||গাবতলী মাছের বাজার||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
শহরে এবং গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় মাছের বাজার বসে। গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় বিভিন্ন মোড়ে সকালে অথবা বিকেলে মাছের বাজার বসে। শহরাঞ্চলে তো এমনও বাজার রয়েছে সেগুলো সকাল থেকে শুরু হয় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। এখানে একটি মাছের বাজার দেখা যাচ্ছে,এটি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায়। প্রতিদিন খুব সকালে এই মাছের বাজার শুরু হয় এবং শেষ হয় রাত্রে নয়টায়।
মাছের বাজারে যেতে কারোরই ভালোলাগার কথা নয় কিন্তু যখন বড় বড় মাছগুলো দেখা যায় তখন অনেক ভালো লাগে। এই বাজারে বিভিন্ন পুকুরের চাষের মাছের পাশাপাশি নদীর অনেক মাছ পাওয়া যায়। গাবতলী থেকে যমুনা এবং বাঙালি নদী খুব কাছে হওয়ায় সহজেই নদীর মাছ এখানে এনে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সাথে সাথে মাছের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে।এক সময় দেখতাম বছরে নির্দিষ্ট কয়েক মাস মাছের দাম অনেক কম থাকতো। বর্তমানে আর সেরকম দেখা যায় না। বর্তমানে পরিস্থিতি এরকম, যে মাছের দাম একবার বৃদ্ধি পাবে আর কখনো কমে না উল্টো আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
এই বাজারে দোকানদারদের কিছু কিছু সময় ভাগ করে দেওয়া আছে।অনেকে খুব সকালে এসে দুপুর পর্যন্ত এখানে মাছ বিক্রি করেন। কিছু বিক্রেতা আছে তারা বিকালে এসে রাত পর্যন্ত মাছ বিক্রি করেন। মূলত নদীর মাছগুলো খুব সকালবেলা পাওয়া যায়। জেলেরা নদীতে রাতে মাছ ধরে এবং সেই মাছ খুব সকালে তারা মাছ বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেন।
এখানে যে আইর মাছগুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো নদীর।আমি মাছ বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করছিলাম এগুলো কোথা থেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বললেন সারিয়াকান্দির প্রেম যমুনার ঘাট থেকে এগুলো কিনে এনেছি। আমি দাম জিজ্ঞেস করছিলাম তিনি বললেন এক কেজি ৮০০ টাকা। এ বাজারে ছোট মাছগুলোর দাম মোটামুটি অনেক বেশি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।মাছের দাম শুনে আমার অনেক শান্তি লাগলো কেনার আর আগ্রহ হলো না।
এখানে বিভিন্ন প্রকার মাছের পাশাপাশি কুছিয়া, ব্যাঙ এবং কাকড়া পাওয়া যায়। ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়ার পোড়াদহে জামাই মেলা হয় তখন এই বাজারে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। এই বাজারে বিক্রেতাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ বাজার কমিটিকে টাকা দিতে হয়।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
মাছের বাজার সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন এখন প্রায় মাঝে মাঝে মোড়ে মাছের বাজার দেখা যায় এবং এগুলো সকালে অথবা বিকালে বসে থাকে বেশিটা সময়। এবং কোন কোন বাজার আবার সকাল থেকে শুরু করে রাত্রি পর্যন্ত তাদের বেচাকেনা অব্যাহত রাখে। এবং মাছে অনেক ধরনের আমিষ থাকে তাই মাছ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এবং এই মাছ আমাদের দৈনন্দিন রুটিন এর মধ্যে পড়ে গেছে কারণ মাংসের যে পরিমাণ দাম। মানুষের চাহিদার বিপরীত। তাই মানুষ মাছ বেশিটা কিনে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1703349863482872251
বগুড়ার গাবতলী মাছের বাজার সম্পর্কে আমার জানা আছে। কারণ পার্বতীপুর থেকে অনেক পুকুরের মাছ এই বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মাছের বাজার অনেক বড়। এখানে অনেক বড় বড় মৎস্য ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা এখানে মাছ বিক্রি করে থাকেন। এখানে মাছের দাম হয়তো একটু বেশি এখন সবখানে মাছের দাম একটু বেশি। কারণ মাছ চাষ করতে গেলে অনেক টাকার দরকার হয়। মাছের খাদ্যের দাম অনেক পরিমানে বেড়ে গেছে। এজন্য মাছের দাম বেড়ে গেছে। আপনার দেওয়া ছবিগুলোতে আমি দেখতে পাচ্ছি অনেক ধরনের মাছ আছে এই বাজারে। অনেক জাতের মাছ আমি দেখতে পাচ্ছি যে মাছগুলো আমরা এদিকে দেখতে পাই না। তবে এখন বাজারগুলোতে দেশি মাছ কম দেখা যায়। কারন দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশি মাছ আরো কমে গিয়েছে। জমিতে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা ফলে দেশি মাছ গুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এজন্য এই মাছগুলো আর বাজারে তেমন দেখা যায় না। যদিও এই দেশি মাছ গুলো বাজারে পাওয়া যায় সেগুলোর দাম অনেক হয়ে থাকে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মাছের বাজার নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য
গাবতলী বাজার মনে হয় সব জায়গাতেই রয়েছে আমাদের এইখানেও একটা বাজার রয়েছে গাবতলী বাজার। বর্তমান সময়ে আমাকে বড় মাস এসেছে ছোট মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া কুচিয়া আমাকে খেতে বেশ ভালো লাগে বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে অনেক কয়েকবার এই মাছ খেয়েছিলাম। ভুনা পাক করলে যে টেস্ট হয় তা বলার বাইরে। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
গাবতলী মাছের বাজার সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এসব বাজার গুলোতে নদীর মাছ বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে বড় মাগুর মাছটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। এবং বাজারটি দুই ভাগে ভাগ করা জেনে খুবই ভালো লাগলো। গাবতলীতে অতিরিক্ত মাছ বিক্রেতা থাকার কারণে হয়তো বাজারটি দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সারিয়াকান্দি প্রেম যমুনার আইর মাছ দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
গাবতলী মাছের বাজার নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন ভাই, এই বাজারে দেখছি অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়। মাছ গুলো দেখেই তো লোভ লেগে গেলো ভাই। এই বাজারে চাষের মাছ এর পাশাপাশি অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়। যেগুলো অনেক দিন পর দেখলাম ভাই, গ্রামে থাকতে আমি অনেক মাছ ধরেছি। এই বাজারে দেখছি কুছিয়া মাছ এবং ব্যাঙ ও কাঁকড়া পাওয়া যায়। অনেক দিন পর দেশি মাছ দেখে মনটা ভরে গেলো ভাই, সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ভাইয়া কুছিয়াটা তো বেশ বড় মনে হচ্ছে। আমাদের পার্বাতীপুর শহরেও ভোর থেকে মাছের আড়ত শুরু হয়ে যায়। নদীর মাছ গুলো মূলত সকালে বিক্রি করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। আমাদের তিলাই নদীতে এখন অনেক মাছ ধরা পড়তেছে তারা আবার গ্রামের মোড়েই মাছ বিক্রি করে। তবে তুলনামূলক বাজারের থেকে নদীর মাছের দাম বেশি নেয় ভাই। অনেকদিন পর আপনার তোলা ছবিতে মৌকা মাছ দেখলাম ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রাম অঞ্চলে অনেক ছোট্ট ছোট্ট মাছ বাজার দেখছি। কিন্তু এই মাছ বাজারটা অন্য রকম। আমাদের আশেপাশে সকালবেলা মাছ নিয়ে আসলে কিছু সময় পর সেটা শেষ হয় আনার রাতে আসলে রাতে বাজার করে চলে যায়। কিন্তু এটা তো সকালবেলা বসালে সারাদিন থাকে। এই রকম থাকলে কেউ মেহমান আসলে অতি সহজে তাকে আমরা সম্মান করতে পারবো। তার উপর এ রকম বাজার আগে কখনো দেখি নাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি বাজার আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ
মাছগুলো দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। আবার লোভও লাগছে। কিন্তু যে হারে দিনে দিনে মাছের দাম বাড়ছে তাতে করে আগামীতে মাছ না খেয়েই থাকতে হবে মনে হচ্ছে। এক সময়ে দেখা যেত মাছের দাম উঠা নামা করছে। কিন্তু এখন তো একবার দাম বাড়লে আর নামতেই চায় না। পোস্টি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ আপু
মাছের দোকান শহরে বা গ্রামে সকল স্থানে দেখা যায়।আপনি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মাছের বাজার নিয়ে অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।মাছ পাওয়ার আপনি সময় উল্লেখ করেছেন।একটি কথা জানতে পেলাম তা হলো যে মাছের দাম একবার বৃদ্ধি পাবে আর কখনো কমেনা উল্টো আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।মাছ বিক্রেতার নির্দিষ্ট সময় ভাগ করা আছে তাও উল্লেখ করেছেন।মাছের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।মাছের দামও উল্লেখ করেছেন।আমি মাছের দাম জানিনা অনেক কিছুই জানলাম আপনার এ পোস্ট থেকে।ফেব্রুয়ারিতে বগুড়ায় পোড়াদহে জামাই মেলা হয় তাও জানা হলো।মাছ বিক্রেতা গুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয় তাও উল্লেখ করেছেন।আপনার পোস্ট পড়ে আমার মতো যাদের জানা নেই এসব বিষয় তাদের অনেকেরই অনেক কিছু জানা হলো আপনার এ পোস্ট দেখে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য