1000 DAYS OF STEEM:_The Diary Game - 11/08/2020
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।
প্রতিদিনের মত আজও ভরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ করে আবারো বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিছু সময় পর বিছানা থেকে উঠে বাইরে এসে দেখি ঝকঝকে নীল আকাশ। তারপর আমি আবারও ফ্রেশ হই। তারপর সকালের নাস্তা তৈরি করলাম। তারপর আমার পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করলো।
সকালের নাস্তা শেষ হওয়ার পর আমি রুমে একটু শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিলাম । বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে উপন্যাসের বই পড়তে আরো বেশি ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা বেশ কিছু উপন্যাস আমি পড়েছি। আসলে হুমায়ূন আহমেদ এমনই একজন লেখক যদি কেউ তার একটা বই পড়ে তবে সে অবশ্যই তার আরও বই পড়তে চাইবে। তার লেখা বইগুলো অসম্ভব ভালো হয়। উনি অনেক নামকরা একজন লেখক। তাই আমিও হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু বই পড়েছি।শুধু হুমায়ূন আহমেদের নয় আরো অনেকের বই আমি পড়েছি । কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখার মধ্যে যে বিষয়টা খুঁজে পেয়েছি সেটা আর কারো মধ্যে পাইনি তাই আমার প্রিয় লেখক হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ।
যাই হোক শুয়ে শুয়ে হুমায়ূন আহমেদের বইটি পড়ছি। ঠিক তখনই ফোনে কল আসলো আমি কলটা রিসিভ করলাম। কলটা রিসিভ করে আমি শুনতে পারলাম আমার দাদী মারা গেছেন। কথাটা শোনা মাত্রই আমার বুকের ভেতরটা তোলপাড় করে উঠলো। চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না।তখনই তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে বোরকাটা পরে আমি দাদী বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হলাম। বন্যার পানি চারদিকে থৈথৈ করছে। আমার দাদির বাড়ির সামনে অনেক পানি। নৌকা দিয়ে পার হয়ে আমি সেই বাড়িতে পৌছালাম।তারপর যখন দাদীর লাশ টা দেখলাম তখন আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। কান্নায় ভেঙে পড়লাম আমি।
আমার কাকা কাকি ফুপু বাবা-মা সবাই অনেক কান্নাকাটি করল। তারপর আমরা সবাই তার জন্য অনেক দোয়া করলাম। মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না সবাইকে একদিন না একদিন এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। অনেক আত্মীয়স্বজন আসলো আমার দাদিকে দেখতে এবং তার জন্য দোয়া এবং কোরআন খতম করা হলো। দাদি যখন মারা যায় তখন সকাল 10:30 বাজে। লাশ ধোয়ানোর পর আসরের নামাজ শেষে জানাজা করা হলো। তামাই কবরস্থান মাদ্রাসায় তার জানাজা করা হলো এবং তামাই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হলো।
লাশ দাফন করে সবাই বাড়ি ফিরে এলো। দাদির মৃত্যুর খবর শুনে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অনেক আত্মীয়স্বজন এসেছে। অনেক বছর পর সবার সাথে দেখা হল। সব ফুবুরা একসাথে হয়েছে। অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা আর কথা হল। সময়ের সাথে সাথে মানুষ কেমন বদলে যায়। আমার ছোট ফুপু আমার কাছে খুবই প্রিয়। কিন্তু এই দুঃসময়ে আমি আমার ফুপুর সাথে মন খুলে কথা বলতে পারলাম না। বারবার শুধু দাদীর কথা মনে হচ্ছিল আর খুব কান্না পাচ্ছিল।
এভাবে সবার সাথে কথা বলতে বলতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল।অজু করে এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম এবং দাদির জন্য দোয়া প্রার্থনা করলাম। নামাজ শেষে কেমন যেন একটু ক্ষুধার ভাব হলো। সেই সকালে হালকা নাস্তা করেছি তারপরে আর খাওয়া হয়নি।আমার কাকি আমাকে খাওয়া-দাওয়া করতে বলল কিন্তু আমি খাবার খেতে পারলাম না। কাকার বাসায় থেকে আমি তখনই আমাদের বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে গোসল করলাম। তারপর হালকা একটু খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া করে এসে রুমে যখন রেস্ট নিচ্ছিলাম তখন আবারও দাদীর কথা মনে পড়লো। ছোটবেলা থেকে উনি আমাদের স্নেহ ভালোবাসা আদর দিয়ে মানুষ করেছে। ছোটবেলাটা তো তার সাথেই কেটেছে। অথচ আজ তাকে নিয়ে রেখে আসা হলো কোন অন্ধকারে। ভাবতে অবাক লাগে কিছুতেই এক মুহুর্তের জন্য তাকে ভূলতে পারছিনা। বারবার মনে পড়ছিল এটা যেন একটা দুঃস্বপ্ন সে যেন বেঁচে আছে আমাদের মাঝে। মনে হচ্ছিল এক্ষুনি এসে ডাকবে আমায় বলবে চলো নামাজ পড়তে হবে তো। ভাবতেই পারি না যে উনি আর কখনো আমাদের মাঝে ফিরে আসবেনা। না ভাবতে পারলেও সত্য এটাই যে পৃথিবী ছেড়ে যে একবার চলে যায় সে আর কখনো ফিরে আসেনা। আমি আমার দাদির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করি যে আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন এবং তিনি যেন ভালো থাকেন সবসময়।
দাদীর কথা ভাবতে ভাবতেই কানে ভেসে এলো এশারের আজান। আযান শুনে আমি অজু করে এসে নামাজে দাঁড়ালাম। নামাজ শেষ করে মোনাজাত ধরে আবারো দাদীর জন্য অনেক কান্নাকাটি করলাম। দোয়া প্রার্থনা করলাম তার জন্য। এভাবে রাত প্রায় সাড়ে নয়টা বাজল। আমি রুমে এসে বিছানা ঠিক করে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসলো না। তখন একটা বই হাতে নিয়ে পড়তে থাকলাম। কিছু সময় বই পড়ার পর আর বই পড়তে ভালো লাগলো না। তখন বইটা রেখে বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। অনেক সুন্দর জোসনা উঠেছে। একভাবে অনেকক্ষণ চাদের দিকে তাকিয়ে রইলাম।বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকেও ক্লান্ত হয়ে গেলাম তখনও চোখে ঘুম আসলো না। তারপর রুমে এসে আবার বিছানায় শুয়ে পড়লাম। তখন হঠাৎ মনে হল আজকের পোস্টটা লেখার কথা।
ফোনটা হাতে নিয়ে আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি। হঠাৎ কারেন্ট চলে যায় খুব গরম লাগায় পোস্ট লিখতে আর ভাল লাগল না। কারেন্ট আসার জন্য কিছু সময় ওয়েট করলাম। একটু পরেই কারেন্ট চলে আসলো আর তখন আমি পোস্টটা আবারও লিখতে শুরু করলাম। পড়ালেখা শেষ করে ফোনটা চার্জ দিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
আপনারা যারা কষ্ট করে আমার সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you @steemitblog and @steemitcurator1 for creating this excellent challenge.
আপু,তামাই কি আপনারদের বাসা। আমার বাড়ি তো বেলকুচিতে। ..তামাই কোথায় আছেন এখন। আপনার দাদিকে আল্লাহ জান্নাতবাসি করুক আমিন
ভাইয়া আমার বাসা তামাই । আর ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
A really really beautiful blog. Sad for your grandmother. May Allah grant him Jannat.
By the way, please don't tag @steemitblog and @steemcurator01
in your blogs. This is like spam. Hope you will understand what i want to say.
#onepercent #bangladesh
Yeah bro I know about that . And thank you for your compliment.
We are sorry to know for your losses.
RIP to your granny .