ফুলছড়িতে একদিন(10% beneficiary to boc)

💫আসসালামুআলাইকুম💫কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন সবাই।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।পরীক্ষা পড়াশুনার জন্য কোথাও ঘোরা হয়না ঠিকভাবে।কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম খালামনির বাসায়।যার অবস্থান গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায়। এইখানে এসেও তেমন ঘুরতে যাওয়ার মত কোনো জায়গা নেই। শুধু মাত্র একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছিলাম সেটি হলো ফুলছড়ি। ফুলছড়ি মূলত নদী।এটি সবাই নদীর নামেই চেনে ।অনেক লোকজন এইখানে ঘুরতে যায়।আমরাও তার ব্যাতিক্রম কিছু করিনি।আমরাও ঘুরতে গিয়েছিলাম।আর নদীতে ঘুরতে যাবো আর ছবি তুলবো না তাতো হয়না কখনো। যেই ভাবা সেই কাজ।চলুন দেখাই আপনাদের।আর সেই সাথে আপনার সাথে ছোট করে আমার জানা ফুলছড়ি সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করি।

---

---

আপনারা সবাই প্রায় শুনেছেন ফুলছড়ি ঘাটের কথা।এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি শাখা।এটি ফুলছড়ি নদী হয়ে যমুনা নদীর সাথে মিশে গেছে। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় একটি নদী এটি। বর্ষা মৌসুমে এটি কানায় কানায় পূর্ণ থাকে পানি দিয়ে।আর শীতকালে পানি অর্ধেকে নেমে আসে।নদীর ঐপারে রয়েছে চর। সেখানে কিছু মানুষ বাস করে।আগে সেখানে বিদ্যুতের কোনো ব্যাবস্থা ছিলো না।তবে এখন তার উন্নয়ন হয়েছে । চরের এলাকায় গাড়ির প্রচলন নেই বললেই চলে।তারা এখনও ঘোড়ায় করে জিনিসপত্র বেচা কেনা করে । তারা মূলত সবজি চাষ,মাছ চাষ করে ,পশুপাখি পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে।

---

---

গ্রামের মানুষ অনেক সহজ সরল জীবনযাপন করে।তারা একে অপরের বিপদে সাহায্য করে। অন্যের বিপদে পাশে দাড়ায়।ফুলছড়িতে একসময় ট্রেন চলাচল করতো।শোনা যায় কোনো এক বন্যায় ট্রেন লাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় তখন থেকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।এরপর এখনো চালু হয়নি।শীতকালে নদীর পানি কমে যাওয়ায় নদীতে অনেক শুকনো জায়গা বের হয় যেখানে মানুষজন বিভিন্ন সবজি চাষ করে।এসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ এইখানে ঘুরতে আসে।জায়গাটি অনেক মনোমুগ্ধকর। মন খারাপ থাকলে এই জায়গাটি তে গেলে মন ভালো হয়ে যায়।

আমার জানা যা ছিলো সবই আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম।আপনাদের যদি আমার পোস্ট ভালো লাগে অবশ্যই আমার পাশে থাকবেন।আজকে এটুকুই।ভালো থাকুন সবাই।শুভ রাত্রি।