মিষ্টি মিষ্টি নারিকেল পিঠার অসাধারণ রেসিপি

পিঠা বাঙালিদের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।পিঠা শব্দটি বাঙালির কাছে খুব প্রিয়। বাঙালি পিঠা তৈরি করতে যেমন পছন্দ করে খেতেও পছন্দ করে এবং অন্যান্য দের খেতে দিয়ে প্রশংসা কুড়াতেও অনেক বেশি ভালো বাসে।বাঙালিদের বেশির ভাগ পিঠা মিষ্টি জাতিয় হয়ে থাকে।এবং বেশির ভাগ পিঠার মধ্যে নারিকেলের প্রাধান্য বেশি থাকে।

আজ আমি তেমনি একটা নারিকেল পিঠার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে এবং যার যার ভালো লাগে তারা অবশ্যই বাড়িতে ট্রাই করবে।

মিষ্টি মিষ্টি নারিকেল পিঠার রেসিপি তৈরী করতে সময় একটু বেশি লাগলেও বানাতে কিন্তু অনেক সহজ। এই পিঠাগুলো বানাতে কিন্তু খুব মজা ও লাগে।আর খেতে তো অসাধারণ। আবার অনেকদিন সংরক্ষন করে রাখা ও যায় এই নারিকেন পিঠা।তাহলে চলেন এই পিঠা তৈরি করতে যে উপকরণ গুলো প্রয়োজন সেগুলো বলা যাক।

উপকরণ সমূহ :

১. (আটা /ময়দা) আপনাদের যেটা ভালো লাগে। আমি আটা নিয়েছি। আটা গুলো লবন তেল এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো ভাবে সফট ডো করে রাখতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য।

২. লাগবে পরিমান্মতো চিনি।

৩. নারিকেল কোরা। এখানে ৪ টা নারিকেল কোরানি আছে।নারিকেল কোরা,চিনি এবং হালকা লবন (যারা মিষ্টিতে লবণ খেতে পছন্দ করেন) দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি কড়াইয়ে নিয়ে হালকা লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।

৪. এইটা একটি পিঠার সাচ।বাজারে অনেক রকমের পিঠার সাচ পাওয়া যায়।আপনারা আপনাদের পছন্দমতো পিঠা তৈরির সাচ ব্যাবহার করতে পারেন।আর যদি পিঠার সাচ না থাকে তাহলে আপনারা ছুরির সাহায্য নিয়ে আপনারা আপনাদের পছন্দ মতো আকৃতি করে ছুরির সাহায্যে পিঠা কাটতে পারেন।। কিন্তু পিঠার সাচ দিয়ে অনেক সুন্দর আকৃতির পিঠা তৈরি করা যায়।

প্রস্তুত প্রণালী :

আগে তৈরী করে রাখা ডো থেকে কিছুটা নিয়ে গোল আকৃতির রুটি তৈরি কর‍তে হবে। তারপর পিঠার সাচের সাহায্যে সুন্দর পিঠা তৈরি করার জন্য রুটির নিচে সাচ,টা রেখে সাচের একপাশে নারিকেল এবং চিনির পুর টা রেখে সাচের মুখ আটকে দিয়ে এমন ভাবে চাপ দিতে হবে যাতে পিঠার মুখ সুন্দর মতো জোড়া লাগে।তা না হলে তেলে ভাজি করার সময় পিঠার ভিতর থেকে নারিকেল পুর বের হয়ে তেল নষ্ট করবে এবং পিঠা খেতে ভালো লাগবে না।পর্যায়ক্রমে সাচ দিয়ে পিঠা তৈরির কিছু ছবি শেয়ার করা হলো।

আমার নারিকেলের পুরের থেকে আটার ডো এর পরিমান বেশি হয়ে যাওয়ায় কিছু পরিমান আটার ডো বেচে গিয়েছীলো।সেটা দিয়ে আমই কয়েকটি লুচি তৈরী করেছিলাম।লুচিগুলো গরম তেলে দেওয়ার সাথে অনেক সুন্দর ফুলে উঠেছিলো।সেজন্য আপনাদের সাথে লুচি তৈরী ও শেয়ার করলাম।

উল্লেখ্য:

লুচি এবং নারিকেল পিঠার ডো একই রকম হয়ে থাকে।একি প্রসেসে ডো তৈরি করলে ২টা পিঠাই অনেক সুন্দর হবে।

ফাইনালি আমার সবগুলো নারিকেল পিঠা তৈরি করার পর দেখতে এমন হয়েছে।সবগুলো পিঠা তৈরি করা শেষ হলে পিঠাগুলো ভাজি করার পালা শুরু হয়।কড়াইয়ে বেশ খানিক তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে কয়েকটা পিঠা ডুবা তেলে ভেজে নিতে হবে।যাতে পিঠা গুলো মুচমুচে হয়।নারকেল পিঠা মুচমুচে খেতেই বেশি সুস্বাদু লাগে।

নারিকেল পিঠা ভাজি করার পর দেখতে অনেকটা এরকঅম হবে।এই পিঠা অনেকের খুব পছন্দের।যারা মিষ্টি কজেতে অনেক পছন্দ করে তাদের তো আরো বেশি ভালো লাগবে এই পিঠা।যাই হোক নারিকেল পিঠার এই রেসিপিটা সবার কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন।ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন সবাই।
খোদা হাফেজ

---