The holy Quran 📚📚 book-review #steem-bangladesh contest by @steem-for-future
book review for the holy Qur'an
কোরআন শরীফ
আল্লাহতালা পৃথিবীর ভিতরে শত শত বই সংগ্রহ করলেও তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম গ্রন্থ হল কোরআন। যেটি মানব জাতি এবং সর্বস্তরের এবং সর্ব জাতির জন্য পথ নিদর্শন স্বরূপ।পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে ভালো মানের ইতিহাস দর্শন সংস্কৃতি এবং ভালো মানের ব্যাকরণ এর মূল উপলব্ধি এবং উৎস হচ্ছে কোরআন। পৃথিবীতে যত প্রকার বিজ্ঞান এবং মানুষের জয়যাত্রার উন্নয়ন ঘটে তার মূলে রয়েছে কোরআন শরীফ।100% নির্ভুল এবং সত্য অবলম্বন এর একমাত্র তাদের হিসেবে কোরআন পৃথিবীর প্রায় 85 শতাংশ মানুষের জনপ্রিয় গ্রন্থ।
শুধু মুসলমান জাতি বলে নয়।পৃথিবীর অনেক বিধর্মী খ্রিস্টান এবং অনেক অন্যান্য জাতির মানুষ কোরআন কে ভালোবাসে। কোরআন আমাদের প্রাণের স্পন্দন। আমাদের জীবনে দেব এবং সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য কুরআনের গুরুত্ব অপরিসীম।
এমন কোন ব্যাকরণ কিংবা এমন কোন দর্শন নেই যেটা কোরআন এর ভিতরে দেওয়া নাই।মানুষ এর সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের এবং সকল প্রকার বিচার আদালতে মামলা মোকদ্দমা এমনকি মানব জীবনের এমন কোন অধ্যায়ে নেই যেটা কোরআন শরীফে বর্ণিত করা হয়নি
আমার আজকের টপিক এর মূল বিষয় ছিল book-review .
তবে তুমি যদি অন্যান্য বই এর সাথে এই কোরআনের তুলনা করো তাহলে তবে সেটি হবে সব থেকে বড় ভুল।কেননা আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা'আলা সকল বই এবং সকল জ্ঞানের উৎস হিসেবে কোরআনকে নাযিল করেছেন। তাই কোরআনের মর্যাদা পৃথিবীর সকল বইয়ের থেকে আলাদা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বমোট উৎস হলো কোরআন।
Quran nazil
যুগে যুগে মানুষ যখন আল্লাহর পথ ভুলে পদস্থ হয়ে যাচ্ছিল তখন আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ নাজিল করে। আল্লাহতালা মোট 104 খানা কিতাব নাযিল করেছিলেন মানুষের কল্যাণের জন্য। তার মধ্যে বড় ছিল চার খানা কিতাব।এবং অন্যান্য বেশকিছু ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় 160 থানার মধ্যে 100 টি কিতাব ছিল ছোট।অন্যান্য একশটি কিতাব সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না থাকায় আমি তার জন্য দুঃখিত।তবে বড় যে স্যার খানা কিতাব নাযিল করা হয়েছিল বিভিন্ন নবী রাসুলগণের উপর তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোরআন শরীফ
চারটি গ্রন্থ নাযিল করা হয়েছিল।
- তাওরাত
- যাবর
- ইঞ্জিল
- এবং কোরআন শরীফ
বিভিন্ন মহামানবদের এবং নবীদের উপর এই কিতাবগুলো নাযিল করা হয়েছিল.।এই কিতাব গুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্ব সংশোধনী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থটি হল কোরআন শরীফ। যেই কোরআন শরীফের কোন প্রকার ভুল ধরার ক্ষমতা এই পৃথিবী জাহান এর কারণ নাই।
কোরআন নাজিল
কোরআন নাজিল করা হয়েছিল পৃথিবীর ওপর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এর উপর.।সর্ব শ্রেষ্ঠ কিতাব নাযিল করা হয়েছিল সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এর উপর।মক্কা মুকাররমা থেকে পূর্বদিকে তিন মাইল ব্যবধানে অবস্থিত জাবালে নূর এর মহানবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্জনবাস অবলম্বন করেছিলেন।একদিন থেকে ঠিক 6 মাস পূর্বে এ গুহায় হযরত জিবরীল আমীন তাকে নবরাত্রি সুসংবাদ শুনিয়ে গিয়েছিলেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর ওপর কোরআন শরীফ নাযিল করা হয়েছিল।পৃথিবীর মধ্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম হলো পৃথিবীর সকল মুসলমান এবং অন্যান্য জাতির জন্য মহামানব এবং অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তি। যিনি প্রায় 63 বছরের একটি মিথ্যা কথা বলেননি।
আয়াত এবং পাড়া সংখ্যা
কোরআন শরীফ 114 টি সূরার সমন্বয়ে গঠিত। একটি পূর্ণ কোরআন শরীফের 30 টি পাড়া দ্বারা গঠিত। এই পাড়ার মধ্যে রয়েছে মানব জাতির জন্য কল্যাণ এবং হেদায়েত।কেউ যদি নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই কোরআন ছাড়া কোনো উপায় খুঁজে বের করার সম্ভাবনা থাকবে না।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোরআন শরীফ সম্পর্কে কিছু তথ্য
১610 খ্রিস্টাব্দ ও রমজান মাসের শবে কদরের রজনীতে হেরা পর্বত গুহায় সর্বপ্রথম কোরআন শরীফ অবতীর্ণ করা হয়েছিল।আল্লাহর প্রিয় ফেরেশতা জিব্রাইল এর মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর উপর কোরআন শরীফ নাযিল করা হয়েছিল।
-২ অবতীর্ণ মোট সময়কাল ছিল ২২ বছর।শুধু 22 বছর এই শেষ হয়েছিল না পূর্ণ কুরআন শরীফ অবতীর্ণ সময়কাল।সাথে আরও পাঁচ মাস এবং 14 দিন সময় লেগেছিল পুরো কোরআন শরীফ নাযিল করার ক্ষেত্রে।৩***কোরআন শরীফের 114 টি সূরা অবতীর্ণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম নাজিল করা হয়েছিল সূরা ফাতিহা। তাই সূরা ফাতিহাকে কোরআন শরীফের মা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সকল প্রকার রোগের মহৌষধ হিসেবে সূরা ফাতিহাকে নির্বাচন করা হয়েছিল।
-৪ তুমি কি জানো কোরআন শরীফে সর্বপ্রথম কোন শব্দটি এসেছে? কোরআন শরীফে সর্বপ্রথম শব্দ হলো ইকরা। আর এই ইকরা অর্থ তুমি পড়ো।আমাদের শুধু করতে বলা হয়েছে তবে অবশ্যই কোরআন বুঝে শুনে করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করলে প্রকৃত অর্থ আমরা বুঝতে পারব এবং জানতে পারবো।
- ৫ কোরআন সর্বশেষ নাযিল হয়েছিল সূরা আন নাস এবং নাযিলকৃত আয়াত হলো সূরা বাকারা 281 নম্বর আয়াত। কোরআন নাজিল শেষ হয় হিজরী এগারো সালের সফর মাসে। কোরআন সবচেয়ে ছোট সূরা হলো সূরা কাউসার এর আয়াত সংখ্যা 3।পবিত্র কোরআন শরীফে মোট 114 টি সূরা রয়েছে তার মধ্যে মাক্কী অর্থাৎ মক্কা শহরে অবতীর্ণ করা হয়েছিল 92 টি এবং মদিনায় হিজরতের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর উপর 22 টি সূরা নাযিল করা হয়েছিল।
তাছাড়াও
কোরআন শরীফে মোট 540 টি রুকু রয়েছে। কোরআন শরীফে মোট 6666 আয়াত রয়েছে। কোরআনে মোট 86400 30 টি শব্দের সমন্বয়ে একটি কোরআন শরীফ গঠিত হয়েছিল। কোরআন শরীফে মোট অক্ষর সংখ্যা ৩,৪৭,৮৩৩ টা।কুরআনে শরীফে এমন কোন মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট পথ নেই যেটা দ্বারা মানুষ তাদের সমাজে বিচারিত হবে এবং নানাভাবে অসম্মানিত হবে।
Quran Sharif bolo manav jaati janu Mohan ek samadhan
কোরআন আমাদের জীবনের জন্য উপহার স্বরূপ।মহান আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছিলেন তার এবাদত করার জন্য।এবং সঠিকভাবে বান্দা যেন তার সৃষ্টিকর্তাকে ইবাদত করে এবং পৃথিবীর ভিতরে শব্দ এবং সুন্দর হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফ প্রেরণ করেছিলেন তার বন্ধুর মাধ্যমে
কোরআন শরীফ কোন সাধারণ ব্যক্তি লেখা কোন বিষয় কিংবা বস্তু নয়।এটি সরাসরি মহান আল্লাহতালার কাছ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর
আমাদের পৃথিবীতে কেউ যদি কোন বই কিংবা গ্রন্থ রচনা করে তার ভেতরে শত শত ব্যাকরণগত এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমাধির ভুল লক্ষ্য করা যায়।কিন্তু তুমি যদি কোরান শরীফ সারাদিন কিংবা তোমার পুরো জীবনটা রিচার্জ করেদাও কখনোই তুমি এই কোরআন শরীফ থেকে বিন্দুমাত্র ভুল ব্যাকরণগত ভুল কিংবা ভাষাগত অন্যান্য কোন ভুল ধরতে পারবেনা।
কোরআন সংরক্ষিত
কোরআন যখন খাতা এবং কলম আবিষ্কার হয়েছিল না তখন মহানবীর সাল্লাহু সাল্লাম এর প্রিয় সাহাবীদের গাছের পাতা পশুর চামড়া এবং বিভিন্ন স্থানে কোরআন লিখে রাখতেন।তারপর যখন আল্লাহ তাআলার আদেশক্রমে আল্লাহর প্রিয় বান্দার সমন্বয়ে কোরানকেই একটি জায়গায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল
কোরআন সংরক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তাই আল্লাহ তালা কোরানকে মাহফুজে সংরক্ষণ করেছেন
> কোরআন শরীফ মানুষ জাতির জন্য এক হেদায়েত করুক। পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব এই কোরআন।পৃথিবীতে যতগুলো বই রচনা করা হয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ রচয়িতা আমাদের আল্লাহতালা মানুষের হেদায়েতের জন্য এই কোরআন প্রেরণ করেছেন।তাই আমাদের সঠিক পথের অনুসারী হওয়ার জন্য অবশ্যই কোরআন পাঠ করা উচিত এবং কোরান অনুযায়ী আমাদের চলা উচিত। কেননা এখানে কোন বিন্দুমাত্র শঙ্কা নেই কিংবা বিন্দুমাত্র ভুলের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে না। পৃথিবীর ভিতরে 100% নির্ভুল এবং বিজ্ঞানসম্মত গ্রন্থটি হল
কোরআন শরীফ।
আল কুরআন মানব জাতির জন্য মহান সমাধান।
payout 2% @bdcharity and @steem-bangladesh 8%
Proof
Nice post .
Thanks