আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তা রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালির জনপ্রিয় একটি মুখরোচক খাবার খই নিয়ে আলোচনা করব ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে...
মুখরোচক খাবার এই খই গ্রামাঞ্চলের কমবেশি প্রতিটা মানুষের অনেক বেশি ভালোবেসে থাকে। আসলে বিকাল বেলা চায়ের সাথে এই কই মুড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগে। গ্রামে যারা বাস করে তারা কম বেশি সবাই সকালবেলা চায়ের সাথে খই বা মুড়ি খেয়ে থাকে। মুখরোচক খাবারের এই কোন তুলনা হয় না। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ও প্রিয় খাবারের তালিকায়।
| |
খই খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভাবে এই খই প্রস্তুত করতে বেশ সময় লেগে থাকে। এই খইয়ের জন্য প্রথমত ভালো মানের ধান নিতে হবে এবং সেই ধানগুলো রোদে ভালো করে শুকাতে হবে। ভালো করে রোদে না শুকালে সেই ধান থেকে আবার ভালো খই পাওয়া যাবে না। তাই যতটা সম্ভব ভালো করে শুকাতে হবে। শুকানোর পর চুলায় একটি বড় মাপের করাই বসিয়ে দিয়ে সেখানে বালু গরম করতে হবে তারপর সেই গরম বালুতে যে ধানগুলো নির্বাচন করা হয়েছিল খয়ের জন্য সেগুলোকে সেখানে দিয়ে ভালো করে খুঁজি দিয়ে নাড়তে হবে।কয়েকবার এপাস-উপাস করার পর খই ফুটতে শুরু করবে। আসল কাজ তো খই ভাজার পরেই শুরু হয় কারণ খইয়ের সাথে ধান ও থাকে সেই ধান আলাদা করতে হবে একটি একটি করে। মাঝে মাঝে বড় বড় কিছু ঝাড়ি রয়েছে যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই খুবই থেকে ধান আলাদা করা যায়। তবে সাবধান আলাদা করা না গেলে কুলায় বা অন্য কোন বস্তায় নিয়ে একটি একটি করে ধান বেছে ফেলতে হবে খইয়ের ভেতর থেকে। তারপর সেটি খাওয়ার উপযুক্ত হবে।
এই খই গ্রামের মানুষজন সাধারণত কুরবানী ঈদের সময় বেশি করে বানায়। কারণ সেই সময়ে চারদিকে মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে আর খইয়ের সাথে মাংসের টেস্টটাই অন্যরকম। কমবেশি সবাই এই খই ভালবাসে মানুষের রস দিয়ে খেতে। আসলে আমার একজন মামা আছে তিনি কুরবানীর ঈদে সারাদিন খই এ খেয়ে থাকেন মাংস দিয়ে। এই খই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক ভালো। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেমন বেশি খই খেলে পেটের সমস্যা সহ আরো কিছু অসুখ হয়। তাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি❤️
খই নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। একটা সময়ে গ্রামের মানুষের প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় খই থাকতো। খই মুড়ি ও চা দিয়ে গ্রামের মানুষ সকালের নাস্তা করতো এখনো করে তবে শীতের সময়ে একটু বেশীই করে। আমিও ছোটবেলায় খই মুড়ি দিয়ে চা খেতাম। আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর খই ভাজা হয় ও রমজান মাসে আমরা সেগুলো ভাই।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1703731529019707447?t=2zwP3B71GIcGlOYZ3PgwJg&s=19
খই দিয়ে বানানো খই মুড়কি খাইতে সেই লাগে৷ আমি মাঝে মাঝে বাজার থেকে খই কিনে আনি৷ তারপর বাড়িতে নিয়ে এসে গুড় দিয়ে মাখায় খাই৷ তবে বাজারের গুলো খেতে বেশি মজা লাগে।
আমারো সেই লাগে ভাই। আমি ও খাই মাঝে মাঝে
বাঙ্গালীদের প্রাচীন খাবারের ভিতরে অন্যতম হলো খই।যা ধান দিয়ে তৈরি করা হয়।এছাড়াও আরও অন্যান্য ফসলের খই তৈরি করা হয় যেমন ভুট্টার খই গমের খই ইত্যাদি। খই খেতে বেশ ভালো লাগে আমাকে বাড়িতে মাঝে মাঝে খই ভাজা হয় ।বিশেষ করে আত্মীয়-স্বজন আসলে এই খই এর প্রভাব একটু বেশি দেখা যায় আমাদের গ্রামবাংলায়। দারুন একটি পোস্ট করেছেন খই সম্পর্কে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
বাঙ্গালীদের প্রাচীন খাবারের ভিতরে অন্যতম হলো খই।যা ধান দিয়ে তৈরি করা হয়।এছাড়াও আরও অন্যান্য ফসলের খই তৈরি করা হয় যেমন ভুট্টার খই গমের খই ইত্যাদি। খই খেতে বেশ ভালো লাগে আমাকে বাড়িতে মাঝে মাঝে খই ভাজা হয় ।বিশেষ করে আত্মীয়-স্বজন আসলে এই খই এর প্রভাব একটু বেশি দেখা যায় আমাদের গ্রামবাংলায়। দারুন একটি পোস্ট করেছেন খই সম্পর্কে ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার খই নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই। বিকালের নাস্তা হিসেবে খই খাওয়া হয়। খই ধান থেকে তৈরি করা হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। আমার মা কে দেখতাম বাড়িতে খই তৈরি করতে। বাড়িতে তৈরি খই অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার খই নিয়ে আপনি দাঁড়ান একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। খই আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আগে আমাদের বাড়িতে প্রতিবছরই খই ভাজা হতো। তবে এখন শুধু কিনে খাওয়া হয়। আপনি খই ভাজার পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন যে খইর সাথে মাংস খাওয়ার স্বাদই আলাদা। আপনি খইয়ের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খই ভাজা অনেক সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য একটি কাজ। তাছাড়া খই থেকে ধানের খোসা বের করতেও অনেক সময় লাগে। এজন্য বাঁশর চালুনে হাত দিয়ে ঘষতে হয়। এতে হাতের ব্যথা ধরে যায়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
বাঙালির জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো খই।খই খেতে বেশ ভাল লাগে।খই গ্রামাঞ্চলের মানুষের বেশি প্রিয় একটি খাবার।১৬ ধানের খই বেশ ভাল লাগে।খই তৈরি করার জন্য কড়াইয়ে বালু দিতে হবে। এরপর বালু গরম হলে ধান দিয়ে নেড়ে খই প্রস্তুত করা হয়।খই নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ
খই বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।খই আমরা আগে সবাই খেতে বেশ পছন্দ করতাম।এখন আর তেমন এই খাবার খেতে পছন্দ করে না। আমাদের পূজার সময় খই ভেজে নেই অনেক গুলো এরপর সেগুলো গুড় দিয়ে মুরকি বানিয়ে নেই। পূজার সময় সবাই এগুলো তৈরি করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ