Movie review-30/04/2021
Movie name - Gods of Egypt
Directed by | Alex Proyas |
---|---|
Release date | February 25, 2016 (Australia)February 26, 2016 (United States) |
Review of the movie
এই কাহিনী তখন থেকে শুরু হয় যখন মিসরকে একজন নতুন প্রতিনিদী দেওয়া হয়। আর এই প্রতিনীধির নাম ছিল 'হরাস'। মূলত সে একজন বাতাসের দেবতা ছিলো। যেহেতু হরাসকে মিসরের প্রতিনিধি হিসেবে মানা হয়েছিল তাই তাকে মুকুট পরানোর জন্য অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু যখনি মুকুট পরানো হতে যাচ্ছিলো তখনই মরুভূমির দেবতা এসে পরে যার নাম ছিল 'সেট'। আর সেই সাথে সেট তার চাচা হয় অর্থাৎ হরাস সেটের ভাতিজা হয়। সেই অনুষ্টানে সেট হরাসের জন্য একটা উপহার প্রদান করে। আর সেই উপহার একটি হর্ন ছিল।
সেট তখন হরাসকে সেই হর্ন বাজাতে বলে এবং হরাস সেই অনুযায়ী হর্ন বাজায়। তখন পর্যন্ত সব ঠিক ই ছিল। কিন্তু একটু পরেই সেটের সেই সৈন্যদল সেখানে এসে পরে। কারন সেটের মনোভাব ভালো ছিল না। কিন্তু কেউ কিছু বুঝার আগেই সেট হরাসের পিতাকে চাকু দিয়ে মেরে ফেলে যে মূলত সেটের আপন ভাই হয়। এরপরই সে একটি ঘোষনা করে যে, এখন যদি কেউ তার সামনে নত না হয় তাহলে সে মারা যাবে এবং তার এই কথা শুনে সবাই তার সামনে নত হয়ে যায়।
কিন্তু এইসব দেখার পর হরাসের অনেক রাগ হয় যা সে মেনে নিতে পারেনি এবং সে তখনই তার চাচা সেটের সাথে লড়াই শুরু করে। লড়াইয়ের এক পর্যায়ে তারা তাদের আসল রূপে ফিরে আসে। যেটি মূলত গডের রূপ ছিলো। এই লড়াইয়ে সেট হরিসকে কাবু করে ফেলে এবং অনেক মার দিতে থাকে। তারপর সে হরাসের দুই চোখ খুলে ফেলে। সে মারতে পারত কিন্তু মারে নি কারন সে চেয়েছিলো হরাস তার সারাজীবন যাতে অন্ধকারের মধ্যে কাটিয়ে দেয়।
এরপর সে পুরো মিসরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে এবং সেই সাথে সেখানকার সব ধরনের নিয়মকানুন বদলে যায়।সেখানকার মানুষদের সাথে তখন পশুদের মতো আচরন করা হয়। তার কারন সেট একজন কঠিন রকমের প্রতিনিধি ছিল। এইকারনে সেখানকার মানুষের জন্য জীবন কাটানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল।এই শহরে আরেকজন ছেলেকে দেখানো হয়েছিল যার নাম বেক।
সেই জায়গায় বেকের আরেকজন বন্ধু ছিল। তারা একজন আরেকজনকে অনেক পছন্দ করতো। ঐ সময়ে মিসরের অবস্তা অনেক খারাপ ছিল। মিসরের প্রতিনীধি সবাইকে গোলাম করে রেখেছিল। এই কারনে বেকের যে বন্ধু ছিল সে একজন ডিজাইনারের গোলাম ছিল। এই করনে তাদের অনেক সাবধানে সাক্ষাত করতে হত।
বেকের বন্ধুর মনে হত যে তাদের দেবতা হরাস তাদের সাহায্য করবেন এবং সেই একজন যে এই গোলামি থেকে তাদের বাঁচাতে পারে।এইকারনে তারা সিদ্ধান্ত নিল যে তারা হরাসের চোখ ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
যেই ভাবা সেই কাজ, বেকের বন্ধু সেটের সব কিছু সম্পর্কে জানত। সেট কোন জায়গায় তার সব সম্পদ লুকিয়ে রাখতো, কোন জায়গায় তার সব দামি সম্পদ আছে সব জানত।এই সম্পদের মাঝে সেট হরাসের সেই চোখ লুকিয়ে রাখছিল। বেকের বন্ধু বেককে সব কিছু বুঝিয়ে দেয় এবং সেই সাথে বলে যে এইখানে সেটের সব সৈন্য থাকবে তাই তাকে খুব সাবধানে ঐ চোখগুলো নিয়ে আসতে হবে।
বেক তার বন্ধুর কথামতো সেই জায়গায় পৌঁছে যায়। কিন্তু সেই জায়গায় জায়গায় বিপদ থাকে। কারন সেখানে পদে পদে রয়েছে ফাদ। বেক সেগুলো পার করে সেই চোখের কাছে পৌছে যায় এবং সেই হরাসের এক চোখ নিতে সক্ষম হয়। সেই চোখে অনেক উজ্জল আলো থাকে। সে ঐ চোখটি নিয়ে তার বন্ধুর কাছে চলে আসে। কিন্তু তখনি সেটের সব সৈন্যরা তাদের ঘিরে ফেলে এবং সেই ডিজাইনার বুঝে যায় তার নকশায় কেউ হাত দিয়েছে। তাদের তখন জিজ্ঞেস করা হলে বেক তার হাতে থাকা একটা সোনার অলংকার দেখিয়ে বলে এটা সে নিয়েছিলো। কিন্তু সেই সৈন্যরা তখন তাদের উপর আক্রমন করতে এলে তারা হরাসের চোখ তুলে ধরে এবং সেই সময় সব সৈন্যরা কিছু সময়ের জন্য চোখে দেখতে পারে না। তাই সেই সুযোগে হরাস এবং তার বন্ধু সেখান থেকে বেরিয়ে পরে। তারা ভাবে যে তারা বেঁচে গেছে। কিন্তু যে ডিজাইনার থাকে সে বেকের বন্ধুকে তীর মারে এবং সেই সাথে সে সেখানেই নিহত হয়। তারপর তাকে নিয়ে বেক সেই মন্দিরে যায় যেখানে দেবতা হরাস থাকে।সে সেখানে গিয়ে হরাসকে খুঁজতে থাকে এবং তাকে বলে যে সে হরাসের চোখ ফিরিয়ে দেবে কিন্তু কথার মাঝে সে শর্ত রেখে দেয় আর তা হলো হরাস তার বন্ধুকে বাঁচাতে হবে।
হরাস তা শুনে রেগে যায় কারন তার মনে হয় সামান্য একজন মানুষ কিভাবে তাকে শর্ত দেয়। তখন তাদের মাঝে লড়াই হয় কিন্তু হরাস কিছুই করতে পারে না এবং শেষে সে সাহায্য করতে রাজি হয়। তারপর সে অনেক চেষ্টা করে সেই মেয়েকে বাঁচাতে কিন্তু পারে না আর সেই সময়ে সেখানে মৃত্যুর দেবতা এসে পরে।
সেই দেবতা এসে মেয়েটির আত্না বের করে জিজ্ঞেস করে যে, তোমার জীবনের বিনিময়ে তুমি কি দিতে চাও? তখন মেয়েটি বলে যে আমার কাছে কিছু নেই আমি তো একজন গোলাম।
সেই মেয়ের কাছে যেহেতু কিছু ছিল না তাই সেই দেবতা তার আত্নাকে নিয়ে অন্য জগতে চলে যায়। এসব দেখে বেকের মন আরো খারাপ হয়ে যায় এবং সে ঐ চোখ ফিরত দিতে চায়নি কারন হরাস দেবতা হওয়ার পরও তার বন্ধুর জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে নি। কিন্তু হরাস বেককে ধরে ফেলে এবং বেক নিজের জীবন বাঁচাতে সেই চোখ ফিরিয়ে দেয়। তারপর হরাস তার অন্য চোখ চায় কিন্তু বেক বলে তার কাছে তো এক চোখ আছে। তবে সে জানে হরাসের আরেক চোখ সেটের একটি পিরামিডে আছে আর বেক যেহেতু আগে সেখানে গেছে তাই সে সব রাস্তা জানে।
তখন হরাস তাকে বলে যে, তোমার বন্ধুর আত্না সবসময়ের জন্য চলে যায় নি বরং সেই আত্নার বিভিন্ন রাস্তার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আর তা করতে কয়েকদিন সময় চলে যাবে এবং হরাস আরো বলে যে সে যদি তার আরেক চোখ ফিরে পায় তাহলে সে তার ঐ বন্ধুর জীবন ফিরিয়ে দিতে পরবে। এই জায়গায় তাদের ডিল হয় এবং বেক বলে সে তার চোখ ফিরিয়ে দেবে আর হরাস তার বন্ধুর জীবন ফিরিয়ে দেবে। তারপর হরাস সেই দেহকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেয় এবং তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এই জায়গায় হরাস আরো বলে যে সে সেটকে মেরে তার প্রতিষোধ নেবে।
সেটের কাছেছে সেই খবর এসে পরে যে, হরাস তার একচোখ ফিরে পেয়েছে। এরপর সে তার সৈন্যদের আদেশ দেয় যেন তারা ঐ দুজনকে মেরে ফেলে।
এরপর হরাস বেককে নিয়ে একটি পাহাড়ে যায়। তখন বেক জিজ্ঞেস করে সে কোথায় যাচ্ছে। তখন হরাস বলে যে সে তার দাদার সাহায্য চাইতে যাচ্ছে।
তারপর পাহাড়ে উঠে সে তার দাদার ব্যাপারে চিন্তা করতে থাকে। তখনই হটাৎ করে তার শরীর দেবতার রূপ ধারন করে এবং সে বেককে নিয়ে তখন আকাশে উড়ে যায়। সখানে তার দাদার সাথে তার দেখে হয়।তার দাদা যিনি ছিলেন সূর্যের দেবতা। সে তখন সেটার সব কথা বলে এবং সাহায্য চায়। তখন তার দাদা বলে সে তা করতে পারবে না। তারপর হরাস সেখান থেকে এসে পরে কিন্তু আাসার সময় সে সেখানকার যাদুকরী পানি নিয়ে আসে।
তারপর সে দুনিয়ায় ফিরে আসে। কিন্তু তখন তার দেবতার রূপ চলে যায়। তার মনে হয় তখন সে তার আসল রূপে ফিরে আসতে পারবে যখন তার চোখ তার সাথে থাকবে। তাই সে বেককে নিয়ে সেই পিরামিডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে সেট তার সবচেয়ে বড় যুদ্ধাদের পাঠিয়ে দেয় এবং সে আরেকজন দেবতার কাছে চলে যায় যে মূলত ভালেবাসার দেবতা। সেই দেবতার কাছে যাদুর একটি কাকন ছিলো যা দিয়ে সে খুব সহজে অন্যলোকে গিয়ে ফিরে আসতে পারত। সেট সেই কাকনটি নিতে আসে কারন সে অন্যলোকেও নিজের রাজত্য স্হাপন করতে চেয়েছিল।
কিন্তু সে তা সেটকে দিতে অস্বীকার করে। সেট তখন তাকে মারতে চাইলে সে কাকনের মাধ্যমে সেখান থেকে চলে যায়।
তারপর হরাস ও বেক একটি মন্দিরে যায় সেখানে সেটের পাঠানো দুটি মনস্টার এসে পরে যারা মূলত আগুন ছূড়ে আসতে থাকে। কিন্তু সেখান থেকে তারা বেঁচে যায়। এবং সেই সময় সেই ভালোবাসার দেবী এসে পড়ে এবং তার যাদুর মধ্যমে সে সেই মনস্টার গুলোকে মেরে ফেলে।
তারপর তারা সেই পিরামিডে যায় যেটি মূলত আগুন দিয়ে ভরপুর। তারা সেখানে তাদের চোখ খুঁজতে যাবে তখন সেখানে সেট এসে পড়ে এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বেক হরাসের অন্য চোখ পেয়ে যায়। তখন সেট বেককে ফেলে দিতে চায় তখন সেটার হাতে যে চোখ থাকে তা সে পড়তে পড়তে হরাসের দিকে ছুঁড়ে মারে। কিন্তু সেই সময় হরাস তার চোখ না নিয়ে সে বেকের জীবন বাঁচাতে পিরামিডের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে। আর তখনি সে তার দেবতার রূপ আবার ফিরে পায়। এখানে দেখানো হয় যে, হরাসের আসল শক্তি আসলে তার চোখে নয় বরং তার শক্তি তার মানসিকতায় রয়েছে। হরাস যখন এই কথা বুঝে যায় তখন সে তার মানুষদের বাঁচাতে সেটের সাথে লড়াই করে এবং সেটকে মেরে ফেলে। আর সই ভালোবাসার দেবীর কাকনের বিনিময়ে বেকের সেই বন্ধুকে ফিরিয়ে আনে। এভাবেই এই মুভির সমাপ্ত হয়।
Thank you
@ahmedsamin