ধুমকেতু এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ আনন্দময় ট্রেন ভ্রমণ।
Edit by Canva |
---|
ধুমকেতু এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ আনন্দময় ট্রেন ভ্রমণ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। |
---|
আবারো আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার আনন্দময় ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে। আমি অধিকাংশ সময়ই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। বাসে ভ্রমণ করা আমার কাছে কেমন যেন বিরক্তিকর মনে হয় এজন্য আমি ট্রেনে ভ্রমণ করি। এমনি একটি আনন্দদায়ক ভ্রমণ করেছি জুলাই মাসের ২ তারিখে।
আমি ঢাকা থেকে যখনই বাড়িতে যাই অথবা যে কোন জায়গায় ভ্রমণে যাই আমি সর্বপ্রথম ট্রেনে যাওয়ার জন্য খোঁজখবর নিই, যদি ট্রেনে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা হয়ে যায় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি ট্রেনে ভ্রমন করার সুযোগ না মেলে তাহলে বাধ্য হয়ে বাসেই ভ্রমন করতে হয়। সেদিন ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করব বলে প্রস্তুত ছিলাম না, অর্থাৎ হঠাৎ করেই বাড়িতে যেতে হয়েছিল, তাই রাত্রে দশটার দিকে অনলাইন থেকে সকাল ছয়টার ট্রেনের টিকিট কেটেছি।
প্রথমে ভাবছিলাম যাত্রাবাড়ী থেকে কমলাপুর স্টেশনে ছয়টার মধ্যে পৌঁছাতে পারবো কিনা! তবে আমি এর আগে অনেকবার গিয়েছি তাই এটা ভালোভাবেই জানি যে, সময় মত বাস পাওয়া গেলে ৬ঃ০০ টার আগেই কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাতে পারবো। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় দাঁড়ালাম তখন ১০ মিনিটের মধ্যে 'লাব্বাইক বাস' চলে আসলো। ৫:৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে গেলাম।
যখন ভিতরে ঢুকতে লাগলাম তখন টিকিট দেখাতে বলল, আমি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টিকিট দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ট্রেনে উঠে আমার সিটে বসে পড়লাম। ঘড়ির কাঁটা যখন ছয়টা বাজলো তখন ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে গেল, অথচ সময় মত ট্রেন ছাড়লো না। আমি ট্রেনের মধ্যে বসে ফোন টিপতে ছিলাম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে ছয়টা পার হয়ে গিয়েছে তাও ট্রেন ছাড়ছে না।
এরপরে আরো ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ৬:৪৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে দিল, যখন এয়ারপোর্ট স্টেশনে পৌছালাম তখন ট্রেন থামালো। সেখান থেকে আরো অনেক যাত্রী ট্রেনের মধ্যে উঠে গেল। আগে ট্রেনের মধ্যে যতটুকু ফাঁকা ছিল এখন ট্রেন অনেকটাই ভরে গেল। আমাদের যাত্রা শুরু হল পরবর্তী স্টেশন জয়দেবপুর থামালো। সেখানে অল্প কিছু সময় ব্রেক করে ট্রেন আবার ছেড়ে দিল।
পরবর্তী স্টেশন টাঙ্গাইল গিয়ে ট্রেন থামালো, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সেখানে আমরা ক্রসিং এ পরেছিলাম। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেখানে বসে রইলাম। এরপরের ট্রেন আবার ছেড়ে দিল। পরবর্তী স্টেশন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থামালো। সেখানেও প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট দাঁড়ালো, কেননা সেতুর ওপর তখন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছিল। যেহেতু সেতুর ওপর রাস্তা একটাই সেহেতু ট্রেন চালানোর কোন সুযোগ নেই। ট্রেনে একটা জিনিস খুবই বিরক্ত লাগে তা হলো ক্রসিং এ পড়ে বসে থাকা।
যখন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস সেতু পূর্ব স্টেশনে পৌছালো তখন ধুমকেতু এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করল। আমরা যখন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর উপরে গেলাম তখন ট্রেনের জানালা দিয়ে যমুনা সেতুর অনেকগুলো ফটো সংগ্রহ করলাম। ট্রেন চলন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে ফটো ওঠানো খুবই রিস্ক, কিন্তু যেহেতু সেতুর ওপর ট্রেন ধীরে ধীরে চলে তাই কোন সমস্যা হয় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
এরপরে আমি শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছানোর সাথে সাথে আমি আমার ব্যাগটা নিয়ে প্লাটফর্মে নেমে পড়লাম। শহীদ এম মুনসুর আলী স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি ফটো সংগ্রহ করলাম।
এই ছিল আমার ধুমকেতু এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ ভ্রমণ।
তো বন্ধুরা আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী আকর্ষণীয় ব্লগে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
X promotion
https://x.com/Monarul265535/status/1811352000031867061?t=U6ipa7AZrGnmJDtsYCsbjg&s=19
ভাই টিকিট কত নিল
যমুনা সেতুর পূর্ব পাশ পর্যন্ত কেটেছিলাম 160 টাকা দিয়ে।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
আমার পোস্টটি কষ্ট করে ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ট্রেন ভ্রমণ। আপনার ট্রেন ভ্রমণটি অনেক সুন্দর এবং আনন্দের ছিলো। আপনার ভ্রমণ পোস্ট পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ভ্রমণ ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
কিপ আপ ইউর গুড ওয়ার্ক 💐💐
আমার পোস্টটি পড়ে মূল্যবান একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্বাগত ভাইজান