কুষ্টিয়া বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে একটি,বনফুড।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।( আলহামদুলিল্লাহ)
কুষ্টিয়া বেশ কয়েকটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে,তার মধ্যে বনফুড একটি। বনফুডের ডেকোরেশন কোয়ালিটি অতটা ভালো না হলেও, তাদের খাবারের গুণগত মান অনেক ভালো। তাদের খাবার কোয়ালিটি অনেক ভালো হওয়ায় খুব তাড়াতাড়িই তারা কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কুষ্টিয়া বনফুড রেস্টুরেন্টে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে গেলে অনেক মানুষের ভিড় হয়। এই বনফুড রেস্টুরেন্ট, অন্যান্য রেস্টুরেন্টের তুলনায় একটু ভিন্ন। কারণ এখানে শুধু ফাস্টফুড জাতীয় খাবারই বিক্রি করা হয়। আর আমরা অন্যান্য রেস্টুরেন্টে দেখি সব খাবার কিচেনে থাকে। আর এরা কিচেন থেকে খাবার নিয়ে এসে সামনে কাঁচের বক্সে সাজিয়ে রাখে। খুব দ্রুত খাবার গুলো বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে তারা কিচেন থেকে খাবার নিয়ে এসে কাঁচের বক্সে রেখে দেয়,এতে করে কাস্টমারদের বেশি সময় ওয়েট করতে হয় না।
এই রেস্টুরেন্টে কোন মেনু কার্ড ব্যবহার করা হয় না।কারণ সব খাবারগুলো সামনেই কাঁচের বক্সে সজনা থাকে, সেখান থেকে কাস্টমারের যে খাবারটা পছন্দ সেটা অর্ডার করে ভিতরে গিয়ে বসে এবং ওয়েটার এই খাবারগুলো দ্রুততার সাথে পরিবেশন করে থাকে। আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করার পর,দুইজন মিলে প্লান করলাম বনফুডে গিয়ে চিকেন পরোটা খাব। এরপর চলে আসলাম বনফুডে।
চিকেন পরোটা খেতে এসে পিজ্জা অর্ডার করে দিলাম। কারণ পিজ্জা আমার অনেক ফেভারিট, পিজ্জা দেখলে আর আমি লোভ সামলাতে পারিনা। চিকেন পরোটা খাওয়ার জন্য ৩০০ টাকা বাজেট করে আসছিলাম। তো পিজ্জা অর্ডার করে টোটাল ৩৭০ টাকা বিল হয়ে গেলো। তবে পিজ্জা টা অনেক মজা ছিল। কুষ্টিয়ার অনেক রেস্টুরেন্ট থেকেই পিজ্জা খেয়েছি, তবে বনফুড ও ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের পিজ্জা সবচেয়ে বেস্ট। শুধু পিজ্জাই নয় এখানকার সব খাবারই অনেক মজাদার। তো আমাদের খাওয়া শেষে আমরা সামনের দিকে আসলাম একটু ফটোগ্রাফি করার জন্য।
সামনে এত পরিমাণে মানুষ ছিল যে আমি ঠিকঠাক মতো ছবি তুলতে পারছিলাম না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর যখন একটু ফাঁকা পেয়েছি তখন কোন মত কয়েকটা ছবি তুলেছি। সামনে দিকে সবাই খাবার অর্ডার করাই ব্যস্ত, সবাই খাবারের বক্সের সামনে দাঁড়াইয়া ছিল,এইজন্য আমি ভালোভাবে ছবি গুলো তুলতে পারিনি। শুধু এক পাশের কয়েকটা ছবি তুলতে পেরেছিলাম। যখন আমি ওইখানে ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন কয়েকজন লোক আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল যেন এরা ভিনগ্রহের কোন প্রাণী দেখে ফেলেছে। ছবি তুলতে যেয়েও আজকাল নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট বনফুড সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। প্রতিটি বড় বড় শহরে এরকম বিখ্যাত কিছু রেস্টুরেন্ট থেকেই যায়। যেগুলোর কারণে সেই শহরের নাম আরো বৃদ্ধি পায়। পিজ্জা আমারও অনেক ফেভারিট তবে গ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাইতেছে বনফুড রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার পাওয়া যায়। কুষ্টিয়ার বনফুড রেস্টুরেন্টের অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
এ রকম বড় বড় রেস্টুরেন্টে কখনো খাওয়ার সৌভাগ্য হয় নাই। তবে আপনাদের খাওয়া দেখেই মন শান্তি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সময় কাটানোর সাথে সাথে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এইতো ইমোশনালি হার্ট করে দিলেন ভাই। 😔
বনফুট রেস্টুরেন্ট নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই, কুষ্টিয়া শহর অনেক সুন্দরতম একটি শহর। একবার গিয়েছিলাম এই কুষ্টিয়া শহরে, বনফুট রেস্টুরেন্ট এর পিজ্জা দেখেই তো লোভ লেগে গেলো ভাই, আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক সুন্দর। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। বাসায় হরেক রকমের রান্না করা সত্ত্বেও ওই খাবার খাইতে ভালো লাগে না। আর রেস্টুরেন্টে যে একরকম খাবার খেলেও মনটা অনেক ফ্রেশ চাঙ্গা হয়ে যায়। আপনার উপস্থাপনা যথেষ্ট ভালো ছিলো। ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি বেশ চমৎকার একটি ফুড শপ নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। এই ফাস্টফুডের দোকানে অনেক ধরনের খাবার দেখা যাচ্ছে। এখানে পিজ্জা বার্গার চিকেন গ্রিল ইত্যাদি জাতীয় খাবার আমি দেখতে পাচ্ছি। আশা করি এখানকার খাবার বেশ ভালো মানে হবে এবং অনেক সুস্বাদু হবে। আমাদের পার্বতীপুরে এমন ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে তবে আপনার ছবিতে দেখা খাবার গুলোর মত এত চমৎকার এখানে হয় না। আপনার এলাকায় অনেক ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় মনে হয়। কুষ্টিয়ায় কখনো যাওয়া হয়নি তবে কোন সময় গেলে আপনার দেওয়া এসব স্থানগুলো আমি অবশ্যই ঘুরতে যাব। কারণ আপনি সব দারুন দারুন স্থানগুলোর রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। তবে এ সকল ফাস্টফুড আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আমরা যতটা পারি এসব খাবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব কারণ এসব খাবার খেলে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয়। এসব খাবার আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ তৈরিতে সহায়তা করে।
ধন্যবাদ ভাই।
যে হোটেলগুলোতে পিজ্জা চিকেন চ প এ ধরনের আইটেমগুলো থাকে সাধারণত এই দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর অনেক ভিড় হয়ে থাকে। আমাদের এইখানে সাহ হোটেল নামে ভালো একটি হোটেল রয়েছে সেখানেও ঠিক এই ধরনের আইটেম পাওয়া যায় সন্ধ্যাবেলায় সেই দোকানে গেলে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর সিট পাওয়া যায়। চিকেন চপ কিন্তু আমার ফেভারিট তার সাথে যদি নান রুটি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। ছবিগুলো কিন্তু সেই লোভনীয় হয়েছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়ার বনফুড রেস্টুরেন্টের সব কিছুর উপস্থাপন অনেক সুন্দর করে করেছেন।রিভিউটা অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেছেন।পিজ্জা আমারও অনেক প্রিয় খাবার রেস্টুরেন্টে গেলে যেমন খাওয়া হয় তেমনি আমাদের বাসায় প্রায় বানানো হয়ে থাকে।চিকেন পরোটাও অনেক ভালো লাগে আমার।আপনি খাবার গুলোর দামও উল্লেখ করেছেন।ঠিকই বলেছেন ছবি তুলতে গেলে আজ কাল নানা পপরিস্থিতিউ সম্মুখীন হতে হয়।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। কুষ্টিয়ার বিখ্যাত এই রেস্টুরেন্ট নিয়ে চমৎকার লিখেছেন। বনফুড রেস্টুরেন্ট এর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো সেটি হলো তাদের খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতিটি। রেস্টুরেন্টে কর্মরত সকল ওয়েটার খুব সজাগ এ ব্যাপারটি অনেক ভালো একটা দিক। পিজ্জা তো ভালোই খাইলেন। এ রেস্টুরেন্টে তো বেশকিছু চকলেট ও কেক এর স্টক দেখা যাচ্ছে ।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1703431228182204822?t=xmfGOYXvTp724HJAPblhTg&s=19
বনফুড রেস্টুরেন্টে অবশ্যই হয়ত সাথে ভাবি ছিলো। পিজ্জার আমারও অনেক ভালো লাগে ভাই। গবে নিয়মিত খাওয়া হয় না। আপনার ওই পিজ্জাটায় কি ৩৭০ টাকা নিয়েছিলো নাকি আরো কিছু খাওয়ার পরেই এই দাম হয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের পুরা রিভিউ চাই ভাই।
শুধু পিজ্জা আর একটা পানি। ভাই আপনি আসেন আপনার সাথে করে নিয়ে একদিন ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের রিভিউ দিব।
Oke asbo vai.
আহ্ কি লোভনীয় খাবার গুলো ! দেখেই তো মন প্রান আর চোখ জুড়িয়ে গেল। কিন্তু পেটটা শুধুই খালি পড়ে রইল। কুষ্টিয়ার অনেক খাবারের নাম শুনেছি এর আগেও। আসলে কখনও যাওয়া হয়নি তো। যদি যাওয়া হয় কখনও তবে আপনার এই আপনার দেখোনো এই জায়গায় যাবো নে। বেশ ভালো ছিল আজকের পোস্টটি।
ধন্যবাদ আপু।