Better Life With Steem || The Diary Game || 5 November 2024 ইসলামি মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিলাম।
হ্যালো স্টিম বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি সুস্থ আছি।
আমি আজকে সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সামনে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি, আজকে ৫ই নভেম্বর ২০২৪ ইংরেজি তারিখ। আপনারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অবগত আছেন যে পাঁচই নভেম্বর ওলামা মাশায়েখের উদ্যোগে ইসলামী মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল, যে সমাবেশ কে সফল করার জন্য সারা দেশের প্রত্যেকটা বিভাগ, থানা, জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ ঢাকার মূল পয়েন্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা এসেছিলেন তারা সোমবারে রওনা দিয়েছিলেন, মঙ্গলবারে রাতে অথবা সকালের মধ্যেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছেছে।
আমরা যেহেতু যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা করব তাই আমরা ফজরের নামাজ আদায় করে এরপরে রওনা হয়েছি। যাত্রাবাড়ী থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাসে যেতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। বাসে ওঠার জন্য আমরা রাস্তায় দাঁড়ালাম, অনেকগুলো বাস এসেছিল কিন্তু সবাই গুলিস্তান পর্যন্ত যাবে। কেননা তারা ইতিমধ্যে জেনেছিল যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ হবে তাই তারা যানজট নিয়ে টেনশনে থাকাই শাহাবাগ পর্যন্ত যেতে রাজি হচ্ছিল না। এজন্য আমরা গুলিস্তান নেমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে হেঁটে রওনা হলাম।
আমরা মনে করেছিলাম হয়তো সামনে জায়গা পাবো, কিন্তু মাঠে গিয়ে দেখি মাঠের মধ্যে দাঁড়ানোর মতোও কোন পরিস্থিতি নেই। তবুও সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলাম, একদম সামনে পর্যন্ত যাইতে পারি নাই কিন্তু স্টেজের বাম পাশে বসার মত সৌভাগ্য হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন, সেখানে কিন্তু কেউ বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য যায়নি শুধু তাই নয় সেখানে গেলে টাকা পয়সা পাওয়া যাবে বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়, কিন্তু সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ জনতা কেন সেখানে উপস্থিত হয়েছে? একমাত্র আল্লাহর জন্য আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একত্রিত হয়েছে।
আমরা সেখানে প্রায় দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করেছি, পুরো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ সেখানে বক্তৃতা দিয়েছেন। ওলামায়ে কেরামগণ বক্তৃতা দিতে গিয়ে অনেকেই অনেক যুক্তি দিয়েছেন যদি সেগুলো উপস্থাপন করতে যায় তাহলে আমি লেখা শেষ করতে পারবো না। আর আমরা কি জন্য সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম এটা অবশ্যই আপনারা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন। যাইহোক সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে আমরা বের হওয়ার চেষ্টা করলাম, যেহেতু সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল তাই খুব সহজেই মাদ্রাসায় যাইতে পারবো না।
এজন্য কিছু সময় রমনা পার্কের ভেতরে বসে ক্লান্তি দূর করলাম। তখন হালকা কিছু নাস্তাও করেছিলাম। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাইতুল মোকাররম পর্যন্ত আসলাম, বাইতুল মোকাররম মসজিদে এসে দেখি পুরো মসজিদ ভরা। এতে করে বুঝতে পারলাম, যারা দূর দুরন্ত থেকে এসেছিল তারা মাঠ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি বরং যে যেখানে জায়গা পেয়েছে সেখানেই অবস্থান করেছে। আমরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে গিয়ে অজু করে আসরের নামাজ আদায় করলাম। এরপরে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বইমেলাটা ঘুরে দেখে মাদ্রাসার দিকে রওনা হলাম।
গুলিস্তান এসে ফ্লাইওভারে ওঠার শুরুতেই বাস দাঁড়িয়ে ছিল, আমরা বাসে উঠে বসলাম। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ফ্লাইওভারের নিচে ছোট্ট ছোট্ট চারটা ছেলেমেয়ে কি যেন খাচ্ছে! আমি আমার বন্ধুদের কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার বন্ধুরা বলল ওরা নেশা করছে। আমি অবাক হয়ে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম, এবং চিন্তা করলাম এত ছোট ছেলে মেয়ে কিভাবে এভাবে নেশা করতে পারে? বড়ই আফসোস লাগে এই দৃশ্যগুলো দেখলে। যাইহোক ইচ্ছা থাকলেও কিছু করার মত সাধ্য নেই। আল্লাহ তৌফিক দান করুন আমিন।
এই ছিল আমার মঙ্গলবারের সারা দিনের কার্যক্রম, সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1854039343880700243?t=8h2rebAIhwnOZZc_jfA9xA&s=19