প্রথমে নারিকেল গুলো কুরিয়ে নিতে হবে। এখানে আমি ৩ টি নারিকেল কুরিয়ে নিয়েছি এবং একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখেছি।কুরানোর সময় আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য রেখে নারিকেলগুলো কুরিয়েছি।
এরপর আমি এতে ৩ বাটি পরিমাণ শুকনো চালের আটা দিয়েছি।আটাগুলো প্রথমে একটু কম কম করে দিয়েছি।কারণ শুরুতেই বেশি আটা হয়ে গেলে বড়াটি খেতে ভাল হবে না।তাই সর্বমোট আমি ৩ বাটি আটা দিয়েছি।
এরপর আমি এতে ১ বাটি পরিমাণ চিনি দিয়েছি।
এরপর আমি এতে ১ চা চামুচ পরিমাণ লবন দিয়েছি।আমি যেকোনো মিষ্টি খাবারেই সামান্য হলেও লবন দেওয়ার চেষ্টা করি।এতে করে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়।
এরপর আমি এতে এক চামুচ পরিমাণ কালোজিরা দিয়েছে। পিঠা জাতীয় খাদ্যে কালোজিরা দিলে সুন্দর একটি স্মেল আসে।
এরপর আমি সবগুলো উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি। এখানে আমি সামান্য পরিমাণও পানি ব্যবহার করব না। কারণ নারিকেল থেকে যে দুধ বের হবে আর চিনি থেকে যে পানি বের হবে তা দিয়েই পিঠাটির খামির নরম হয়ে যাবে।ব্যাস পিঠা প্রস্তুতের সবগুলো ধাপ প্রায় শেষের দিকে এখন শুধু ভেজে নেওয়ার পালা।
বড়া গুলো ভেজে নেওয়ার জন্য আমি প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম।এরপর কড়াই গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম।কড়াই গরম হয়ে গেলে এতে আমি সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম।
তেল গরম হয়ে গেলে আমি এতে বড়াগুলো ছেড়ে দিব।এখানে আমি বড়ার সাইজ গোল ও চ্যাপ্টা করে নিয়েছি।আপনারা চাইলে বিভিন্ন আকৃতির করে নিতে পারেন।
বড়াগুলো তেলে দেওয়ার পর নিচের দিকে যখন লাল লাল ভাব চলে আসবে এখন এগুলো উল্টে দিতে হবে।
দু'পাশেই এভাবে লাল লাল করে উল্টে দিতে হবে। দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে বড়া গুলোর মধ্যে নিচের মতো সুন্দর একটি কালার চলে আসবে।তখন এগুলো কড়াই থেকে তুলে নিতে হবে।তুলে নিয়ে একটি পরিষ্কার শুকনো পাত্রে রাখতে হবে।
সবগুলো বড়া একই উপায়ে ভেজে নেওয়ার পর আমি এগুলো একটি বাটিতে তুলে নিলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ছবি তুলে নিলাম। এরপর এগুলো আমি পরিবারের সদস্যদের সাথে গরম গরম উপভোগ করলাম। এই রেসিপিটির সবথেকে বড় সুবিধা হল এতে বেশি উপকরণ লাগে না এবং বাচ্চারাও এটা খুব পছন্দ করে। আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগবে।
নারিকেলে রয়েছে ভিটামিন- সি ও ভিটামিন-বি।তাছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।নারিকেলে রয়েছে ফাইবার যা দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে।নারিকেল রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক রাখে।তবে বেশি নারিকেল খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে।নারিকেলে ক্যালরি প্রচুর রয়েছে। তাই এটা অল্প সময়েই শরীরে শক্তি যোগায়।নারিকেল মাথার খুশকি কমায়।এটি ত্বকে নরমও রাখে।তাছাড়া এতে আমি কালোজিরা ব্যবহার করেছি।নবিজী বলেছেন, কালোজিরা হল মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। তাই এর উপকারিতা সম্পর্কে আমার আলাদা করে কিছু বলার দরকার নেই।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
নারিকেলের পিঠা খেয়েছে এবং নাড়ু খেয়েছি। তবে নারিকেলের বড়া হয় এটা আমার কখনো জানাই ছিল না। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাজা ছাড়াই অল্প সময়ে অনেক সুন্দর করে নারিকেলের বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। নারিকেলের এই রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। অবশ্যই আমি বাসায় এই রেসিপিটি একদিন ট্রাই করবো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1694327084259365182?t=KgcRanljJLJ4JzH5Mv6dXw&s=19
নারিকেলের বড়া সত্যি অনেক মজাদার হয়ে থাকে, আমার খুবই পছন্দের খাবার এটি।মেহমানের সামনে উপস্থাপন বা নিজেরা উপভোগ করার আনন্দই অন্য রকম।আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপি দিয়েছেন।যারা এটি পারেনা তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
নারিকেল দিয়ে বড়া বানানো হয়, আমিতো ভাবসি নারিকেল দিয়ে তেল পিঠা। মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন আপু। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন আপনার রেসিপি ফলো করে বাসায় বানানোর চেষ্টা করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
নারকেল এর নাড়ু ও বড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার নানা বাড়িতে আমি প্রথম বার এর মতো এই বড়া খাই। আপনি আপনার রেসিপি পোস্টটি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপে ধাপে সাজিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু।গরম গরম বড়া খেতে আমার বরাবরই অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
নারিকেলের বড়ার রেসিপি টা আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার মা মাঝে মাঝে এই নারিকেল বড়া তৈরি করে থাকেন। যা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।
ধন্যবাদ।
নারিকেল পিঠা অনেক পছন্দের খাবার হলেও বর্তমানে দামের কাছে গিয়ে আটকে যেতে হয়। তবে আপনার রেসিপির প্রশংসা করতে হয়। আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দরভাবে নারিকেল পিঠা বানানোর রেসিপি দেখিয়েছেন যা আমার কাছে অনেক সহজ মনে হয়েছে। কালোজিরা সম্পর্কে এই হাদিসটি কমবেশি আমরা সকলেই জানি। আমার মনে হয় কালোজিরা ব্যবহার করার জন্য স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। নারিকেলের গরম পিঠা আপনি ভালই উপভোগ করলেন।
জ্বী। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নারিকেলের যে বড়া হয় কখনো জানতাম না আজকের প্রথম দেখলাম এই রেসিপিটি।এর আগে আমি অনেক কয়েকবার নারিকেলের নাড়ু খেয়ছিলাম। বেশ ভালো লাগে আমাকে নারিকেলের নাড়ু।অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ রেসিপিটি কি এক ধরনের পিঠে বলা চলে? নারকেলের বড়া রেসিপি সম্পর্কে আজকে আমি প্রথম জানলাম।আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে মুচমুচে। তেলে ভাজা প্রায় সব জিনিসই অনেক সুস্বাদু হয় এবং খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পিঠাও বলা যাবে।কারণ তালের বড়াকে বড়া বলা হয় আবার পিঠাও বলা হয়।ধন্যবাদ।
নারিকেল বড়া দেখেই আমার জিভে জল চলে আসতেছে আপু।আমি নারিকেলের নাড়ু খাইছি কিন্তু কখনো নারিকেলের বড়া খাই নাই। তবে আপনার রেসিপি যে কেউ ফলো করলে নারিকেলের বড়া তৈরি করতে পারবে।আসলে কালো জিরার অনেক গুন রয়েছে আপু।আপনি নারিকেল বড়া রেসিপির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।