আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি আজকে মন্মথপুর কো-অপারেটিভ রাইস মিল নিয়ে হাজির হয়েছি।
এবার আমি চলে যাচ্ছি মূল রাইসমিলে।এই রাইসমিলটি টিন ও লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরী। এখানে মনেহয় একটি গুদামঘরও রয়েছে। আসলে এখানে এমন একটা ভৌতিক পরিবেশ তৈরী হয়েছে যে যেকেউ একজন স্বাভাবিক মানুষ এখানে ঢুকতে ভয় পাবেন।তাই আমি এখানকার ভিতরের কথা কিছু বলতে পারছি না।এখানে ধান সিদ্ধ করা থেকে শুরু করে ধান শুকানো,ধান থেকে চাল বের করা অর্থ্যাৎ সকল কাজ এখানে করা হতো। এখানে ধান শুকানোর জন্য ইট সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করা বড় একটি মাঠ (আমাদের গ্রামের ভাষায় চাতাল বলি) রয়েছে।এটি মূলত অফিস ঘরের পিছনের দিকে অবস্থিত।এখানে এখন ভুট্টা ব্যবসায়ীরা এটিকে সংস্কার করে এখানে ভুট্টা শুকান।তাছাড়া অন্যান্য মৌসুমে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।এখন এখানে পাটখড়ি শুকাতে দেওয়া হয়েছে। মাঠটির শেষভাগে ধান ভিজানোর জন্য একটি হাউজ রয়েছে এবং ধান সিদ্ধ করার জন্য একটি চুল্লী রয়েছে। সেগুলো এখন প্রায় ভগ্নদশায় পড়ে আছে এবং অনেক গাছ জন্ম নিয়েছে।এমনকি সে গাছগুলোও এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।
পোস্ট অফিস
মূল ভবনের একপাশে মন্মথপুর পোস্ট অফিস রয়েছে। এই পোস্ট অফিসটি সম্পর্কে আমি এর আগেও একটি পোস্ট শেয়ার করেছি।তবুও জানিয়ে রাখি যে এই পোস্ট অফিসটি এখন সবসময় বন্ধ থাকে।কয়েকবছর আগেও এ পোস্ট অফিসটি চালু ছিল।আমার এক দাদু সেখানে চাকরি করেন।এখন শুরু এখানে বিভিন্ন সরকারি নোটিশ ও চাকরির কাগজ আদান প্রদান করা হয়। এর আশেপাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর। চারিদিক গাছপালা দিয়ে ঘেরা।
![IMG_20230905_175246.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYLw823M5Pv2Q8MEq2jPVHk8qZWBGxcc16qDu4FmvjiLA/IMG_20230905_175246.jpg) |
এই জায়গাটিকে ঘিরে আমার কিছু স্মৃতি রয়েছে। প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন আমরা এখানে প্রায়ই আসতাম।এর পাশেই আগে আখের খেত ছিল।সেখান থেকে আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে আখ খেতাম।তাছাড়া এখানে জামের গাছ রয়েছে তখন আমরা জাম কুড়িয়ে খেতাম। সেখানে বেশ কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল।আমরা টিফিনের সময় সেখানে গিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মালা বানাতাম।পরে সেগুলো স্কুলে নিয়ে আসতাম। প্রতিবছর এখানে যাযাবররা আসে।আমরা সেখানে গিয়ে বানর,সাপ ইত্যাদি দেখতাম ও তাদের জনজীবন দেখতে যেতাম।তাছাড়া সার্কাসের সময় সেখানে হাতি বেঁধে রাখত।আমরা দল বেধে হাতি দেখতে যেতাম।এখনে একবার যাত্রাপালাও হয়েছিল।এই জায়গাটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং এটি সংস্কার করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।অনেকেই এই জায়গায় কিছু অংশ দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছেন।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
আপনার দেখানো কো-অপারেটিভ রাইস মিলটি দেখতে অনেক ভালো লাগলো। কারণ এই রকম অনেক মিল দোকান ইত্যাদি চারদিকে পড়ে আছে। সেগুলোর মধ্যে আপনি রাইস মিল অামাের সামনে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1703066175109054634?t=aC-FJiIEqCiSIxFvLCmpoQ&s=19
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ।
মান্মথপুর কো অপারেটিভ রাইস মিল নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন করেছেন আপু, প্রতিযোগিতায় আপনার এই পোস্ট নিয়ে কিছুটান জেনেছিলাম, অনেক পুরাতন একটি রাইস মিলে এটি। এতটাই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দেখে ভুতুড়ে মনে হবে। দিনাজপুর ধানের অঞ্চল এই অঞ্চলে অনক আগে থেকেই রাইসমিল স্থাপন করা হয়েছিলো। পোস্ট অফিস টি অনেক পুরাতন, আপনার দাদু পোস্ট অফিসে চাকরি করতো শুনে ভালো লাগলো। অনেক জায়গায় পোস্ট অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ইন্টারনেটের যুগ, মানুষ হাতের নাগালেই এখন সবকিছু করে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
কো-অপারেটিভ রাইস মিলটি তো বেশ পুরাতন মনে হচ্ছে। ইরানি যাযাবর আসলে আমি অনেক দিন ধরেই কোথাও দেখিনি। আগে আমিও এদের কাছে থেকে সাপের খেলা এবং বানরের খেলা দেখতাম।যাইহোক এখন এর চাতালটি কাজে লাগে। সুন্দর লিখেছেন আপু আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন আপনি রাইস মিলটি সম্পর্কে। আমার কিন্তু ভৌতিক পরিবেশে বেশ ভয় লাগে। তবে এখনও রাইস মিলটি বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচেছ। আর এটা বেশ ভালো একটি উদ্যোগ। এখন ইন্টানেটের যুগে পোস্ট অফিস গুলো কিন্তু আর আগের মত চলে না। তবুও জেনে ভালো লাগলো যে আপনার দাদু পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। দারুন পোস্ট ছিল কিন্তু ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু।
আপনি এই মিল সম্পর্কে আগের পর্বে অনেক কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই পর্বেও আপনি অনেক কিছু তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। আশা করি এই মিলটি আমি কোন এক সময়ে ঘুরতে যাব। আমার খুব ইচ্ছে এখানে যাওয়ার। এটি ভবের বাজার থেকে কাছে হয়তো আমার সঠিক ঠিকানাটা জানা নেই। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাদের কাছে জেনে নেব এটি কোথায় অবস্থিত। এই মিলের অবস্থা এখন আর তেমন ভালো নেই। এটি জঙ্গল দিয়ে ভরে গেছে। এই রাইস মিল যখন চালু ছিল তখন হয়তো অনেক মানুষ এখানে চাল তৈরি করার জন্য আসতো। তবে রাইস মিলটি কেন বন্ধ হয়ে গেল তা আমার সঠিক জানা নেই। এটি আমাদের এই অঞ্চলের জন্য একটি বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী মিল ছিল। আপনি বেশ চমৎকার তোলেন ছবিগুলো ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ। ভবের বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে ৫ মিনিটের রাস্তা দাদা।
ধন্যবাদ
মন্মথপুর কো-অপারেটিভ রাইস মিলটি অনেক আগের ও পুরনো একটি মিল। এটি এখন পড়ে আছে । এই মিলের আশপাশ অনেক জঙ্গল দিয়ে ভরে গেছে। এই মিলের সাথে একটা পোস্ট অফিস আছে সেটিও এখন বন্ধু অবস্থায় আছে। মন্মথপুর কো-অপারেটিভ রাইস মিলটি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
মন্মথপুর কো-অপারেটিভ রাইস মিল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। তবে চারপাশের পরিবেশ বেশ ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। কিন্তু মিল এর চারপাশে বিভিন্ন ধরনের অনেক গাছপালা দেখা যাচ্ছে। মূল ভবনের একপাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই পোস্ট অফিসটি সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। এখনো পোস্ট অফিসের পোস্ট করার মত কোন চিঠি থাকে না বলেই হয়তো এই পোস্ট অফিস গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি সুন্দর লিখেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
দেখেই মনে হচ্ছে একটা ভৌতিক পরিবেশ। চারপাশে গাছ ও আগাছায় ভরে গেছে চারপাশের পরিবেশ। রাতের বেলা সেখানে গেলে নিশ্চয়ই ভুতে ধরবে। কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ আমাদের স্কুলেও একটা বড় ছিল যখন সিজন সময় আসত এত পরিমাণ ফুল ফুটতো যে বলার বাইরে। সবাই সেই কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে খেলা করতাম। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আমিও খেলতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।