডি। যেদিন ২য় বার ঢাকা গেলাম ক্লাস করার জন্য।আমার ফোনটা সেদিনই চুরি হয়ে যায়। খুবই হতাশ হয়ে গেলাম আমার প্রিয় মা আমাকে সেই সময় সম্পূর্ণ মানসিক সাপোর্ট দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে এপ্রিলে আমার ফাইনাল পরীক্ষা, জানুয়ারির শেষের দিকে আকস্মিক আমার বাবা পৃথীবির মায়া ত্যাগ করে,রবের ডাকে সাড়া দেন।
বিশ্বাস করেন আমার স্থির হওয়ার মতো উপায় ছিলো না। যাক তখনো আমার দুই ভাই বিদেশ। আমি তাড়াহুড়া করে,কক্সবাজার আসার জন্য রওয়ানা দিই। তখন মাগরীবের নামাজ পড়ে কেবল পড়তে বসলাম। তখন আমার বাসা থেকে ফোন পেলাম বাবা খুব অসুস্থ আমি যেনো, দ্রুত বাসায় যায়। তখন আমার বাবা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। যারা আমাকে কল দিছে তারা আপাতত হাইড করছেন বাবার মৃত্যুর সংবাদ। আমি দ্রুত সায়েদাবাদ বাস স্টান্ডে গিয়ে ৭:৩প এর বাসে যাত্রা শুরু করি,একদম অতর্কিত অবস্থায় লুঙ্গী আর পরনের সাধারণ পাঞ্জাবী নিয়ে,জুতা নেওয়ার সময় পাইনি স্যান্ডেল নিয়েই। যখন কুমিল্লায় বাস আসলো বড় ভাই কল দিয়ে বিস্তারিত খুব নরমালি সবকিছু জানালো,বাসায় গিয়ে আমার করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত বল্লো। যাত্রা বিরতিতে আমি একটা বারের জন্যও সীট থেকে উঠিনাই। আমার সেই শক্তি নাই। আমি পাথর হয়ে গেছিলাম। আমার ভাবতেই শিউরে উঠে আমার বাবা নাকি আর নাই। যাক যখন বাসায় পৌঁছালাম ফজরের আজান হচ্ছে,কেউ ঘুম, কেউ বাবার পাশে, কেউ রুমে আমার প্রিয় বাবা বারান্দায় শুয়ে আছে। উনার দাফনকাজ শেষ করে,কিছুদিন বাসায় থাকি এরপর ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ব্যাক করি।
ফাইনাল দিলাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো রেজাল্ট করলাম। কিন্তু আফসোস আমার বাবাকে সেটা দেখাতে পারিনি। এই একটাই আমার দুঃস্বপ্নের স্মৃতি।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ্য থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Cover Photo Made By own,Canva Apps. |
---|
আমার প্রিয় উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে শিক্ষা উপকরণ। কেউ যদি আমাকে এটি উপহার দেই আমার খুব ভালো লাগে।
আমার একটা জিনিসের প্রতি খুব বেশি নজর কাড়ে সেটি হচ্ছে কলম।
সত্যি বলতে আমার বন্ধুরা বলতে পারবে, আমি কেমন কলম খেকো। আমার ক্লাসে কেউ যদি সুন্দর কলম নিয়ে আসে,আমি যেভাবেই হউক, সেটা আমার করে নেবোই নেবো। যদি তা পরীক্ষার হলও হয়ে থাকে আমি সেটা নিতে কার্পণ্য করিনা।
আরেকটা জিনিস আমার প্রিয় সেটি হচ্ছে নতুন বই।
যেমনঃ নাটক,কবিতা,সাহিত্য,দর্শন,সাধারণ জ্ঞান,ইসলামিক বই আমি খুবই প্রছন্দ করি। আর এটিই হচ্ছে আমার শিক্ষা উপকরণের স্মৃতিপট।
চলুন সামনে যাওয়া যাক...↓
চলেন সেই গল্পে যায়...↓
চলুন সেই স্মৃতিপট থেকে ঘুরে আসা যাক।
এখানে প্রথম ছবিটা আমার হোস্টেল জীবনের সুচনাতেই গচ্ছিত, ২য় চিত্র ক্লাসেই বন্ধুদের সাথে।
৩য়টা আমার ঢাকা থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষে কক্সবাজার ফেরার পালাতে বন্ধুদের সাথে।
প্রথম আমি যখন ঢাকায় একলা যায় ভর্তির পর,তখন এই রুমেই প্রায় এক বছর কাটালাম। বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই পার করেছি।
সকাল ৭টার ক্লাসে দৌঁড় ঝাপ পরে ক্লাস করতাম। বন্ধুদের সাথে সেই সুন্দর সময় পার করে ব্যাক করি আবারো কক্সবাজার।
নিজের ইচ্ছাতেই প্রিয় সাব্জেক্ট বাংলা নিয়ে অনার্সে ভর্তি হয়। করোনা হানা দিয়েছে এরপর ক্লাস খুব বেশি কন্টিনিউ করা হয়নি। পরে ২১ সালে এসে এক্সাম দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হলো।
এখন পরের গল্পে যায়।
স্নাতকের ১ম বর্ষ সফলতার সাথে শেষ করে এখন ২য় বর্ষের প্রায় শেষ।
খুব শীগ্রই ৩য় বর্ষে পদার্পণ করবো। বন্ধুদের সাথে আমার খুব চমৎকার স্মৃতি উপরের পার্টে তুলে ধরবো।
এখন ছবিগুলা উপভোগ করুন।
বরণ স্নাতকের জন্য। আমাদের জন্য অত্যান্ত সম্মানের।
অত্যান্ত গর্বের।
এই স্মৃতিময় অনুষ্টান শুরু আমার পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে,পরে অবশ্যই এখানকার সাংস্কৃতিক সময়টা আমিই উপস্থাপন করি যা আমার জন্য সৌভাগ্যের।
আলহামদুলিল্লাহ এখন সব মিলিয়ে ভালোই,আছি। আমার চিন্তাভাবনা দেশ ও দশের কল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। |
---|
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
থ্যাংকস ভাইয়া।
Your post has been successfully curated by our Team 5 via @frafiomatale at 35%.
Thanks a lot.
Thanks for join serial no 1.✌️
সবসময় চেষ্টা করি অংশ নিতে।
MashAllah. Onk valo likha bro
ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্কুল জীবনের থেকে সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের মাঝে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।