একজন ভ্রাম্যমান চপ বিক্রেতা

in STEEM FOR TRADITIONN10 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি একজন ভাজাপোড়া বা চপ বিক্রেতা নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।

IMG-20230920-WA0010.jpg

খাদ্য আমাদের একটি মৌলিক চাহিদা। আর এই চাহিদাটি পূরণ করতে আমাদের নানান কিছু করতে হয়। কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে সংসারের হাল ধরে। আবার কেউ অপ্রাপ্ত বয়সের হয়েও খুব অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরেন। আমার গল্পে আজকে আসছেন তেমনই একজন চপ বিক্রেতা।জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অনেক কিছুই তো করতে হয়।কিছুদিন আগে আমি দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম। মেলায় ঢুকার আগেই আমরা কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করি। তখন আমার হালকা খিদে পেয়েছিল। তাই আমি ভাবলাম যে ভাজাপোড়া জাতীয় কিছু খাবার খাই।

IMG-20230920-WA0001.jpg
IMG-20230920-WA0009.jpg
IMG-20230920-WA0008.jpg

আমি প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করলাম,তোমার বাসা কোথায়? তখন সে আমাকে বলে যে তারা এখানকার স্থায়ী নয়।ওদের বাসা মূলত বীরগঞ্জে।সে এবং তার মামা মিলে দিনাজপুরে একটি হোটেলে থাকছে।তারা মূলত মেলা উপলক্ষেই দিনাজপুর শহরে এসেছে ব্যবসা করতে ।তবে এই দোকানটি তারই।আমি সেখানে বেশ কয়েকটি চপের দোকান লক্ষ্য করলাম। তবে তার দোকানটাই আমার বেশি পছন্দ ছিল। ও গরম গরম জিনিস মানুষকে খাওয়াবে বলে আগে থেকে বেশি করে ভেজে রাখেনি।তাছাড়া আমি দেখলাম আশেপাশের দোকান থেকে তার চাঁদা তোলা হচ্ছে। আমি তাকে বললাম যে তোমার থেকে কত টাকা চাঁদা নেওয়া হয়?তখন সে বলল যে সবার কাছ থেকেই চাঁদা নেওয়া হয় তবে আমার কাছ থেকে তারা চাঁদা নেয় না।তার এই দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের চপ আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে স্যান্ডউইচ,রসুনের চপ,গলদা চিংড়ির চপ,ছোট চিংড়ির চপ, রসুনের স্টিক চপ,ডালের চপ ও ডিমের চপ পাওয়া যাচ্ছিল। আমি তার কাছ থেকে দুটি স্যান্ডউইচ ও একটি রসুনের স্টিক চপ নেই। স্যান্ডউইচটি মূলত ডিম দিয়ে তৈরি ছিল। এটির দাম ছিল ২০ টাকা। আর রসুনের চপগুলো দশ টাকা করে। গলদা চিংড়ির চপ গুলোর মূল্য ছিল ৪০ টাকা করে। তবে এখানে চিংড়ির ১৯ জোড়া উপাঙ্গই দেখা যাচ্ছে। সেগুলো দেখেই আমার কেমন লাগছিল। তাই ওগুলো আর আমি খাইনি।

IMG-20230920-WA0007.jpg
IMG-20230920-WA0006.jpg
IMG-20230920-WA0005.jpg

এই ধরনের দোকানগুলো বিভিন্ন ধরনের মেলাতেই বেশি বসে। তবে দিনাজপুরের বড় মাঠে অনেক স্থায়ী দোকানও রয়েছে। এই ধরনের দোকানগুলোতে খুবই ভালো আয় হয়। কারণ এই ধরনের দোকানে কোন বাকি বকেয়া থাকে না। সবকিছুই নগদ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। তাই এর ব্যবসা খুবই লাভজনক। আর ছেলেটির হাতের দক্ষতা ও ভালো। আমি দেখলাম ও খুব তাড়াতাড়ি চপগুলো কড়াইতে ভাজার জন্য দিচ্ছে।তবে এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

IMG-20230920-WA0004.jpgIMG-20230920-WA0003.jpg
IMG-20230920-WA0002.jpg
ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্যঃ
ডিভাইসরেডমি ১০ সি
ক্যামরা৫০ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@tamannafariah
লোকেশনবড়মাঠ, দিনাজপুর

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Sort:  
 9 months ago 

আমরা মেলায় গেলে বিভিন্ন রকমের দোকান দেখতে পাই। এই দোকানগুলোর মধ্যে ভাজা পোড়ার দোকান অন্যতম। এই দোকানগুলো মেলায় না থাকলে মেলা যেন জমে উঠে না। আপনি যে চপের দোকানটি নিয়ে আলোচনা করেছেন সেটি আসলেই অনেক সুন্দর এবং পরিষ্কার মনে হচ্ছে। এখানে অনেক ধরনের আইটেমের চপ দেখা যাচ্ছে। আপনি সবগুলো আইটেম নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। সব থেকে আমার বেশি মজা লাগে খেতে চিংড়ি মাছের চপ। মেলায় মানুষ তাদের বিভিন্ন রকম দোকান নিয়ে আসে এভাবে এনারা উপার্জন করেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। আশা করি আপনি অনেকগুলো চপ এখানে খেয়েছেন এবং আপনি মেলায় অনেক মজা করেছেন। তবে মেলায় জেমস কবে আসবে সেটি জানা হলো না ঐদিন আমরা সবাই যাওয়ার প্লান করেছি। দেখা যাক কবে আসেন উনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

 10 months ago 

চিংড়ি মাছের বড়া ও ডিমের বড়া এইসব খেতে অনেক মজা লাগে। তাছাড়া তেল এর জিনিস গরম গরম অনেক মজা লাগে। তাছাড়া এইসব দোকান আমরা বিভিন্ন ধরনের মেলায় বা মাহফিলে দেখতে পারি। এইসব দোকান এর মধ্যে আমরা মুখরোচক খাদ্য পেয়ে থাকি। আর আপনি এইসব একটি দোকান নিয়ে আমাদের সামনে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

 10 months ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আপনার দেখানো চপ গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালোলাগে চিংড়ি মাছের চপ। বয়সে কাছে দায়িত্ব আসলে অনেক সময় জিতে যায়। মেলায় দেখানো এই দোকান গুলোতে অবশ্য ভালো বিক্রি হয়ে থাকে এতে করে যে আয় হয় সেই টাকা দিয়ে সংসার চলে। ছবি গুলো সুন্দর তুলেছেন আপনি।

 9 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

ভ্রাম্যমান চপ বিক্রেতা সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আসলে আমাদের দেশে এখন নানান ধরনের ফাস্টফুড দেখা যায় এবং এগুলোতে আমাদের আকর্ষণ এখন একটু বেশি থাকে। কেননা আমরা এগুলো খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং এগুলো খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়। কেননা এই খাবারগুলো দিনকা দিন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে যে এগুলো ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক লোকেরা পর্যন্ত এই খাবার গুলো বেশি পছন্দ করে থাকে। অন্যের কথা কি বলবো আমারে সবচেয়ে পছন্দের খাবার এগুলো বাজারে অথবা মেলায় আমি এগুলো দোকান দেখলেই এক পিছ হলেও খেয়ে যাব কারণ আমার অনেক পছন্দের খাবার এগুলো আমাকে এগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে.

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

একজন ভ্রাম্যমান চপ বিক্রেতাকে নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। দিনাজপুর বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে মেলার গেটের সামনে বেশ ভালোভাবেই এই খাবারের দোকানগুলো লেগেছে। লোকানগুলোর সামনে দিয়ে গেলে সবাই ডাকে এই ভাইয়া এই দিকে আসেন, এই মামা এই দিকে আসেন। তবে এই খাবারগুলো অসাস্থকর হয়ে থাকে।

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 months ago 

একজন ভ্রাম্যমান চপ বিক্রেতা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আমার জানামতে চপ সবারই অনেক পছন্দের একটি খাবার। পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল থাকার পরেও মানুষ চপ খেতে খুবই পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিকেল বেলা চপ খাওয়ার মজাই আলাদা। বড় চিংড়ি এবং ছোট চিংড়ির চপ গুলো বেশি ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের দোকান গুলো বিভিন্ন মেলাতে এবং ওয়াজ মাহফিল গুলোতে দেখা যায়। এছাড়াও খেলাধুলার জায়গায় গ্রাম্যমান চপ বিক্রেতা গুলোকে দেখা যায়। চপ আমার নিজেরও অনেক পছন্দের একটি খাবার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পছন্দের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

 9 months ago 

একজন ভ্রাম্যমাণ চপ বিক্রেতা নিয়ে দারুণ পোস্ট লিখেছেন। জীবিকার তাগিদে সব বয়সের লোক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে। আর এই ভ্রাম্যমাণ চপ বিক্রেতা দোকান গুলো সব জায়গায় দেখা যায়। তবে বিশেষ করে মেলায় এই চপ বিক্রেতা দোকান বেশি দেখা যায়। ভাজাপোড়া খাবার দেখলে মন কার না খেতে চায়। আমার অনেক পছন্দের খাবার হলো ডিম চপ। আসলে এই দোকানে চপ বিক্রি তার টাকা দিয়ে সংসার চলে।

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ভ্রাম্যমান এই দোকানগুলো সচারচর যেখানে মানুষের বেশি আনাগোনা থাকে সেইখানেই দোকানগুলো বসে থাকে। এই দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যায় যেগুলো কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে। চিংড়ি মাছের যে বড়া পাওয়া যায় সেটি খেতে আমার বেশ ভালো লাগে তাছাড়া ডিমের যে সব পাওয়া যায় সেটি আমার সবথেকে ফেভারিট। যেখানেই দোকানগুলো দেখব সেখানেই কমবেশি খেয়ে থাকি। যাইহোক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 56400.87
ETH 2980.27
USDT 1.00
SBD 2.19