প্রত্যেকটা মানুষই তার জীবনে কিছু না কিছু চুরি করেছেন
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
হামার সোহান ভাতিজ আর নাহিদ ছিলো সেই রকম কাঁঠালখোর। বেটারা সকাল ৬ টার সময় মশিয়ুর আংকেল এর কাছে প্রাইভেট পড়তে যাইতো। আর ব্যাগে করে গাছের কাঁঠাল পেরে আনতো৷ মাঝে মাঝে জংগলেও রাখতো 😀। তপুও মাঝে মাঝে চুরি করা কাঁঠাল খাইতো৷ আমার কাঁঠাল তেমন ভালো লাগতো না৷
কেলোকার বড় পুকুরের সামনে অনেক আম গাছ ছিলো৷ পুকুরে নামলে আম খাওয়া হইতো৷ সোহান আর নাহিদ ব্যাগ ভর্তি করে আম পারি বাড়িত নিয়ে যায়া আচার করতো। মাঝে মাঝে আমি আম পারতাম। তবে আচার করতাম না। বাড়িতে তেমন একটা নিয়ে যাওয়া হইতো না৷
তবে সোহান ভাতিজ হামার ভালো ডাব গাছে চড়তে পারে৷ নাহিদ তো পাক্কা গাছুয়া ছিলো৷ সেকেন্ডে ডাব গাছে চড়তো। আগে আবুল, রাব্বি, ভাতিজ, নাহিদ আর আমি ডাব চুরি করতাম নিয়মিত৷ নাহিদ গাছে চড়তো। আমরা নিচে দাড়ায় পাহাড়া দিতাম৷ ডাব পারার পর লুকায় লুকায় ডাব খাইতাম৷ এগুলো সরকারী গাছ ছিলো আমাদের বাবা'রা যেহেতু সরকারী চাকরি করতেন। সেহেতু ঐসব গাছের আম, কাঁঠাল ও ডাব আমরা খেতেই পারি৷ আম ধরার সময় গার্ড রাখা হইতো৷ গাছের ডাবও পাহাড়া দিতো গার্ডরা। সেহেতু আমাদের লুকায় লুকায় পারতে হইতো।
ভাতিজ আর আমি দুই তিন আগে কেলোকা গেছিলাম৷ কেলোকা এখন প্রায়ই ফাঁকা হয়ে গেছে। আগে মিষ্টি গাছের আম আটি হওয়ার আগেই নাই হয়ে যেত৷ সেখানে এখন গাছের নিচে আম পরে আছে কেউ খায় না৷ এখনকার বাচ্চারা মোবাইলে গেমস খেলা আর প্রেম নিয়ে ব্যস্ত। তারা আম খাবে কখন।
ভাতিজ চাকু নিয়ে আসছিলো৷ @mainuna লবণ আনার কথা ছিলো৷ কিন্তু সে নারী নিয়ে ঘুরতে যাওয়ায় আমরা লবণ থেকে বঞ্চিত হইছিলাম। কিছু করার নাই৷ আমের থেকে এখন নারীই বেশি প্রাধান্য পায় পোলাপানের কাছে৷ যেহেতু আমি আর ভাতিজ নিষ্পাপ। তাই আমরা আম পারার জন্য কেলোকা গিয়েছিলাম৷ ভাতিজ গাছে চড়ে ৯-১০ টা আম পারছে৷ যেহেতু লবণ ছিলো না৷ তাই আম খাওয়া হয় নাই শান্তি মত৷ দুই জনে পকেটে করে আম বাড়িতে নিয়ে আসছি 🥲।
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
জীবনে অনেক চুরি করে আম খেয়েছি এবং চুরি করিয়েছি। চুরি করে ফল খাওয়ার যে কি মজা সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আপনার পোস্টটি দেখে ভাই কেলোকার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। যেগুলো মনে হলে কেমন যেন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি।ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
@mainuna ভাইয়ের রহস্য ভেদ করে দিলেন আজক। চুরি করে আম খাওয়ার এক্সপেরিয়েন্স আপনাদের বেশ ভালই আছে মনে হয়। সোহান ভাইয়ের কি আম কম হয়েছে নাকি ওইখানে?আম গনছে মনে হয়। পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আম ভাগ করতেছিলো 😃
হাহা😁
আল্লাহ মাপ করুক 😁 আমার গাড়ি লিকেজ হয়ে পড়ে ছিলো। আপনি চলে যাওয়ার পরেই আমার সোহান ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিলো। নারী আমি পাব কই সেটাই কথা এইটা @rahulkazi হলে ঠি ছিলো। আমার উপরে এমন অপবাদ মানা যায় না ভাই।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবর এটা
হাহাহ 😁
আপনার পোস্ট পড়ে ছোটো বেলার কথা মনে পড়ে গেল।ছোটতে কতো মানুষের আম চুরি করে খেয়েছি। কাঁচা আম লবণ দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনাদের আম চুরির ভালোই ট্রেনিং আছে ভাই। আপনাদের আম ও ডাব চুরির গল্প টা বেশ ভালোই লাগলো।
😀
এই রকম চুরি আমিও করেছি ভাইয়া.. এমন চুরির মজা যে কি রকম, সেটা বলে বুঝানো সম্ভব না, যাইহোক কথা একটাই, সোহান আর নাহিদ ভাইয়ারে ধরে ফেল...💝💝
🙂
আম চুরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আমরাও কালকেই আমাদের এলাকার কাঁচামিঠা আম চুরি করে খেয়েছি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ভালোই তো আম চুরি করে খাইলেন ভাই। সোহানুর ভাইয়ের ছবি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে, মাইনুলা লবণ না আনাতে কাজটা ঠিক করেনি ।ডাব চুরি করেছিলাম একবার, আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে মনে পড়ে গেলো। তবে জেনে ভালো লাগলো সোহানুর ভাই ডাব গাছে উঠতে পারে। শামীম কি পারে সেটা বললেন না? ওকে দিয়ে আম পাড়েতেন বাসায় আম দুধ খেতে পারত 😁
তা তো ওরে সাথেই রাখেননি।
কাঁচা আম দিয়ে আম দুধ খাবে কেমনে 🤔
আম চুরি করার দৃশ্য দেখলে শৈশবের কথা মনে পড়ে। আগে আমরা স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় আম চুরি করতাম।তবে কখনও ধরা খাইনি।@mainuna ভাইয়ার জন্য শুভকামনা।
হাহা 😆😁একটা প্রেম করাই দিয়ে স্বাগতম জানান আমাকে।
আপনি অবশেষে তাহলে আম চুরি করলেন ভাই 🤔🤔🤔 এই খবর যদি জাতি জানতে পারে তাহলে কি অবস্থা হবে ভাবতে পেরেছেন আপনহ😒😒😒 অবশ্য ছবি গুলো দারুণ তুলেছেন।
আমরা যেনে গেছি, সোহানুর ভাই নির্দোষ সব দোষ তো তৌফিক ভাইয়ের। এটা তৌফিক ভাইয়ের বুদ্ধি ছিলো😁😁😁😁😁