|| রেসিপি :-- ডিমের বড়ার অনেক সুন্দর একটি রেসিপি ||
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার পোস্ট সকলের অনেক ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ.... |
---|
নাম | উপকরণ |
---|---|
তেল | পরিমাণ মতো |
আদা | তিন পিস |
পিঁয়াজ | আট পিস |
রসুন | তিন পিস |
মরিচ | পাঁচ পিস |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
মসলা | পরিমাণ মতো |
ডিম | দুই টা |
আলু | ১০০ গ্রাম |
ময়দা | ২০০ গ্রাম |
প্রথমে আমি আলু সুন্দর করে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এবং পরিষ্কার করে নেওয়ার পর উপরে চামড়া গুলো সুন্দর কেটে নেই কেটে নেওয়ার পর আলু গুলো পিছ পিছ করে কেটে নেই। এবং এর পাশাপাশি আমি রান্নাতে দেওয়ার জন্য আদা গুলো পরিষ্কার করে সুন্দর করে কেটে নেই।
তারপর এবার আমি আলুগুলো কেটে নেওয়ার পর যেখানে রেখেছি সেখানে পিয়াজ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর আমি পেয়াজ সুন্দর করে পিস পিস করে কেটে আলুর মধ্যে দিয়ে দেই। এবং এই আলুর ওপর আমি লবণ পরিমাণ মতো দিয়ে দিয়েছি যতটুকু আমার রান্নার জন্য প্রয়োজন হবে।
তারপর আমি এখানে আগে তৈরি করে নেওয়া আদা দিয়ে দেই এবং আদার সাথে সাথে আমি এখানে হলুদ এবং লঙ্কার গুড়া দিয়ে দেই রান্নার জন্য যতটুকু আমার রান্নাতে দেওয়া লাগবে পরিমাণ মতো ঠিক ততটুকুই দিয়ে দেই আমি এখানে রান্নার জন্য।
এবং আমার রান্নার জন্য যা যা প্রয়োজন ছিল আমি ততটুকুই করে এখানে পরিমাপ করে দিয়ে দেই। এবং এরপর আমি এখানে আসল জিনিসটি ব্যবহার করি সেটি হলো ময়দা। কারণ এই রান্নাটি করার জন্য সবার আগে দরকার এই ময়দা তাই আমি এখানে দিয়ে দেই। পরিমাণ মতো কারণ বেশি দিলে আবার রান্নাটি পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণরূপে হবে না।
এবার আমি এখানে যা যা দিয়েছি সম্পূর্ণ গুলো একসঙ্গে মিশ্রিত করে নেই এবং একটু ভালোভাবে মিশ্রণ করে নেই যাতে কোন সমস্যা না হয় কারণে এগুলো সুন্দরভাবে মিশ্রণ করলে আমার রান্নাটি সম্পূর্ণরূপে ফুটে উঠবে, এবং খেতেও অনেক মজাদার হবে, এর প্রধান কারণ হলো এটাই।
![]() | ![]() |
---|
এবার আমি যে রান্নাটি তৈরি করতে যাচ্ছি এটি এগিয়ে নিলাম। দুঃখের বিষয় হলো আমি এখানে ডিমের পিক তুলতে একেবারেই ভুলে গিয়েছি। তাই আমি এখানে ডিমের পিক যুক্ত করতে পারলাম না কিন্তু পরবর্তী ধাপে আমি এর সুন্দর মুহূর্ত ফুটিয়ে তুলেছি যা আপনারা একটু পরে দেখতে পারবেন। তাই এবার আমি ডিম ভিতরে দিয়ে বাকি অংশগুলো সুন্দর করে মুড়িয়ে নেই রান্নাটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি করার জন্য।
তারপর এবার আমি ডিমের রেসিপি তৈরি করার জন্য গরম তেলে এগুলো দিয়ে দেই ভাঁজিয়ে নেওয়ার জন্য কেননা এটি শুধু তেলে ভাঁজার কারণে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে এবং দেখতেও অনেক লোভনীয় দেখাবে। এবং এই রেসিপিটি আমি তৈরি করার আগে প্রথমে মোবাইল ফোনের সাহায্য নিয়েছি কারণ এর আইডিয়া আমার মাথায় একদম ছিল না হুট করে মাথায় আইডিয়া এলো ফোন দেখে রেসিপি তৈরি করার ঠিক তখনই আমি এই রেসিপিটি তৈরি করি।
![]() | ![]() |
---|
এবার আমি এই রান্নাটি সম্পূর্ণ করার জন্য ধীরে ধীরে একটু তেলে ভেঁজে নিচ্ছি কারণ এগুলো জিনিস তাড়াতাড়ি হয় না একটু ধৈর্য নিয়ে ধীরে ধীরে ভাঁজিয়ে নেওয়া লাগে তাহলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। না হলে এগুলো সাইটগুলো পোড়া লেগে যায় এবং খেতেও একটা কিরকম গন্ধ লাগে।
অবশেষে আমি আমার রান্নাটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি করতে পেরেছি এবং এই রান্নাটি তৈরি করতে আমার প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে এবং ধৈর্য সহকারে একটু ধীরে ধীরে এগুলো তৈরি করেছি। যাতে করে দেখতে অনেক লোভনীয় হয় এবং খেতে অনেক মজা লাগে। যা আপনারা দেখে বুঝতে পারতেছেন।
এবং আমি আজকে প্রথম এই ডিমের বড়া রেসিপি তৈরি করলাম। এর আগে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করেছি কিন্তু এরকম নতুন একটি রেসিপি তৈরি করতে পেরে অনেক ভালো লাগতেছে। এবং সত্যি কথা হলো এখন বর্তমান আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করতেছি তাই স্মার্টফোন যারা যারা ব্যবহার করে স্মার্ট ফোনে চার্জ দিলে অনেক ধরনের সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখতে পাওয়া যায় এবং একটু ধৈর্য ধরে মাথা খাটিয়ে এগুলো তৈরি করলে অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা যায়।
ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
...
ডিমের বড়ার অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিম যুক্ত সব ধরনের রেসিপি গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে। এই রেসিপিটি আমিও খেয়েছি সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। অল্প সময়ে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি বিকেল বেলার নাস্তা হিসেবে খুব সুন্দর মানাবে। এছাড়াও আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। যে কেউ আপনার পোস্টটি ফলো করে এই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
My Twitter link...
https://twitter.com/Rimonkhan03/status/1704105284317347899?t=3gJqhwLbI8fhJMXf-KmpcA&s=19
আমরা অনেকে এ খাবারটিকে ডিমের চপ নামে জানি।অনেক সুন্দর করে আপনি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন এবং ছবি তুলেছেন এতো সময় দিয়ে ধৈর্য্যের সাথে আপনি পরিশ্রম দিয়ে খাবারটি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আমারও অনেক ভালো লাগে এ ডিমের বড়া।আমাদের বাসায় প্রায় এ খাবার তৈরি হয় এবং বাজার থেকেও কিনে আনা হয়।রোজা মাসে প্রতিদিন এ খাবারটি আমাদের বাসায় খাওয়া হয়।যারা বানাতে পারেনা আপনার পোস্ট দেখে অনেকেরই উপকার হবে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।এই ডিম এর বড়া আমি কখনও খাই নাই।আলুর সাথে ডিমের বড়া সেই লাগবে হয়তো।আপনি সবগুলো ধাপ বেশ চমৎকার করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি বাড়িতে চেষ্টা করব এভাবে বড়া তৈরি করার।আপনার রেসিপি আমার বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
বাহ্ দারুন তো ডিমের বড়ার বেশ দারুন একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার করা আজকের রেসিপিটি কিন্তু বেশ আকর্ষনীয় দেখাচেছ। মনে হয় খেতেও সুস্বাদু ছিল। আবার আপনার উপস্থাপনাও কিন্তু চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
চমৎকার একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। ডিমের বড়ার রেসিপিটি আসলেই অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। অনেক সহজ ভাবেই আপনি ফোনের সাহায্যে এই রেসিপিটি খুঁজে নিয়ে বাড়িতে বানিয়ে আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। বাঁড়া গুলো নিশ্চয় অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছিল!রেসিপিটি অবশ্যই আমি একদিন বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করব। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ডিমের বড়া খেতে অনেক মজা লাগে। আর আপনার তৈরি করা বড়াটি দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করার পাশাপাশি সুন্দর ভাবে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
খুবই সুন্দরভাবে ডিমের বড়ার রেসিপিটি দেখিয়েছেন। ডিমের বড়া বা ডিমের চপ কমবেশী সবাই খেতে পছন্দ করে। আমি বাইরে গেলে প্রায়ই ডিমের চপ খেয়ে থাকি। তবে সেগুলো সাস্থ্যসম্মত হয় না, কিন্তু তবুও মন মানে না। বাইরে গিয়ে এগুলো না খেয়ে বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াই উত্তম। এগুলো বানানো যে এতো সহজ সেটা আপনার পোস্ট না দেখলে বুঝতাম না।
ধন্যবাদ
ডিমের তৈরি বড়ার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসছে ভাই। আমি কখনোই ডিম বড়ার খাইনি। আপনি খুব সহজেই এতো সুন্দর করে ডিম বড়ার রেসিপি শেয়ার করেছেন। যেকেউ আপনার ডিম বড়ার রেসিপি পোস্ট দেখে বানাতে পারবে। আমি ও আপনার ডিম বড়ার রেসিপি পোস্ট এসহজেই বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিমের বড়া খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি প্রায়ই এই ধরনের খাবারগুলো খাই। তবে বাড়িতে এগুলো খুবই কম সময় তৈরি করা হয়। তাই বাইরে থেকে কিনে খেতে হয়। রমজান মাসে প্রতিদিনই আমাদের বাড়িতে ডিমের বড়া আনা হয়। আপনার রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। রান্নার রঙ অনেক সুন্দর হয়েছে। এগুলোকে ডিমের চপও বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ