আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ীsteemCreated with Sketch.

in Steem Bangladesh3 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো বন্ধুরা!

কেমন আছেন সবাই। আমি @mamunxxx 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ী সম্পর্কে লিখবো।


FB_IMG_1629470964166.jpg

ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম সমৃদ্ধ জনপদ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী গ্রামে প্রায় আড়াই শত বছর পুরাতন দৃষ্টিনন্দন আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ীর (Atharabari Zamidar Bari) অবস্থান। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। অতীতে আঠারবাড়ি গ্রাম শিবগঞ্জ/গোবিন্দ বাজার নামে পরিচিত ছিল। জমিদার দীপ রায় চৌধরী নিজ পুত্রের নামে জমিদারি ক্রয় করে এই এলাকার নাম পরিবর্তন করে রায় বাজার রাখেন। রায় বাবু জমিদারির একটি অংশে রাজবাড়ী, পুকুর ও পরিখা তৈরী করে যশোর থেকে রাজ পরিবারের কাজর্কম দেখাশুনার জন্য আঠারটি হিন্দু পরিবার নিয়ে আসেন এবং তাদের বসবাসের জন্য বাড়ী তৈরী করে দেন। তখন থেকেই এই স্থানটি আঠারবাড়ী নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী আঠারবাড়ীর তৎকালীন জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আঠারবাড়ী রাজবাড়ি ভ্রমণ করেছিলেন। সে সময় কবিগুরুর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ, বাউল, জারি-সারি গানের আয়োজন করা হয়েছিল। জানা যায় আঠারবাড়ীর জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরী শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তার শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়া কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চন্দ্রকথা ছবির চিত্রায়ন এই জমিদার বাড়িতে করেছিলেন।

১৯৬৮ সালে আঠারবাড়ি জমিদার বাড়িতে আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজের প্রধান ফটক দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই বিশাল খেলার মাঠ ও জমিদার বাড়ীর অন্দরমহল নজরে পড়ে। অন্দরমহল হতে আরও কিছুটা সামনে কলেজের ভিতরের দিকে আছে দরবার হল ও কাছারি বাড়ি। কাছারি বাড়ি ভবনের কাছে ঐতিহ্যবাহী রাণীপুকুরের অবস্থান।

যেভাবে যাবেন;

আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ী যেতে হলে প্রথমে ময়মনসিংহ জেলা শহরে আসতে হবে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ভৈরবগামী ট্রেনে আঠারবাড়ী রেলওয়ে ষ্টেশনে নেমে রিকশায় বা পায়ে হেঁটে জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন। এছাড়া ময়মনসিংহ হতে কিশোরগঞ্জ জেলাগামী বাসে ঈশ্বরগঞ্জ পৌঁছে সেখান থেকে ইজিবাইক/সিএনজি চড়ে আঠারবাড়ী যাওয়া যায়।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এনা, শামীম এন্টারপ্রাইজ, সৌখিনসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাসে ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। আবার ঢাকা-নেত্রকোণা রুটের গাড়িতে চড়েও ময়মনসিংহ যাওয়া যায়। এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে ময়মনসিংহ যাওয়া যায়।


সকলকে ধন্যবাদ!

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62070.52
ETH 2422.73
USDT 1.00
SBD 2.64