আজ রবিবার
১৭সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টিম ফর ট্র্যাডিশনে আপনাদেরকে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি আপনাদের ভ্রাম্যমাণ চুড়ি বিক্রেতা নিয়ে বলবো, এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতা এরা গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে চুড়ি মালা বিক্রি করে, এবং কি রেল স্টেশনে বাস টার্মিনালে এদেরকে এসব বিক্রি করতে দেখা যায়। আমি সেদিন পার্বতীপুর গিয়েছিলাম, পার্বতীপুর ফ্লাইওভার এর উপরে একটি ভ্রাম্যমাণ চুড়ি বিক্রেতা দেখতে পেলাম। ফ্লাইওভারে বসে চুড়ি মালা ফিতা বিক্রি করছে। মূলত এদেরকে হকার ও বলা চলে, তারা বেশি ভাগ ট্রেনের ভিতরে বিক্রি করে। এরা অনেক পরিশ্রমী হয়। এসব বিক্রি করে তাদের সংসার পরিচালনা করে।
আমি যখন তার কাছে গেলাম সে তখন অনেক ক্লান্ত, সারাদিনে নাকি তার একটিও মাল বিক্রি হয়নি, তাই হতাশাগ্রস্থ হয়ে বসে আছে ফ্লাইওভারের উপরে। মানুষ এখন আর আগের মতো এদের কাছ থেকে মাল কিনতে চায় না, কারণ তাদের কাছে নিম্নমানের মালামাল থাকে। সেজন্য মানুষ এখন ভ্রাম্যমান দোকান থেকে কম কিনে থাকে। যারা এই মালামাল বিক্রি করে তাড়া শহরের এ প্রান্তে থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য।
কোনদিন তাদের অনেক বিক্রি হয় কোনদিন একেবারেই বিক্রি হয় না, যেদিন বেশি বিক্রি হয় সেদিন তাদের মনের অবস্থা অনেক ভালো থাকে। এদের কাছ থেকে অল্প দামে অনেক কিছু কিনতে পাওয়া যায়। আমি তার কাছে বসে অনেকক্ষণ গল্প করলাম, ৬ সদস্যের পরিবার তার এই উপার্জনের মধ্যেই তার সংসার চলে। অন্য কোন কাজ শিখিনি তাই এই পেশাই তার করতে হয়।
তবে আমি তার কাছে অনেক চমৎকার চুড়ি দেখতে পেলাম, যেগুলো নামীদামী কসমেটিকের দোকানে পাওয়া যায়। চুড়ি মেয়েদের অনেক পছন্দের অলংকার। তাইতো অনেকেই চুড়ি কিনে নিজেকে সাজসজ্জা করতে। যদি পারেন এসব মানুষের কাছ থেকে প্রয়োজন ছাড়াও কিছু কিনবেন। কেমন লাগলো ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রিতা নিয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই, আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইলঃTECNO CAMON 16 PRO |
ধরণএকজন ভ্রাম্যমাণ চুড়ি বিক্রেতা |
ক্যামেরা৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার@aslamarfin |
অবস্থানপার্বতীপুর |
| | | | |
---|
একজন ভ্রাম্যমান চুরি বিক্রেতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এরকম ভ্রাম্যমান চুরি বিক্রেতা গুলো প্রতিটি গ্রামে গ্রামে দেখা যায়। তবে আগের তুলনায় খুবই কম। এরকম ভ্রাম্যমান চুরি বিক্রেতা গুলোর কাছে অনেক সুন্দর ডিজাইনের চুড়ি পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমান দোকান গুলো এরকমই ভাইয়া কোনদিন বেশি বিক্রি হয় কোনদিন বিক্রিই হয় না। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এদের কাছে অল্প দামে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আর চুরি হলো মেয়েদের সবথেকে পছন্দের অলংকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1703294969392631872?t=RYg0T3P5BH6YRPAbFr9c3w&s=19
এরকম চুরি বিক্রেতাগুলো সাধারণত গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় অথবা রেলওয়ে স্টেশন বাস স্টেশন ইত্যাদি স্থানে তারা বসে থাকেন। তারা তাদের মূল্যবান জিনিসপাতিগুলো বিক্রি করে থাকেন।এর মধ্যে অন্যতম হলেও চুরি-দুল ফিতা আরো অনেক কিছুই।আসলেই ভাই তাদের কাছে অনেক চমৎকার চুরি দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহিলা মানুষের আকর্ষণ থাকে তাদের প্রতি সবথেকে বেশি।ভাই আপনি কি ভাবীর জন্য চুরি নিয়েছিলেন?
ধন্যবাদ ভাই।
ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতা গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।ঠিকই বলেছেন এনারা পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে চুড়ি মালা বিক্রি করে।তবে শহরে এমন ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতা দেখা যায় না।তবে বাজারে বা মেলাতে দেখতে পাওয়া যায়।পার্বতীপুরের ফ্লাইওভারে ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতার কথা এর আগেও শুনেছি।আপনি ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতাকে নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।যা পড়ে ভালোই লাগলো।ঠিকই বলেছেন চুড়ি মেয়েদের অনেক পছন্দের অলংকার।আমারও অনেক ভালো লাগে চুড়ি পরতে।আপনি ঠিকই বলেছেন এনাদের কাছে প্রয়োজন ছাড়াও জিনিস কিনা উচিত। কারণ এনারা অনেক পরিশ্রম করে।হালাল পথে রোজগার করে।আপনার পোস্টের উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
যারা দিনরাত এক করে ভ্রম্যমান হয়ে কিছু জিমিস বিক্রি করে তাদের রোজগার চালায়। তারা আসলে জীবটা কেমন অনেক ভালো করে এ জানে। এদের কাছে হয়তো দামি জিনিস পাবেন না। কিন্তু ঠিক এ ভালো ভালো জিনিস পাবেন। এদের দেখতে অন্য রকম একটা কষ্ট চলে আসে। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সেটাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি ভ্রাম্যমান একজন চুড়িওয়ালা নিয়ে বেশ দারুন কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই লোকেরা সারাদিন এভাবে চুরি বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এনারা সারাদিন অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেন এনারা সারা দিনে ২ থেকে ৩০০ টাকা কামাই করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এনাদের কাছে এ ধরনের জিনিসগুলো অল্প দামে পাওয়া যায়। বাজারে কসমেটিকের দোকানে গেলে এই জিনিসগুলো বেশি দামে কিনতে হয়। এনাদের কাছে আমি অনেক ধরনের চুরি দেখতে পাচ্ছি এবং ছুরিগুলো বেশ ভালো লাগছে দেখতে। আশা করি আপনি আপনার বউয়ের জন্য অর্থাৎ আমাদের ভাবির জন্য বেশ কিছু চুরি কিনে নিয়ে গিয়েছেন। যদি কিনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাবেন তাহলে ভাবি খুশি হবে। আমার তো বাড়িতে বউ নেই থাকলে আমিও মেলায় গিয়ে এরকম চুরি কিনে নিয়ে আসতাম এবং আমি আমার বউকে উপহার দিতাম এবং আমার বউ আমাকে অনেক ভালবাসত। কারণ আমি জানি মেয়ে মানুষেরা এগুলো বেশ পছন্দ করে। আমাদের উচিত মাঝে মাঝে মেয়েদের এসব চুরি কিনে দেওয়া। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকারভাবে তুলেছেন। আপনার প্রতিটি ছবি সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
একজন ভ্রাম্যমান চুরি বিক্রেতাকে নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। এরা আমাদের কাছে ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত। এরা খুব সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন ফেরি করে বেড়ায়। তারপর সন্ধার পর বাড়িতে ফিরে। অনেকে আবার কয়েকদিন বাড়ির বাইরেই থাকে দূর দুরান্তে ফেরি করে বেড়ায়। আমাদের উচিত তাদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা।
ধন্যবাদ ভাই
চুড়ি বিক্রেতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে এরকম ভ্রাম্যমান চুড়ি বিক্রেতা এখন গ্রাম অঞ্চলে অনেক সময় দেখা যায় যেখানে সেখানে। কারণ এটি তাদের পেশা এটি করে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেছে। এবং একটা কথা আমাদের সবাইরে মনে রাখা ভালো কারণ কেউ স্বার্থ ছাড়া কোন কাজ করতে ইচ্ছুক নয়। এবং এরকম ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে এই চুরি-দুল ফুল বিক্রি করতেছে। এবং তাদের এগুলো সব বিক্রিয় হয়ে যায়। শুধু তাদের একটাই কষ্ট যে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। ভ্রাম্যমান এই চুড়ি বিক্রেতারা সারাদিন অনেক কষ্ট করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পায়ে হেঁটে তাদের কাছে সংরক্ষিত পণ্যগুলো বিক্রি করতে চেষ্টা করেন। ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রেতার সারা দিনে কোন পণ্য বিক্রি হয়নি জেনে খারাপ লাগলো। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছে সবসময় খারাপ পণ্য পাওয়া যায় এটা হয়তো একটা ভুল ধারণা । অনেক সময় এসব ভ্রাম্যমান বিক্রেতাদের কাছে অনেক ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু