স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আজকে আমি চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।
আগে এই বিদ্যালয়টির নাম শুধু মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় চিরিরবন্দর নাম ছিল। তবে ৮০ এর দশকে এই স্কুলটির নাম পরিবর্তন করা হয় এবং এর নাম রাখা হয় চিরিরবন্দরে মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয় এবং এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। মূলত এই বিদ্যালয়ের নাম ছড়িয়ে পড়ে ৮০এর দশক থেকে।আশির দশকে এই বিদ্যালয়ের অনেক ভালো করতেছিল রেজাল্টের দিক দিয়ে। এই বিদ্যালয় ছিল দিনাজপুরের ভেতরে অন্যতম প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে যারা অধ্যয়ন করেছিলেন তারা অনেকেই দেশের বিভিন্ন বড় বড় ভার্সিটিতে পড়ালেখা করেন।এর মধ্যে অন্যতম হলো বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা আমেরিকার বিভিন্ন রকম ভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন।
আমাদের চিরিরবন্দর বাসীর জন্য এই বিদ্যালয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার জন্য অনেক শিক্ষার্থী আসেন। বর্তমানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়।এই বিদ্যালয় ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনের আমি বিদ্যালয় ক্লাস করেছিলাম।আমি বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে যেতাম এই বিদ্যালয় ক্লাস করার জন্য। আমার এক ছোট ভাই ছিল আমাদের গ্রামের সে অবশ্য আমার থেকে দুই বছরের জুনিয়র ছিল। সে ও আমি আমরা দুজনে সকাল সকাল সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম স্কুলে।
পড়াশোনার পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মাঝে মাঝে স্কুলের মাঠে খেলা করতাম।আমরা অবশ্য তেমন বড় কোন খেলা করতাম না যখন টিফিন টাইম হতো তখন স্কুলের ঠিক এক কোনে একটি কাঠ ও একটি টেপ টেনিস বল দিয়ে ছোটখাটো ক্রিকেট খেলতাম। সেই অনুভূতিগুলো ছিল অন্যরকম। সেই দুই বছরে স্কুলকে যেন আপন করে নিয়েছিলাম। আমাদের শিক্ষকরা ছিল আমাদের প্রতি অনেক আন্তরিক। বিশেষ করে আমাদের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সুভাষচন্দ্র রায়।স্যার একটু মেজাজি টাইপের ছিলেন কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো লাগতো আমার। যদিও তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন স্কুলের।
বেশ কিছুদিন আগে আমি চিরিরবন্দরে গিয়েছিলাম তখন ভাবছিলাম যে স্কুলের ভিতরে ঢোকা যাক।তখন ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতেছিল। আমি ভিতরে ঢুকি কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই। তখন একজন স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা বললাম বেশ ভালো লাগলো স্যারের সঙ্গে কথা বলে।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দিনাজপুরের স্বনামধন্য স্কুল গুলোর মধ্যে চিরিরবন্দর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি অন্যতম ও নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমার সবচেয়ে পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ পাঁচ বছর আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। তাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। চিরিরবন্দরের অনেক পুরনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল এই চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। আমাদের প্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
X social media share link
https://twitter.com/kazirahul25804/status/1704801549577507281?t=v8yottOWui60R5qH7HP1Iw&s=19
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চিরিরবন্দর মডেল পাইলট হাইস্কুলটি সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি আগে থেকে অনেক সুনাম অর্জন করে আছে।এই প্রতিষ্ঠানে ভাল পড়ালেখা হয়।আমি ও বেশ কয়েকবার এই চিরিরবন্দর মডেল পাইলট হাইস্কুল গিয়েছিলাম। তবে এই স্কুলের পরিবেশ বেশ ভাল। আর পড়ালেখার ও ভালমানের হয়ে থাকে।সুনামধন্য চিরিরবন্দর মডেল পাইলট হাইস্কুল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
চিনির বন্দ র এই স্কুলের নাম অনেক শুনেছি কারণ এই স্কুলে নাকি পরীক্ষার রেজাল্ট অনেক ভালো হয়ে থাকে। তাছাড়া আমাদের গ্রামের অনেক কয়েকজন আছে চিনির বন্দরে থাকে সেখানে নাকি তারা পড়াশোনা করে। তাছাড়া স্কুলের যে পরিবেশ তা সত্যিই অনেক সুন্দর। আর যে মাঠ রয়েছে সেটা অনেক বড় মনে হয়। যাই হোক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চিরিরবন্দর মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমিও শুনেছি চিরিরবন্দরে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিষ্ঠান রয়েছে । যেগুলো অনেক সুনামধন্য। অনেক পুরাতন প্রতিষ্ঠান এটি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাই। কিছুদিন আগে চিরিরবন্দরে গিয়েছিলাম আমরা, তবে আগে জানলে ঘুরে আসলাম। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
চিরিরবন্দর উপজেলায় অনেক ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে অনেকগুলো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর শিক্ষার মান অনেক ভালো। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আমেনা বাকি স্কুল এন্ড কলেজ অন্যতম। এছাড়াও আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে চিরিরবন্দর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এবং পুরাতন বিদ্যালয় হচ্ছে চিরিরবন্দর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি কয়েক বছর আগে সরকারি বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষিত হয়। এই বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান বেশ ভালো। আমি এই স্কুলটি অনেক আগে থেকে চিনি। চিরিরবন্দর আমার বেশ ভালোই যাওয়া হয়। সেজন্য এই বিদ্যালয়টি আমি আগে থেকেই চিনি। আপনি এই বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য এবং ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিদ্যালয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটিতে আপনি দুই বছর পড়ালেখা করেছেন। সুতরাং এই বিদ্যালয়টিতে আপনার অনেক কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আপনি দারুণ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ দেখছি অনেক সুন্দর ও মাঠে খুব সুন্দর ঘাস রয়েছে।তবে আমাদের প্রধান শিক্ষক অনেক বন্ধুসুলভ ছিলেন। তিনি আমাদের বিভিন্ন কাজে উৎসাহী করতেন। আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চিরিরবন্দর বর্তমানের শিক্ষা নগরী হিসেবে গড় উঠেছে। এতো প্রাইভেট স্কুলের মধ্যে এখিনো সরকারি স্কুল টিকে আছে জেনে ভালো লাগল। স্কুলটি তো বেশ পুরতান ১৯৫১ সালে নির্মিত হওয়া বিদ্যালয় বর্তমানে কম দেখতে পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের মাঠ টি আনার ভালো লেগেছে ভাই। সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক কি মেজেজি হয় নাকি ভাই? ছবি গুলো সুন্দর তুলেছেন।
চিরিবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমার খালার বাড়ি চিরিবন্দরে। আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে আমি এই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। বিদ্যালয়টি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর। ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন।