Better Life With Steem || The Diary Game || 17 August 2024 অনেকদিন পর গেন্ডারী খাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ি আরদে গিয়েছিলাম।
(১৭-৮-২০২৪)
হ্যালো বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি যেহেতু আজকে রবিবার গতকালকে শনিবার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি তাই আমাকে গতকালকে শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। শনিবার হচ্ছে আমাদের সপ্তাহের শুরুর দিন, কেননা স্বাভাবিকভাবে শুক্রবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে যদিও আমাদের মাদ্রাসা ভিন্নরকম তবুও আমাদের ক্লাস বন্ধ থাকে, কিন্তু ব্যক্তিগত লেখাপড়ায় ছাত্ররা মগ্ন থাকে।
দীর্ঘ এক সপ্তাহ ছুটির পরে আমরা গত শুক্রবারে মাদ্রাসায় এসেছি, যেহেতু আমাদের শনিবার থেকেই ক্লাস শুরু তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার কথা ছিল কিন্তু যেহেতু রাত্রে অনেকেই অনেক দূর থেকে জার্নিং করে এসেছে তাই সকালের ক্লাস স্থগিত হয়ে গেল। এবং দশটা থেকে ক্লাস হওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। আমার ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গিয়েছিল, যদিও এর মাঝে ফজরের নামাজ আদায় করে আবার ঘুমিয়েছিলাম।
গতকালকে মাদ্রাসা খোলার প্রথম দিন ছিল তাই সকালে মাদ্রাসার খাবার উঠাতে পারিনি। চিন্তা করলাম সকালের নাস্তা বাহিরে গিয়ে করব, তাই ৯:৩০ মিনিটে সকালের নাস্তা করার জন্য রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সকালে যেহেতু আমি রুটি পছন্দ করি তাই হোটেলে গিয়ে দুটি তন্দু রুটি নিয়েছিলাম, দুটি তন্দু রুটির সাথে ডাল সবজি নিয়েছিলাম। সকালের নাস্তা শেষ করে দ্রুত মাদ্রাসায় চলে আসলাম। দশটা থেকে নিয়ম তান্ত্রিক ক্লাস শুরু হয়ে গেল।
ওস্তাদজী ক্লাসে এসে আমাদেরকে পড়ানো শুরু করলেন, এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের থেকে হ্যাঁ শব্দটি শুনতে চাইলেন, কিন্তু সকলেই এক বাক্যে পরীক্ষা না হওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন। পরীক্ষার ব্যাপারে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যা আমি পরবর্তী পোস্টে উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
দুপুর পর্যন্ত ক্লাস শেষ করে আমরা জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম এবং দুপুরের খাবারের জন্য প্রস্তুত হলাম। যেহেতু মাদ্রাসা থেকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয় না তাই দুপুরের খাবার আমাদের কিনে খেতে হয়। দুপুরের খাবার কিনতে খাবারের বাজারে গিয়ে দেখি খাবারের চাইতে ছাত্রের সংখ্যা বেশি, তাই দুপুরের খাবার আর কিনতে পারলাম না, রুমে যতটুকু খাবার ছিল তাই সবাই মিলে খেয়ে নিলাম।
যোহরের পর থেকে আসর পর্যন্ত লাগাতার ক্লাস হয়েছে, আসরের নামাজ পড়ে আমরা বাহিরে হাটতে বের হয়েছিলাম। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে রাস্তার অপর পাশে গিয়েছিলাম অর্থাৎ যাত্রাবাড়ী আরদের ওখানে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে দেখলাম কিছু ছেলেরা ঘুড়ি উড়াচ্ছে। একজনের ঘুড়ির সুতা দিয়ে আরেকজনের ঘুড়ির সুতা কাটার চেষ্টা করতেছে। এখনই ফটো সংগ্রহ করেছি।
গেন্ডারি খাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ি আরদে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমে দেখলাম সব গেন্ডারী গুলো বোঝা বেঁধে দাঁড় করে রেখেছে, তাই সেখান থেকে কিনতে পারলাম না। রাস্তার পাশে দেখলাম এক দোকানদার গেন্ডারি গুলো কেটে কেটে বিক্রি করছে, তাই আমরা সেখান থেকে দুই বন্ধু দুই পিস গেন্ডারী কিনলাম।কেটে রাখা গ্যান্ডারিগুলোর দাম ছিল দশ টাকা পিস।
গেন্ডারী খেতে খেতে আমরা যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা পর্যন্ত যাইতেছিলাম, যাত্রাবাড়ী থানার কি অবস্থা সেটি দেখা ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। দেখলাম যাত্রাবাড়ী থানার অবস্থা খুবই খারাপ সেখানে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারবেনা বলে আমার ধারণা। তবে সেখানে আইনশৃঙ্খলার কিছু কিছু লোক দায়িত্বে আছেন তাদের সহযোগিতায় আছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এভাবেই আমার গতকালকের দিনটি অতিবাহিত হয়েছে, আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1825062660393828802?t=jIwkBRBIm1ymoEo2uf8gVQ&s=19
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you very much for sharing a beautiful article with us. Hope you stay active and keep engaging with everyone. Join our Discord servers for help. Click the link below to join our discord server. https://discord.gg/6by5BAtAAC