ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করতেছি অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি নদীর বাঁধ সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে।গ্রাম বাংলার পরিচিতি সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি জানি। গ্রাম না শহর আপনাকে ভালো লাগে আপনাকে যদি এই প্রশ্নটি করা হয় তাহলে হয়তো অধিকাংশ মানুষই বলবেন যে আমাকে গ্রাম ভালো লাগে। কারণ গ্রামের প্রকৃতি আবহাওয়া সবকিছুই মনমুগ্ধকর।আমাদের এই বাংলাদেশ হলো কৃষি ভিত্তিক গ্রাম প্রধান দেশ। পল্লী জননীর বুকেই অধিকাংশ মানুষ বসবাস করে এবং তারা তাদের জীবন এই পল্লী জননীতেই অতিবাহিত করে।
গ্রাম বাংলার একটি অন্যতম দৃশ্য হলো নদী।আর এই নদীর ধার দিয়ে গড়ে ওঠে নদীর বাঁধ।আমরা প্রায় সবাই কমবেশি নদীর বাঁধ চিনে থাকি। এগুলো হলো নদীর পথের উপরে অবস্থিত রাস্তা অর্থাৎ নদীর দুই দিকে দুটি রাস্তায় হলো বাঁধ। বাঁধ সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি হলো নদীর পানি আটকানোর জন্য বাঁধ, আরেকটি হলো নদীর দুপাশে মাটি দিয়ে তৈরি বড় বড় বাঁধ। গ্রামবাংলায় মূলত বড় বড় বাঁধ গুলো তৈরি করার মূল কারণ হলো নদীর পানি যেনো উপরে উঠে গ্রামের ভিতরে না ঢুকে যায়। অর্থাৎ যখন বর্ষাকাল আসে তখন এই নদীর পানি গুলো নদীর দুই ধারে কানায় কানায় ভরে যায়। তখন এই বাঁধগুলো সাহায্য করে নদীর পানিকে গ্রামের ভিতরে না ঢুকতে।
| |
আপনারা ছবিতে যে বাঁধটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আত্রাই নদীর উপরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বাঁধ। বর্ষাকাল আসলে আত্রাই নদীর পানি অনেক বেড়ে যায় পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এখানকার স্থানীয় লোকজন এই বাঁধগুলোকে সংস্কার করে থাকেন। মূলত বলা চলে যখন থেকে নদী তৈরি হয়েছে তখন থেকে বাঁধ গুলো রয়েছে। বাঁধের উপর দিয়ে চলে গেছে ছোট্ট একটি রাস্তা। মূলত বাঁধ যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকেই রাস্তা শুরু এবং বাঁধ যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে গিয়েই রাস্তার শেষ। রাস্তার দুই ধারে অনেকগুলো জমি রয়েছে।এমনও বাঁধ রয়েছে যেগুলো সরকার পাকা রাস্তা করে দিয়েছেন মানুষের চলাচলের জন্য।
এই বাঁধটি হলো দিনাজপুর থেকে কাছেই আত্রাই নদীতে তৈরি বাঁধ। নদীর ধারেই আমার নানার বাড়ি অবস্থিত। ছোটবেলা থেকেই এই বাঁধে আমার আসা হয়। আমার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমরা দুজনে আগে এই দিকে আসতাম এবং খেলতাম। নদীতে গোসল করতাম সাঁতার কাটতাম। বাঁধের ধারে অনেকগুলো গাছ রয়েছে অনেক লিচুর গাছ রয়েছে। সেসব লিচুর গাছে আমরা চুরি করে লিচু খেতাম। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।
তো এইসব আমার কিছু লেখালেখি বাঁধ সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে আমার পোস্ট। |
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
Posted using SteemPro Mobile
কিছুটা সময়ের জন্য যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম পল্লী গ্রামের বুকে। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। আর সে যদি হয এমন মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি তাহলে তো আর কথাই নেই। দারুন রূপ বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে।আত্রাই নদীর তীরে এমন সুন্দর বাধঁ আছে তা দেখে বেশ ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/kazirahul25804/status/1703402701181325385?t=4NFA7g9KezqxUdhywRB6-w&s=19
নদীর বাঁধ নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। নদীর বাঁধ ফসলি জমি বাঁচাতে খুবই প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, এদেশের অসংখ্য নদনদী রয়েছে। নদী থেকে ফসলের জমিকে বাঁচাতে বাঁধ ব্যবহার করা হয়। এবং মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এটি। রাস্তা হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। বর্ষাকালে যখন বন্যার পানিতে মানুষের বাড়ি ঘর তলিয়ে যায়, তখন এই বাঁধ বন্যা থেকে মানুষের বসতবাড়ি রক্ষা করে দিনাজপুরের আত্রাই নদীর বাঁধ নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
নদী ভাঙ্গন এলাকায় এমন বাঁধ প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। নদীর পানি যেন গ্রামের মানুষের বাড়িতে ঢুকতে না পারে সেই জন্য এগুলো তৈরি করা হয়। আমাদের এই দিকে এটি দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য। ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
গ্রাম ভালো লাগার কারন হলো এর প্রকৃতি এবং আবহাওয়া। গ্রামের সৌন্দর্য মানুষের মন কাড়ে এবং নদীর পাড়ের আবহাওয়া আমাদের প্রশান্তি দেয়। নদীর পাড়ের এই রাস্তা গুলো দিয়ে চলাচল করতে বেশ ভালই লাগে। বাঁধের পাড়ের গাছের লিচুর চুরি করে খাওয়া আপনি অনেক উপভোগ করেন ভাই তাই না।
অনেক উপভোগ করি ভাই তাই তো ভালো লাগে।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
নদীর বাঁধ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অন্যতম মাধ্যম হলো এই নদী। এবং এই নদীর দুটি বাঁধ রয়েছে এইগুলো আমরা আমাদের কাজে ব্যবহার করি এবং এগুলোর নাম রাখা হয়েছে নদীর বাঁধ অথবা রাস্তা। মজার বিষয় হলো যেগুলো বড় বড় নদী ওগুলোর বাধ গুলো আরো অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয় এবং তার সাইডে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে এবং ওই রাস্তা গুলো পিস দিয়ে বানানো হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে মাঝে মাঝে বড় বড় ট্রাকও যাতায়াত করে থাকে। গ্রামাঞ্চলের ভাষা এগুলোকে শর্টকাট রাস্তা বলা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি একদম একেই বলেছেন বর্ষাকালে যেন ফাসলি জমির ক্ষতি না হয় সেজন্য এ ধরনের বাধ গুলো তৈরি করে থাকে। তাছাড়া এগুলো দিয়ে মানুষ সহজেই চলাচল করতে পারে। আর এই বাধগুলোতে গরু ছাগল ও বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশু বেঁধে রাখে ঘাস খাওয়ানোর জন্য। যাই হোক অনেক সুন্দর পোস্ট লিখেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি আপনার এই পোস্টে বাঁধ ,বাঁধের প্রয়োজনীয়তা ও প্রকারভেদ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলেই বাঁধ আমাদেরকে নদীর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। বাঁধ না থাকলে নদীর ধারে অবস্থিত যে কোন এলাকা বন্যায় কবলিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। বাঁধ থাকার কারণেই আমরা নিরাপদে অবস্থান করতে পারছি। আমার কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নদীর ধারের এই সবুজে সমাহিত বাঁধগুলো। আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নদীর বাধ নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য এই নদীর বাধগুলোই বৃদ্ধি করে। নদীর বাধে গাছ লাগানো থাকে যার কারনে গাছের ছায়ায় বসে সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সুন্দর সব ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।