প্রাচীণ কাল থেকে গ্রাম ও শহরে ব্যবহার করা হয় বাকুয়া
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমাদের বাংলাদেশের ৫০% মানুষই গরীব ৩৫% মধ্যবিত্ত ও ১৫% হয়তো উচ্চবিত্ত। উচ্চবিত্তদের চাকরি করার কোন প্রয়োজন হয় না৷ তারা বেশিরভাগই বিজনেস ম্যান হয়ে থাকেন৷ এসির নিচে বসে ব্যবসা করেন৷ মধ্যবিত্তরা বিভিন্ন ধরনের চাকরি ও ছোট খাট ব্যবসা করে থাকেন৷ আর যারা গরীব তারা দিনমজুর, রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও ফেরিওয়ালা ইত্যাদি চালিয়ে থাকেন৷ গরীব মানুষরা যে পেশার সাথে জড়িত সেগুলো অনেক কষ্টের হয়ে থাকে৷ অনেক পরিশ্রম করতে হয়৷
![]() | ![]() |
---|
আমাদের দেশে প্রাচীণ কাল থেকে ব্যবহার করা হয় বাকুয়া৷ এই বাকুয়া ব্যবহার করা হয় মালামাল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ বাকুরার দুই পাশে দুটি ডালি বাঁধা থাকে। একজন মানুষ হাত দিয়ে দুটি ডালি কখনই উঠাতে পারবে না৷ কিন্তু বাকুয়ার দুই পাশে ডালি বাঁধলে সেটা অনায়াসে কাধে নেওয়া যায়৷ এভাবে অনেকটা কষ্ট লাঘভ হয়৷ আমি গ্রামে দেখেছিলাম দিনমজুরেরা বাকুয়া ব্যবহার করে ধানের আঁটি মাঠ থেকে কাধে করে নিয়ে আসেন৷
![]() | ![]() |
---|
বাকুয়া মূলত তৈরি করা হয় বাঁশ দিয়ে৷ বাকুয়া অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে৷ একটি বাকুয়াতে একবারে ১০০ কেজির উর্ধে ধানের আঁটি বহন করা যায়। এছাড়া শহরে ফেরিওয়ালাদের দেখা যায় বাকুয়া ব্যবহার করতে৷ শহরে অনেক সবজি বিক্রেতাও দেখা যায় যারা বাকুয়া দিয়ে সবজি এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন৷ আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষকে দেখা যায় যারা এভাবে অলি গলি ঘুরে ঘুরে মালামাল বিক্রি করেন৷ আজকে দুপুরে বাইরে গিয়ে দেখলাম দুইজন লোককে। একজন ফেরিওয়ালা ও একজন সবজি বিক্রেতা। আমি জিনিসটার নাম জানতাম না৷ মা ও মামার কাছে নামটা শুনে নিলাম৷
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcySjGHERr52swnaESgypeXtzPARYvkQpXTT4Bm7YM3H1/image.png)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd5f5C3i8g8WGg5NaFBakVZBhvDFHPT3ZiKge1UnyhGy9/3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png)
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
এটা কেআমরা আমাদের গ্রাম্য ভাষায় বানকুয়া বলে থাকি। এটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়, গ্রামে সাধারণত কৃষকদের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস হল বানকুয়া। এটি অনেক শক্ত হয়ে থাকে যার কারণে অনেক মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষক ছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তারা তাদের মালামাল পরিবহন করার জন্য এসব বানকুয়া ব্যবহার করে থাকে।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
বাকুয়াটি আমাদের গরীবদের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান ভাই। কারণ এটির মাধ্যমে হাজার হাজার দিন মজুরির ভাত কপাল এ জোটে। যদি আমরা ধান রোপন করতে যাই তবুও এই বাকুয়া অপরিহার্য উপাদান পালন করে
আবার নতুন ধান বাড়িতে আনার সময় ও কাজে লাগে। এককথায় সব দিক এ এটি অপরিহার্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ
Thank you
সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। গ্রামে গ্রামে এভাবেই ভার ও বাংকুয়ার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন বিক্রি করে বেড়ায়। আপনি এই পোস্টে যে জিনিসটিকে বাকুয়া বলে সম্বোধন করেছেন সে জিনিসটিকে আমাদের এলাকায় বাংকুয়া বলা হয়। আপনি ঠিক বলেছেন ধানের সময় এই জিনিসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
আপনি যে বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এটি আমরা আমাদের অঞ্চলে বাংকুয়া হিসেবে চিনি। এটি বাঁশের তৈরি একটি জিনিস। এটি বাঁশ কেটে বাঁশ ফাটিয়ে অর্ধেক করে তৈরি করা হয়। এটি সুন্দর করে তৈরি করা হয় যাতে এটি ঘাড়ে সুন্দর করে বসে থাকতে পারে। ঘাড়ে যেন ব্যথা না হয় এটিতে করে অনেক ধরনের মালামাল ঘাড়ে নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। আমাদের বাড়িতে এমন একটি বাংকুয়া রয়েছে। এটি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে থাকি। অনেক সময় জমিতে কাজের লোক থাকলে তাদের ভাত নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন রকমের কাজে মানুষ ব্যবহার করে।এটি বিভিন্ন ধরনের মালামাল বহন করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এটি বিশেষ একটি কাজের জিনিস।আপনি বেশ দারুন একটি জিনিস আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই জিনিসটি আমরা অনেকেই দেখেছি এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানি। আমি নিজেও এটি অনেকবার ব্যবহার করেছি। আমার নিজের ব্যক্তিগত কাজে আমি যখন জমিতে কৃষকদের নাস্তা নিয়ে যাই তখন এটি ব্যবহার করি। এই বাংকুয়া ব্যবহার করার ফলে অনেক ওজনের জিনিস সহজে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এই বাংকুয়াতে করে অনেক মানুষ বিভিন্ন মালামাল বাজারে এবং গ্রামে বিক্রি করে তাদের পরিবার চালায়। তবে এখন এটির ব্যবহার অনেক কমে গেছে এখন মানুষ ভ্যান রিক্সা এবং সাইকেলে করে মালামাল বিক্রি করে বেড়ায়। এটি আমাদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য। আমি আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1702280096781082959?t=ggjByMSyEymNnhAKsrz3oQ&s=19
বাকুয়া নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এটিকে বাংকুয়া বলা হয়ে থাকে। এটি বাঁশের তৈরি। বাংকুয়ায় করে কৃষিজাতপণ্য ও বিভিন্ন ধরনের হরেক রকমের মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। আমাদের বাসায় ও একটি বাংকুয়া আছে। কৃষকদের খাবার নিয়ে যাওয়া কাজে ব্যবহার করা হয়।
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ
বাহ চমৎকার পোস্ট করেছেন ভাই, এই বাকুয়া কে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বাইশ বলে। ধান কাটার পর ধান ক্ষেত থেকে এই বাইশ এর মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। হকার রা এই বাইশ দিয়ে মালামাল বিক্রি করে। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা এই বাইশ বা বাকুয়া। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এই বাইশ অনেক প্রয়োজনীয় মাধ্যম।ওজন পরিবহনের জন্য এটা একটি সহজ মাধ্যম। এই বাইশ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এদের জীবন সংগ্রাম করতে এই বাইশ এর দরকার হয়। যুগ যুগ ধরে শ্রমজীবী মানুষের ব্যবহারের মাধ্যম।
ধন্যবাদ
বাঁশের তৈরি বাঙ্কুয়া বিভিন্ন কাজে লাগে। বিশেষ করে যারা অসহায় ও দিনমজুর তারাই সাধারণত ব্যবসার করে দিন পার করে। অনেক সময় দেখা যায় ধান কাটার পর কৃষকেরা ধান নিয়ে আসার জন্য এই বাঙ্কুয়া ব্যবহৃত করে। বাঁশের তৈরি বাঙ্কুয়া নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ
প্রাচীনকাল থেকেই এই বাঁশের তৈরি বাকুয়ার ব্যবহার চলে আসছে। কিন্তু আমাদের গ্রামে এই বাকুয়া কে বাংকুয়া নামে পরিচিত। এই বাকুয়া অনেক কাজে লাগে। ধান কাটা পর ধান নিয়ে আসার কাজে বাকুয়া লাগে। আর যারা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারাও কিন্তু এই বাকুয়া ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাকুয়া নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ