বাঁশের তৈরি গরুর খাবার দেওয়ার চারি বা ঝুড়ি
সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার
তারিখঃ২২-০৯-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
কভার ফটো
গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে সবাই গরু পালন করে। গরু পালন করতে গেলে অনেক যত্ন করতে হয়। গরুর সব থেকে বেশি খাবার এর দিকে খেয়াল রাখতে হয়। গরুর যাতে খাবার ঠিকমতো খায় সেজন্য তাকে অনেক পরিমাণে খাবার দিতে হয়। গরু সবথেকে বেশি খায় হচ্ছে খড়। এছাড়াও গমের ভুষি ভুট্টার গুড়া ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকে। এই খাবারগুলো সব সময় দেওয়া হয় না হয়তো দিনে দুই থেকে একবার এগুলো দেওয়া হয়। গরুর এছাড়া দিনে সব সময় তারা খড় খেয়ে থাকে। ধান কাটার পর ধানের গাছ শুকিয়ে রেখে দেওয়া হয় এগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
গরু প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার খায়। এই খড় দিয়ে তাদের পেট ভরে যায় কারণ এই খড় তাদের প্রধান খাদ্য। খড় ছাড়া গরু লালন পালন করা খুবই দুষ্কর ব্যাপার। বাজারে তাদের যে অন্যান্য খাবারগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর দাম অনেক বেশি। এজন্য গরুকে প্রধান খাদ্য হিসেবে খড় দেওয়া হয়। খড় যাতে গরু নষ্ট করতে না পারে সেজন্য বাঁশ দিয়ে একটি চার তৈরি করা হয়। এটি বাঁশের তৈরি গোল একটি ঝুড়ের মত তৈরি করা হয়। এর মাঝখানে খড় দিয়ে রাখলে গরু সেগুলো আস্তে আস্তে খেয়ে নেয় সময় নিয়ে। এর মাঝখানে খড় দিয়ে রাখলে খড় নষ্ট হয় না।
আমাদের এলাকায় এই জিনিসটি মাঝে মাঝে দেখা যায় তবে সবার এমন থাকে না। যারা বেশি গরু পালন করে তাদের বাড়িতেই দেখা যায়। তবে এখন সবাই মোটামুটি গরু বাড়িতে রেখে দেয়। বাড়িতে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে এরকম তৈরি করা যায়। যেখানে একসাথে পানি এবং খড় দুটোই দেওয়া যায়। এইজন্য এগুলো তেমন আর দেখা যায় না। আমার বাড়ির পাশে একজনের এমন একটি আমি লক্ষ্য করি তাই আমি এই বিষয় নিয়ে আপনাদের কিছু জানানোর চেষ্টা করলাম। এই চারি আসলে কাজের জিনিস এটি আমাদের অনেক খড় নষ্ট হওয়ার থেকে রক্ষা করে। কারণ খড় এখন অনেক দামে বিক্রি হয়। আগে খড় এতো মূল্যবান জিনিস ছিল না। বাজারে খড় কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগে এখন।তাই খড় নষ্ট করা ঠিক নয়।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
বিষয় | ঐতিহ্য |
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২ |
সম্পাদন করা | হ্যাঁ |
অবস্থান | পার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @biplobsarker |
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ঠিকই বলেছেন গরু পালন করতে যত্নের প্রয়োজন হয়।গরুকে যেসব খাবার দিতে হয় তা উল্লেখ করেছেন সুন্দর করে।খড় কোন জায়গায় দিতে হয় তা উল্লেখ করেছেন।আমিও শুনেছি গরু যে খড়ের দাম এখন অনেক বেশি।ঠিকই বলেছেন খড় নষ্ট করা ঠিক নয়।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এগুলোতে দিনের বেলা গরু বেঁধে গরুকে খাইতে দেয়। এগুলোকে আমাদের এই দিকে টাক বলে থাকে। যা আমাদের এই দিকে বাঁশ অথবা কাঠ দিয়ে তৈরি করে থাকে। আর এগুলো একমাত্র উদ্দেশ্য হলো তাদের দেওয়া ঘর বা ঘাস যাতে নষ্ট না করে বা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলায় সেজন্য তারা এ ধরনের ঝুড়ি বা টাক তৈরি করে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাশের তৈরি গরুকে খাবার দেয়ার চাড় বা ঝুড়ি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমাদের এলাকায় এটাকে টাক বলা হয়। সাধারণত গ্রামের মানুষ গরু-ছাগল পালন করে থাকে। গরুকে সারাদিন বাড়ির ভিতর বন্ধ না রেখে বাড়ির বাইরে একটা খোলা জায়গায় বেধে রাখা হয় ও বাশের তৈরি একটি গোলাকার পাত্রে খাবার দেয়া হয়। এই গোলাকার পাত্রটিকেই চারি বা টাক বলা হয়।
ধন্যবাদ ভাই
গরু আমাদের গৃহপালিত পশু। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে গরু পালন করা হয়। গরুকে খাওয়ার দেওয়ার জন্য বাঁশের তৈরি চারি বা ঝুড়ি দেওয়া হয়, এই ঝুড়ির ভিতর শুকনা খড় দেওয়া হয়। বাড়ির বাহিরে এসব খড় দেওয়ার জন্য ঝুড়ি বানানো হয় যেখানে গরু কে খাবার দেওয়া হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামীন ঐতিহ্যের চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। তবে আমাদের এলাকায় গরুকে খড় খাওয়ানোর জন্য বাঁশের তৈরি ব্যবহৃত এই জিনিসটিকে ডোঘা বলা হয়। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই গরু পালন করা হয়। আর গরুকে বাইরে বেঁধে খড় খাওয়ানোর জন্য বাঁশের তৈরি এই ডোঘা ব্যবহার করা হয়। আপনি চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অনেক সুন্দর লিখেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
https://twitter.com/SarkerBipl19781/status/1705166266548593098?t=aOVoeWnWmGjqvp1of9EjSA&s=19
বাঁশের তৈরি গরুর খাবার দেওয়া চাড়ি বা ঝুড়ি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আমাদের এইদিকে এটিকে কাবু বলা হয়। মূলত এই কাবু গুলো গরুর খাবার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। যাদের বাড়িতে পালিত গরু আছে তাদের বাড়িতে এরকম কাবু দেখা যায়। এই কাবু গুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। সেই যুগ যুগ ধরে মানুষ গরুর খাবার দেওয়ার জন্য এই কাবু ব্যবহার করে আসছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ঐতিহ্যবাহী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গরু রাখার ঝুড়ি নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এগুলোকে আমাদের এলাকায় টাক বা ফাড় বলা হয়ে থাকে। গ্রামে এগুলো সচরাচর দেখা যায়। এগুলো সাধারণত বাড়ির বাইরে গরু রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এগুলো তৈরি করার একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। আপনাদের এলাকায় যে এটাকে ঝুড়ি বলে তা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এগুলোতে সাধারণত গোলাকারে গরু বেঁধে রাখা হয়। এগুলোতে খড় রেখে দিলে সহজেই ফেলতে পারেনা। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
দারুন কিছু ফটোগ্রাফার মাধ্যমে আজ আপনি গরুর খাবারের খরের ঝুরি নিয়ে আমাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গরুর খাবার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। যেহেতু শহরে থাকি তাই বিষয়গুলো আমার জানা ছিল না। তবে আমিও শুনেছি যে গরুর খাবারের দাম এখন অনেক বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু