ছাতা মেরামতের পেশা বর্তমানে বিলুপ্তির পথেsteemCreated with Sketch.

in STEEM FOR TRADITIONNlast year

আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777

আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।

ছাতা মেরামতের পেশা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশে ৬ টি ঋতু রয়েছে৷ প্রতি ২ মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন হয়ে থাকে৷ বর্তমানে শরৎকাল চলতেছে৷ কিছুদিন আগে বর্ষাকাল শেষ হয়েছে৷ বর্তমানে পৃথিবীর ঋতু গুলো উলটপালট হয়ে গেছে৷ বর্ষা কালে তেমন বৃষ্টি লক্ষ্য করি নাই৷ বর্ষাকালে বৃষ্টি না হয়ে, হয়েছে প্রচন্ড গরম৷ আর শরৎ কালে হচ্ছে বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে৷ বৃষ্টি হলেই মানুষ আর ঘর থেকে বের হতে পারে না৷ বৃষ্টির সময় বাহিরে বের হতেই কেমন জানি লাগে৷ আর এই বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর হচ্ছে মানুষের৷ ঋতু পরিবর্তনের কারণেই এমন হচ্ছে৷ তাই বাহিরে বের হতেও ভয় লাগছে৷ তবুও কর্মজীবি মানুষেরা ঠিকই বাহিরে বের হচ্ছেন।

IMG-20230922-WA0001.jpgIMG-20230922-WA0003.jpg

শরৎকালের আকাশ এই ভালো এই খারাপ থাকে৷ শরৎকালের আকাশ আর মেয়েদের মন একই রকম৷ বুধবারের কথাই বলি৷ ঘুম থেকে উঠে বাজারে গেলাম। যাওয়ার সময় ফাটাফাটি রোদ দেখলাম৷ বাজারে গিয়ে বাজার করতে হয়তো ২০-৩০ মিনিট সময় লাগছে৷ বাজার করে বাড়িতে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু। বাজারে এখন ছাতার দোকান গুলোতে সেই ভির৷ এখন বাইরে বের হলে ছাতা লাগেই৷ মহিলারা গরম থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করেন৷ আবার বৃষ্টির জন্য তো ব্যবহার করতেই হয়৷ নাহলে গা ভিজে গেলে জ্বর আসার প্রবনতাটাই বেশি৷

IMG-20230922-WA0002.jpgIMG-20230922-WA0000.jpg

সৈয়দপুরের ব্যস্ততম সড়ক জিকরুল হক রোডে দুইজন ছাতা মেরামত করার কারিগরকে দেখলাম৷ এই লোক গুলোর নির্ধারিত কোন দোকান থাকে না৷ এরা ফুটপাতে বসে তাদের ছাতা মেরামতের কাজ করে থাকেন৷ ছাতা মেরামত সব সময় মানুষ করেন না৷ বর্ষা ও শরৎকালে বেশি লক্ষ্য করা যায়৷ ছাতা মেরামত করা ভেজাল আছে৷ সবাই পাবেন না৷ যারা দীর্ঘদিন ধরে এটি করে আসছেন৷ তারাই শুধু মাত্র করতে পারবেন৷ আগে কার যুগের ছাতা ছিলো কাঠের তৈরি৷ কাঠের তৈরি ছাতা গুলো খুব মজবুত ছিলো৷ বর্তমান যে ছাতা বের হয়েছে৷ এগুলো বেশিদিন টেকসই হয় না৷ ১ বছর যায় কোন রকম৷ অনেক সময় কেনার পরেরদিনই মেরামত করে নিতে হয়। বাজে একটা অবস্থা৷ এই পেশার লোক এখন সচারাচর দেখা যায় না৷ এই পেশার লোক প্রায় বিলুপ্তির পথেই বলা চলে৷ হঠাৎ শহরে বা গ্রামের বাজার গুলোতে লক্ষ্য করা যায়৷ তাও হাতে গুণা কয়েকজন৷

image.png


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@toufiq777

Sort:  
 last year 

চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ,ছাতা মেরামত করার এই পেশাটি এখন বিলুপ্তির পথে। আগে গ্রামে গ্রামে বর্ষার কিছুদিন আগে ছাতা ঠিক করার জন্য এই পেশায় নিয়োজিত লোক গুলোকে দেখা যেত। কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। কাঠের ছাতার ব্যবহার এখন একদম নেই বললেই চলে। আপনি চমৎকার লিখেছেন ভাই। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

 last year 

জি ভাই ঠিক বলেছেন, এখন মানুষ এর ছাতা মেরামত করে না, ছাতা মেরামত এর দোকান ও চোখে পরে না, আগের দিনে হাট বাজারে ছাতা মেরামত করার কারিগর বসতো, এবং গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এরা ছাতা ঠিক করে দিতো, বিনিময়ে ধান, চাল, বা কিছু টাকা নিতো। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করছেন ভাই, সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

 last year 

যারা দীর্ঘদিন ধরে এটি করে আসছেন৷ তারাই শুধু মাত্র করতে পারবেন

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই যারা দীর্ঘদিন ধরে এসব ছাতা মেরামত করার জন্য দক্ষ তারাই একমাত্র পারে ছাতা ভালো করতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় মুচিরাও ছাতা ভালো করে।

আমাদের দেশে বর্ষাকাল আসলে এই ছাতা মেরামতের দোকানগুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। কারণ বর্ষাকালে মানুষের ছাতা সব থেকে বেশি প্রয়োজন পড়ে এ লোকগুলো সাধারণত ফুটপাতে বসে থাকে এছাড়াও বাজার ঘাটে ও গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ায় মাঝেমাঝে। দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ধন্যবাদ

 last year 

ঠিকই বলেছেন বর্তমানে পৃথিবীর ঋতু গুলো উলটপালট হয়ে গেছে।অনেকেরই বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর হচ্ছে।ঋতু পরিবর্তনের জন্য এমন হচ্ছে।আপনি শরৎকালের আকাশ আর মেয়েদের মন এক সাথে তুলনা করেছেন বিষয়টা সত্যি হাস্যকর।বৃষ্টির সময় ছাতা ছাড়া অচল মানুষ।এ ছাতা খারাপ হলে মেরামত জরুরী হয়ে যায়।ফুটপাতে এমন অনেক জায়গায় দেখা বিশেষ করে বৃষ্টির সময়কালে।ঠিকই বলেছেন বর্তমানে যে ছাতা বের হয়েছে এগুলো বেশিদিন টেকসই হয়না।কথাটি ঠিক ছাতা ঠিক করার লোক বেশি দেখা যায়না।এ পেশার মানুষ এখন বিলুপ্ত প্রায়।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

 last year 

আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বর্ষাকালে ছাতা ছাড়া চলা মুসকিল।ছাতা ভালো করা লোক এখন আর তেমন দেখা যায় না। ছাতা ভলো করে না মানুষ এখন তেমন। নতুন কিনে নিয় আসে।মানুষের এখন অনেক টাকা।এখন বৃষ্টি বেশি হচ্ছে তাই ছাতা বেশ পরিমানে ব্যাবহার হচ্ছে।

ধন্যবাদ

 last year 

একেবারে সত্য বলেছেন ভাই। ছাতা মেরামত করার প্রচলন এখন আর দেখা যায় না। আর এখন ছাতা ঠিক করার মিস্ত্রিও পাওয়া যায় না। আগে তো ছেলেবেলায় দেখা যেতো যে ছাতা ঠিক করার জন্য মিস্ত্রি এসে ডাকা ডাকি করতো। এই ছাতা ঠিক করাবেন ছাতা। এখন আর তেমন কাউকেউ দেখা যায় না।

ধন্যবাদ

 last year 

আপনি সত্য কথা বলেছেন যে এই পেশাটি এখন আর লক্ষ্য করাই যায় না। আমি কিছুদিন আগে আমবাড়ি বাজারে এমন একজন লোককে দেখছিলাম। অনেকেই আবার সাইকেলে করে ছাতা মেরামত করে বেড়ান। আমাদের পাশের গ্রামে এমন একজন আঙ্কেল আছেন। তবে এখন তিনি এই পেশাটির সাথে আর সংযুক্ত নন। বর্ষাকালে এই পেশার লোকদের আমাদের প্রয়োজন পড়ে। কারণ হঠাৎ করে নতুন ছাতাও ভেঙে যায়। তখন এগুলো মেরামত করা ছাড়া উপায় থাকেনা। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

 last year 

শরৎকালের আকাশ এই ভালো এই খারাপ থাকে৷ শরৎকালের আকাশ আর মেয়েদের মন একই রকম৷

কথাটি খুবই ভালো লাগছে। একদম হাছা কথা কইছেন ভাইয়া। আর মেয়েদের জন্য ছাতার দোকানে এতো ভির থাকো কারণ এদের রোদ হলেও ছাতা লাগে বৃষ্টি হলেও ছাতা লাগে।

আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম ছাতা মেরামত করা কারিগর গুলোর কোন নির্দিষ্ট দোকান থাকে না। ফুটপাতে বসে তারা ছাতা মেরামত করেন। এখন আর বেশি একটা ছাতা মেরামত করা দেখা যায় না। ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে সবাই নতুন ছাতা কিনে নেয়। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যা

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62068.40
ETH 2417.32
USDT 1.00
SBD 2.56