Boc-generalwriting ||| নকশী কাঁথা শাড়ি ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার প্রিয় কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি। জানিনা আমার ব্লগ গুলো আপনাদের পড়তে কেমন লাগে? তবে আপনাদের মাঝে নতুন ব্লগ উপস্থাপন করতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে।আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং "নকশি কাঁথা শাড়ি" নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার এই ব্লগটি পড়ে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করে সহযোগিতা করবেন।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ব্লগটিতে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ী দেখলে আমরা অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করে থাকি। হয়তো বা অনেকেই জেনে বুঝে মন্তব্য করি আবার অনেকেই না জেনে বুঝেই মন্তব্য করি। তবে আমার মনে হয় একটি নকশি কাঁথা শাড়ি সেলাই করতে কতগুলো ধাপ আমাদের পার হতে হয় এবং সেই ধাপ গুলো কত ক্রিটিক্যাল,কত কঠিন এটি আমাদের সকলেরই জানা উচিত।
ডিজাইনার যখন একটি শাড়ির ডিজাইন সম্পূর্ণ করে। তখন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ঐ ডিজাইনটিকে ডিজাইনারের মন মতো করে ফুটিয়ে তোলে। এরপর সেই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ডিজাইনটি ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট আউট করে নেওয়ার পরে এটিকে হাত দিয়ে ফুটো করে বা অনেক সময় স্ক্রিন প্রিন্টে স্থাপন করা হয়। যদি আমরা হাত দিয়ে ফুটো করে ট্রেসিং পেপার দিয়ে শাড়িতে সেই ডিজাইন স্থাপন করতে যায় তাহলে নীল কেরোশিন বা ছবেদা দিয়ে সেই ডিজাইনটি সুন্দরভাবে শাড়িতে স্থাপন করতে হয়। যদি সঠিকভাবে ডিজাইনটি শাড়িতে স্থাপন না হয় তাহলে দেখা যায় হস্তশিল্পীরা এদিকে ফুটিয়ে তুলতে পারেনা। আবার তাদের সেই ডিজাইনটি সেলাই করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু কাস্টমারেরা যখন এই ডিজাইনটি দেখে তখন তারা বলেন এই কাজটি যারা করেছে আসলে তারা খুব বেশি অভিজ্ঞ না বা অনেক ভালো কাজ করতে পারে না।
কিন্তু ওই কাস্টমাররা কখনো জানে না এই ডিজাইনটি করতে কত কষ্ট কত পরিশ্রম কত ধৈর্য কত মেধা কত অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজটি সম্পূর্ণ করতে হয়েছে।তারা শুধু সামনে যেটুকু দেখে ঠিক সেটুকু নিয়েই মন্তব্য করেন। আসলে একটি ডিজাইন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে বা সুন্দরভাবে সেলাই করতে একজন কারুশিল্পীর কত যে শ্রম কত ধৈর্য কত মেধা খাটাতে হয় সেটি আসলে আমরা অনেকেই জানিনা বা জানার চেষ্টা করি না।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নকশী কাঁথা শাড়ি নিয়ে আলাপ করলাম। জানিনা আমার কথাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে? তবে চেষ্টা করেছি একজন কারু শিল্পীর কষ্টের কথাগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1890463465262735628?t=pdH1-fGwS3xOxMyDwdDt_w&s=19