গ্রামীণ ঐতিহ্য কাঁচা রাস্তা
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি গ্রামীণ ঐতিহ্য কাঁচা রাস্তা নিয়ে আলোচনা করবো। তো বন্ধুরা বেশী দেরি না করে শুরু করা যাক। |
---|
কাঁচা রাস্তা হলো গ্রামীণ ঐতিহ্য। গ্রামে গেলে কাঁচা রাস্তার দেখা মিলবেই। আপনারা যারা শহরে থাকেন তারা হয়তো কাঁচা রাস্তা খুব কমই দেখেন। কিন্তু গ্রামে গেলেই কাঁচা রাস্তা দেখা যায়। আগে যখন আমাদের দেশ এতো উন্নত ছিলো না তখন প্রায় সব রাস্তাই কাঁচা রাস্তা ছিলো এবং এই কাঁচা রাস্তাতেই রাজা বাদশাহদের ঘোড়ার গাড়ি চলতো। এই কাঁচা রাস্তার একটা সুবিধা হলো পাকা রাস্তা নষ্ট হয়, কিন্তু কাঁচা রাস্তা সহজে নষ্ট হয় না ফলে মেরামতও করতে হয় না। যার কারনে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে এই রাস্তা। কেননা গ্রামের এই কাঁচা রাস্তাগুলোতে শহরের পাকা রাস্তার মতো অতো বেশী গাড়ি ঘোড়া চলে না, যার কারনে রাস্তার উপরও তেমন বেশ চাপ পরে না এবং রাস্তা সরক্ষিত থাকে।
আসলে গ্রামের রাস্তাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। তবে আমাদের গ্রামটা ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার কারনে আমাদের গ্রামের রাস্তাগুলো অতোটাও সুন্দর না। এমন অনেক গ্রামের রাস্তা আছে যেগুলোর দুই পাশে তালের গাছ ও খেজুরের গাছ ওই রাস্তাগুলো দেখলেই প্রানটা জুড়িয়ে যায়। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত আমাদের গ্রামে তেমন সুন্দর রাস্তা নেই। আজকাল গ্রামগুলো অনেক উন্নত হচ্ছে যার কারনে আগের মতো আর সৌন্দর্য দেখা যায় না এবং রাস্তাগুলোও উন্নত হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের আসল সৌন্দর্য থাকে এর ভিতরে থাকা কাঁচা রাস্তায়। গ্রামের ভিতর কাঁচা রাস্তা না থাকলে সেটাকে গ্রাম গ্রাম মনে হয় না। কেননা কাঁচা রাস্তা হলো গ্রামে প্রান।
বৃষ্টির দিনগুলোতে কাঁচা রাস্তায় অনেক পানি জমে থাকে এবং রাস্তার মধ্যে অনেক কাদা হয়। মানুষসহ যানবাহনের চলাচলের অনেক অসুবিধা হয়। তবে ছোটবেলায় বৃষ্টির দিনগুলোতে আমরা রাস্তার মধ্যে স্লিপার দিতাম ও অনেকসময় ফুটবল খেলতাম। এখনো বৃষ্টির দিনগুলোতে ছোট বাচ্চাদেরকে কাঁচা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে খেলা করতে দেখি মাঝে মাঝে আমিও বল নিয়ে বের হয়ে আসি। আজ সকালে একটি দোকানে বসে বিস্কুট খাচ্ছিলাম আর টিভি দেখছিলাম ঠিক সেই সময়েই অনেক জোড়ে বৃষ্টি আসে। সেখান থেকেই কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। আসলে এই কাঁচা রাস্তা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও এটা গ্রামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। আমার মনে হয়, যতোদিন গ্রাম থাকবে ততোদিন কাঁচা৷ রাস্তাও থাকবে।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
---|---|
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | জমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
Vote for @bangla.witness
https://twitter.com/saikat01718/status/1705579674120917004?t=-1sIdQFishG0LpaDrg3-XA&s=19
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আসলে গ্রামের কথা মনে হলেই চোখের সামনে মাটির রাস্তাগুলো ভেসে ওঠে। আসলেই এটা আমাদের ঐতিহ্য বহন করে। মাটির রাস্তা গুলো দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে পাকা রাস্তা। মাটির রাস্তা গুলোতে বর্ষার দিনে পানি জমে থাকার কারণে প্রচন্ড কাঁদা হয়। মাটির রাস্তার পাশে বাড়ি ঘর ও গাছপালা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অংশ। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। চমৎকার এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামীণ ঐতিহ্য কাঁচা রাস্তা নিয়ে আপনি দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। কাঁচা রাস্তা গ্রামের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। প্রত্যেকটি গ্রামের ভিতর আগে কাঁচা রাস্তা ছিল। কিন্তু রাস্তাগুলো পাকা করার ফলে এখন কাঁচা রাস্তা আর তেমন দেখা যায় না। ক্লাস টু পর্যন্ত আমি কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটেছি।এরপর থেকে আমাদের গ্রামের রাস্তাটি ও পাকা হয়ে গিয়েছে। এখন কাঁচা রাস্তা সচরাচর দেখাই যায় না। আপনি ঠিকই বলেছেন বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তায় পানি জমে থাকে। এর ফলে অনেক কাদাও হয়ে থাকে। আপনারা রাস্তায় স্লিপার খেলতেন এটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন কাঁচা রাস্তা হলো গ্রামীণ ঐতিহ্য।গ্রামে এখনো অনেক জায়গায় কাঁচা রাস্তা রয়েছে।শহরে কাঁচা রাস্তা খুবই কম।আপনি আপনার গ্রাম সম্পর্কে অনেক কিছু সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।বৃষ্টির কারণে সব জায়গায় কম বেশি পানি জমে।যে সব জায়গা নিচু সেখানে পানি জমে।ফলে কাঁদা হয়।আপনি আপনার খেলার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা রাস্তা এখন অনেক কমে গিয়েছে।একবারে গ্রামে গেলে এসব রাস্তা দেখা যায়। এইগুলো রাস্তা দেখতে বেশ ভালো লাগে। আপনি কাঁচা রাস্তা নিয়ে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।কাঁচা রাস্তায় যদি গাছ থাকে তাহলে বেশ সুন্দর লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের আসল ঐতিহ্য এই কাঁচা রাস্তা। এই মেঠো পথ দিয়ে খালি পায়ে হাটতে সেই মজা লাগে।যদিও বৃষ্টি আসলে একটু সমস্যা হয় তথাপি গ্রামের এই মেঠো পথ হাটার মজাই অন্য রকম। তবে বর্তমানে গ্রামের এই মেঠো পথ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে সব গুলো এখন পাকা রাস্তায় পরিনত হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাঁচা রাস্তা নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এরকম কাঁচা রাস্তা গুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। তবে আমার মনে হয় আর বেশি দিন কাঁচা রাস্তা থাকবে না। তবে আপনি একটি কথা ঠিকেই বলেছেন অনেক গ্রামে আছে কাঁচা রাস্তার দুই পাশ দিয়ে খেজুরের গাছ সেই রাস্তা গুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় ভাইয়া। তবে আমাদের এই দিকে খেজুরের গাছ না থাকায় এমন সুন্দর রাস্তা গুলো দেখতে পারিনা। আর কাঁচা রাস্তা গুলো নষ্ট না হওয়ার কারণ হলো এই রাস্তা গুলোর উপর দিয়ে বেশি একটা গাড়ি চলাচল করে না তাই রাস্তা বেশি নষ্ট হয় না। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।