🕊️বাংলাদেশের শালিক পাখি সম্পর্কে কিছু জানা ও অজানা তথ্য 🕊️🕊️🕊️ ২৫/১০/২০২১
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি অতি সাধারণ এবং পরিচিত পাখির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যেটি আমাদের বাংলাদেশে খুব পরিচিত।
🕊️🕊️🕊️
পাখিটি বাংলাদেশের নাম হচ্ছে শালিক পাখি। ইংরেজিতে এই পাখিটির নাম : common Myna। চলুন আমরা এই পাখিটির একটি ছবি দেখে আসি :-
🕊️🕊️🕊️
- আমরা চেষ্টা করছি আমাদের পোস্টের এবং ছবির মান উন্নয়নের জন্য আশা করি এই ছবিটি দেখে বুঝতে পেরেছেন।
🕊️🕊️🕊️
বাংলাদেশ পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে কমন পাখি হচ্ছে শালিক পাখির সাধারণত তিন ধরনের শালিক পাখি বাংলাদেশ দেখা যায়।
ধারণা করা হয় সারা জীবনের জন্য শালিক পাখির দুটি বাধে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ পাখি মেয়ে পাখিকে নানাভাবে আকর্ষণ করে যদি নারী পাখি পুরুষ পাখি কে পছন্দ হয় তবে তারা জুটি বাধে।
🕊️🕊️🕊️
- জীবনচক্র :-
পুরুষ শালিক পাখি ও মেয়ে শালিক পাখি দুজনে বাসা বানানোর কাজে অংশগ্রহণ করে এবং পরম মমতায় তারা তাদের বাসা তৈরি করে। খর, কাগজ, টিস্যু পেপার, গাছের মরা ডাল, গাছের শিকড়, গাছের মরা পাতা, দিয়ে তারা তাদের বাসা তৈরি করে।
এরপর স্ত্রী পাখি ডিম পাড়ার জন্য রেডি হয়ে যায় এবং ৩ থেকে ৭ টি ডিম পাড়ে যেগুলো দেখতে নীলকান্তমণি বা পেস্ট কালার হয়। অত্যন্ত সুন্দর একটি বিষয় হচ্ছে স্ত্রী পাখির ডিম থেকে কখনোই ছেড়ে যায়না পুরুষ পাখি ডিমে তা দেওয়ার জন্য অনেক হেল্প করে। যেমন বাইরে থেকে খাবার এনে স্ত্রী পাখিকে মুখে করে খাওয়ায়। এইজন্যই স্ত্রী পাখিটির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
🕊️🕊️🕊️
ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে প্রায় সময় লাগে ২০ থেকে ২১ দিন। প্রথম অবস্থায় বাচ্চাগুলোর কোন চোখ ও পশম থাকে না। এসময় স্ত্রী পাখিটি তার নরম পশমের নিচে ঢেকে রাখে এবং নরম খাবার খাওয়ায়। ক্ষুধা লাগলে ও পিতা-মাতার অবস্থান টের পেলেই বাচ্চা গুলো চি চি করে ডাকতে থাকে। পুরুষ পাখি ও স্ত্রী পাখির দুজনেই বাচ্চাগুলোকে খাওয়ায়। সাত থেকে আট দিন পর বাচ্চাগুলোর কিছুটা পশম উঠে এবং চোখ ফোটে। শালিক পাখি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তার বাচ্চাদেরকে পোকামাকর নিয়ে এসে খাওয়ায় সমানভাবে।
🕊️🕊️🕊️🕊️
এভাবেই তারা বড় হয়ে ওঠে। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় বাচ্চাগুলো ওড়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং এই ভাবে তারা তিন-চারদিন পার করে ওড়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। অবশেষে পাখিগুলো তাদের নিজেদের পাখায় উঠতে শুরু করে এবং এভাবেই তাদের ওড়া শুরু হয় এবং এভাবেই তারা আবার নতুন বাসা বাধে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা উঠায় এভাবে চলতে থাকে শালিক পাখির জীবন চক্র।
🕊️🕊️🕊️
- বাসস্থান :-
বাসা বানাতে শালিক পাখির প্রায় সাত দিন সময় লাগে। গাছের ডালে ও ফাঁকফোকড়ে এবং মানুষের বাসাবাড়িতেও শালিক পাখি বাসা বানায়।
শালিক পাখি খুবই বুদ্ধিমান তাই বাসা বানানোর আগে তারা তিন চারদিন ধরে বাসায় নির্ধারণ করায় স্থানে নিরাপত্তা কতটুকু সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য সময় ন্যাই। সবকিছু দেখেশুনে নিশ্চিত হওয়ার পরে শালিক পাখি বাসা বানানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
🕊️🕊️🕊️
- খাদ্য :-
ছোট পোকামাকড় এদের প্রধান খাবার। সব ক্ষেত্রে এদের খাবার বিদ্যমান পোকামাকড় কেঁচো ডাস্টবিনের খাবার শস্যদানা মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করে। ঘাসফড়িং শালিক পাখির প্রিয় খাবার।
🕊️🕊️🕊️
- শালিক পাখির প্রজাতি :-
৩ ধরোনের শালিক পাখি বাংলাদেশে সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় একটি হচ্ছে ঝুটি শালিক, গো শালিক ও ভাত শালিক।
🕊️🕊️🕊️
It’s really great photography and explanation
শালিক পাখি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সত্যি শালিক একটি বিচিত্র প্রানি
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপনার পোস্টি অনেক সুন্দর হয়েছে।অনেক গুছিয়ে এটি উপস্থাপন করেছেন।তবে ভাই ছবি গুলোর ডেটাইলস দেন নাই কেন???
ছবি গুলার ডিটেইলস বলতে?
w3words
কে তুলেছে?
লোকেশন দেশ?
কোন ক্যামেরা বা ফোন ব্যবহার করেছেন?
এইগুলা
ভাই যেটুকু পোস্ট করেছি এটুকুই যথেষ্ট। আর এগুলো দিব না কেন দিবো কিন্তু সময়ের অপেক্ষা, অপেক্ষা করেন সব পাবেন।
তাহলে তো ছবি গুলো প্লাগিজম এর মধ্যে পরে গেলো।প্রতিটা ছবির অবশ্যই ডেটালস দিতে হবে। নইতো তো এটা প্লাগিজম এর মধ্যে হয়ে যায়।পিক গুলো তো আপনি অন্য কোনো সোর্স থেকেও নিতে পারেন।তাই ডেটালস দেওয়া উত্তম।
Next time another post, will be added bro ✌️
ভাই আপনি একটু প্লাগারিজম সম্পর্কে জেনে আসেন। প্লাগারিজম কাকে বলে একটু জেনে আসেন। প্লাগিরিজম কিভাবে চেক করতে হয় আপনি কি জানেন?
Your post has been upvoted by @bds-curator Community Curation Trail.
Subscribe to our community
আমাদের গ্রামের ভাষায় এই পাখির না শালিক পাখি, এই পাখি সচারাচর সবসময়ই দেখতে পাওয়া যায়। তবে এর জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতাম না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকটা স্পষ্ট ধারণা পেলাম।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।