আমাদের মত এমপিও (MPO) ডাক্তার, এবং কেমিস্টদের নিয়ে কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরলাম ।

maashraful (54)Pendingin Steem For Bangladesh • 2 days ago

🍁 Assalamualaikum🍁

Hello..!!
My Dear Friends,
I am @maashraful from 🇧🇩Bangladesh

হাই বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে আজকে (MPO) medical promotion officer দের কিছু সত্য ঘটনা উপস্থাপনা করব। সকালে পড়বেন এবং তাদের সম্পর্কে ভাববেন তারা কোন অবস্থায় আছে।

আমাদের বাংলাদেশে সমস্ত জায়গায় অর্থাৎ হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টরের চেম্বারদের সামনে দেখা যায় হাজার হাজার এমপিও দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কাজটা কি জানেন? তাদের কাজটা হলো তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ডক্টরের কাছে উপস্থাপনা করা। সে উপস্থাপনা দেখে ডক্টরের রোগীদের সেই ট্রিটমেন্ট দেওয়া এটাই হলো তাদের কাজ।

আমাদের মত মানুষেরা হায়ার কোয়ালিফাইড হওয়ার পরেও এত সুন্দর একটা চাকরিতে ঢুকে তারা ফকিরের মত আচরন পায়। যা তারা কখনো সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী মানুষ এখানে চাকরি করে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্লাস টু পাশ তাদের কাছ থেকে যে আচরণ পাই ফকির মিসকিন এতিম মানুষের সেই রকম আচরণ পায় না।

এখন কর ডাক্তাররা হয়েছে অনেক লোভী। তারা টাকা ছাড়া তারা কিচ্ছু বোঝে না। আমাদের মত কোম্পানিদের কাছ থেকে তারা মাসে হাজার হাজার টাকা নিয়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স করছে। বিনিময়ে আমরা তাদের কাছ থেকে কি পাচ্ছি। কিছুটা প্রেসক্রিপশন যা আমাদের এচিভমেন্ট পর্যন্ত হয় না। আমরা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে আমাদের কিছু প্রোডাক্ট লেখে, আর না থাকলে লেখা তো দূরের কথা, মনে হয় সব মন থেকে ভুলে গেছে সব প্রোডাক্টের নাম গুলা।

এখনকার ডক্টররা আমাদের মত মানুষের কাছ থেকে দামি দামি গিফট, যেমন ধরেন তাদের চেম্বার এর জন্য একটা এসি লাগবে, আবার চেম্বারে জন্য একটা ফ্যান লাগবে, এই সব চাই আমাদের কাছে এমনকি তাদের নিজেদের স্ত্রীর জন্য গিফট পর্যন্ত চেয়ে ফেলে। বাধ্য হয়ে কোম্পানি যদি না দেয় আমাদের মত এমপিও নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তাদের চাহিদা মিটায়। বিনিময়ে তারা কি পায় রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন, আর সেটা চাইতে গেলে লাঞ্ছনা এবং বঞ্চনা ছাড়া কিছুই নাই। এত কষ্ট নিয়ে তারা কাজ করে তাদের কষ্টটা ডাক্তার এবং রোগীরা বুঝতেই পারেনা।

এইবার তো গেল ডাক্তারদের কথা, এবার চলে আসলাম দোকানদার নিয়ে কিছু কথা। যেসব দোকানদাররা ব্যবসা করছে তারা কি আমাদের চাইতে শিক্ষিত? কখনোই না। আমাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগও শিক্ষিত না। আর তাদের কথা দেখে মনে হয় তারা আমাদের চাইতো হায়ার কোয়ালিফাইড লোক। মানুষ বলে মনেই করে না আমাদের।আবার ডক্টর এর কাছ থেকে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ প্রাডাক্ট লেখাচ্ছি সেটা যদি তাদের দোকানে না থাকে তাহলে তারা অন্য কোন ঔষধ দিয়ে দেয়। আর বলে এটা ওই ওষুধের চেয়েও ভালো ওষুধ। আরে ভাই আমি এত কষ্ট করে লেখাচ্ছে আমার ঔষধ গুলা না দিয়ে অন্য ঔষধ দেয়। আর বলে এই ওষুধটা ওই ওষুধের চাইতেও ভালো। আরে তোরা যদি এটাই বুঝবি তাহলে ডাক্তারি না করে দোকানদার কেন হচ্ছে! ডাক্তারি কর ভাই।

আবার যখন তাদের দোকানের সামনে অর্ডার কাটতে যাই তখন তাদের চেহারা দেখলে মনে হয় তারা আমাদের সরকারের পা চাটা গোলাম। তাই মনে হয় যতবার কিছু অর্ডার দেয় সে অর্ডারের বিনিময়ে তাদের খুশি করার জন্য ১০০ টাকার দিলে ১০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া লাগে। যা এই ডিসকাউন্ট গুলা নিজেদের পকেট থেকে দিতে হয়। আরা না হলে তারা মাল অন্য দোকান থেকে নিয়ে আসে যাকে বলা হয় হাজারী গলি।

এইভাবেই দিন চলছে আমাদের। আর বস এর পেশার নিয়ে তো আমরা বেশিক্ষিপ্ত। কারণ বসেরা তাই সব সময় চায় সেল। সেল আর সেলের পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন। সেল করতে গেলে প্রেসক্রিপশন হয় না। প্রেসক্রিপশন করতে গেলে সেল হয় না। একটা বর্ণনা দিলাম আপনাদের মাঝে আবারো দেখা হবে পরবর্তীতে।