ঐতিহ্যবাহী খাবার পোলাওয়ের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি আমাদের সকলের পরিচিত খাবার ঐতিহ্যবাহী পোলাও।পোলাও আমাদের এলাকার খুব জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার বটে।
পোলাও হল সুগন্ধি চাল দিয়ে তৈরি এক প্রকার মসলাজাত খাবার।এই চাল আবার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন বাসমতি চাল,চিনিগুড়া চাল,কলোজিরা বা জিরাশাইল চাল ইত্যাদি।এটি বাঙালির নিজস্ব খাবার নয়। ধারণা করা হয় যে বাংলায় যখন মুসলিম শাসনের আধিপত্য বিস্তার লাভ করে তখন পোলাও এর আবির্ভাব ঘটে। পোলাও পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।পোলাও আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়।যথা মোরগ পোলাও, সবজি পোলাও,সাদা পোলাও, মিষ্টি পোলাও ইত্যাদি। যেকোন আনন্দ অনুষ্ঠানে ভাতের পাশাপাশি পোলাও এর আয়োজন করা হয়। যেমন ঈদ,বিয়েবাড়ি, আকিকা সব অনুষ্ঠানে পোলাও অবশ্যই থাকে।আজ আমি সাদা পোলাও নিয়ে লিখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
পোলাও রান্নার জন্য প্রধান উপকরণ হল চাল।এজন্য আমি ১ কিলোগ্রাম সুগন্ধি জিরাশাইল চাল নির্বাচন করেছি।কেননা এই জিরাশাইল চাল সহজলভ্য ও দাম হাতের নাগালের কাছেই হওয়ায় সবাই সহজে ক্রয় করতে পারে। বর্তমানে এই চালের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ১৫০ টাকা প্রায়।যা আগে ছিল মাত্র ১০০-১১০ টাকা।কিন্তু বর্তমানে সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এরও মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাহোক আমার চাল বাছাই করা হয়ে গেছে।
এরপর আমি ৩-৪ টি পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি পেঁয়াজ বেরেস্তা করার জন্য। আবার ২-৩ টি রসুন নিয়েছি।রসুন এর জোয়াগুলো সুন্দরভাবে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে লম্বালম্বিভাবে চিকন করে কেটে নিয়েছি।এগুলোও পেঁয়াজের সাথেই আমি ভেজে নেব।যার ফলে পোলাও এর ঘ্রাণ সুন্দর হয়।
যেহেতু আমি রাইস কুকারে রান্না করব তাই রাইস কুকারের পাতিল নিলাম। এরপর ১ কেজি চালের জন্য ২ কেজি পানি মেপে নিয়ে ঢেলে দিলাম। এরপর ২ টেবিল চামচ পরিমাণ লবন দিলাম।এরপর মসলা যোগ করার পালা।এজন্য আমি ২ টি দারুচিনির টুকরা,বড় এলাচ ১ টি,ছোট এলাচ ৩ টি,৭/৮ টি গোলমরিচ,তেজপাতা ২/৩ টি ও ৩/৪ টি লং দিয়ে দিলাম। এরপর আমি কিছু পরিমাণ সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম।এরপর আমি পাতিলটি রাইস কুকারে বসিয়ে ঢাকনা বসিয়ে দিয়ে কুক পজিশনে করে দিলাম।
পাতিলটি বসিয়ে দেয়ার পর পাশাপাশি ইন্ডাকশনে আরেকটি কাজ চালিয়ে নেব।এজন্য আমি প্রথমে আমি কড়াই বসিয়ে দিলাম।এরপর এতে সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে দেব।চুলার তাপমাত্রা মিডিয়ায় রেখে দেব যাতে সহজে পুড়ে না যায়।এভাবে পেঁয়াজ রসুন কুচিগুলো যখন গোল্ডেন ব্রাউন কালার চলে আসবে তখন ভাজা বন্ধ করে দিলাম। দেখা যাবে যে চারিদিকে একটা সুন্দর স্মেল ছড়িয়েছে।এগুলো আমি এখন রাইস কুকারের পাতিলে এগুলো ঢেলে দিলাম। এবার এগুলো ভালোভাবে নেড়ে দিয়ে বসিয়ে দিলাম।
আমি অনেক আগেই চাল ধুয়ে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রে রেখে দিয়েছিলাম যাতে পানি ঝড়ে যায়।এরপর আমি পানিতে ব্লগ আসতে শুরু করলে পানি ঝড়ে নেয়া চালগুলো ঢেলে দিলাম এবং নেড়ে দিয়ে ঢাকনা বসিয়ে দিলাম। এভাবে আমি কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে দিয়েছি যাতে চালগুলো তলায় লেগে না যায়। এভাবে ১০-১৫ মিনিট পর দেখা গেল যে পোলাও হয়ে গেছে।এরপর কিছুক্ষণ এটি রাইস কুকারে বসিয়ে রাখলাম।ব্যাস পোলাও রেডি।এবার পরিবেশন করার পালাঃ
পোলাওগুলো নামিয়ে নেয়ার পর আমি একটি বাটিতে নিয়ে একটি চিনামাটির প্লেটে বসিয়ে গোলাকার শেপ দিয়েছি।এরপর এর পাশে গরুর মাংশ ও একপাশে শসার কয়েকটি ফালি দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করি। এরপর পোলাও এর গোলাকার শেপের উপর শসার তিনটি ফালি দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করি। আমি খুব সাধারনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
পোলাও এর মূলত ভাতের মতোই গুণগত রয়েছে। অর্থ্যাৎ এটি শ্বেতসার। এটি মূলত মুখের স্বাদ বাড়াতে খাওয়া হয়। তবে পোলাও এ ঘি দেওয়া হলে শরীরে ফ্যাটের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর কোনো অপকারী দিক নেই। ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতিযোগিতায় বিদেশীয় তিন বন্ধুদের @patjewell @deepak94 এবং @abdullahw2 অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
পোলাও সাথে গোস্ত দেখলেই জিবায় জ্বল চলে আসে। বাঙ্গালিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার এই পোলাও গোস্ত। আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর চাবে পোলাও রান্না করার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি খাবার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
পোলাও আমার পছন্দের খাবার এর মধ্যে একটি। খুবই দারুণ ভাবে রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে অনেকে রান্না করতে পারবে।
ধন্যবাদ
অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করছেন আপু, পোলাও আমার অনেক পছন্দের খাবার, বিশেষ কিছু দিনে পোলাও লাগবেই। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন, যে কেউ আপনার রেসিপি ফলো করে রান্না করতে পারবে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।
ঐতিহ্যবাহী খাবার পোলাওয়ের রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমি ছোটবেলা থেকে পোলাও খেতে অনেক পছন্দ করি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ
পোলাও খেতে আমাদের প্রায় সবাই কে ভালো লাগে। পোলাও হল বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা প্রায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের খেয়ে থাকে।পোলাও রান্না নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
পোলাও খেতে আমাদের প্রায় সবারই ভালো লাগে। কোন অনুষ্ঠানেও পোলাও রান্না করার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। রেসিপিটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, সেই সাথে অনেকগুলো ছবি শেয়ার করেছেন। দেখে ভালো লাগল।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি পোলাও এর খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি বাঙালির এই পোলাও খুব পছন্দের একটি খাবার। বাংলাদেশের মানুষ পোলাও ছাড়া বিশেষ দিন এবং উৎসবের দিন ভাবতেই পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে এই রেসিপি পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
Greetings.
Overall your presentation is excellent and the pulao is also looking very delicious and tasty. But you don't have any club. I suggest you to join any of club like club5050, club75 and club 100. So you will become eligible for rewards.
By the way thanks for your mention 😊
Have a nice day.
Thank You So Much. 🥰
Always well come ☺️
পোলাও আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। পোলাও খাওয়ার স্বাদটাই অন্য রকম। পোলাও নিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট করেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে সাজিয়েছেন।
ধন্যবাদ