বাচ্চাদের পছন্দের খেলনা কাপড়ের তৈরী পুতুল
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি বাচ্চাদের পছন্দের একটি খেলনা কাপড়ের তৈরী পুতুল নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
শিশুকাল বেশ আনন্দঘন একটি সময়।আল্লাহর সৃষ্টি সব জীবেরই একটি শিশুকাল রয়েছে। এবং পরবর্তীতে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিনত হয়।অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকেরই একটি শিশুকাল ছিল।শিশুকালটা আমাদের বিভিন্ন আনন্দ উন্মাদনায় কেটে থাকে।শিশুকালে সাধারণত আমাদের কোনো কাজ থাকে না। তাই আমরা সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি।মূলত আমাদের দেশে শিশুদের ৫ বছরের পর স্কুলে পাঠানো হয়।তাই এই ৫ বছরে শিশুরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলে থাকে।আর খেলার একটি অন্যতম উপায় হল ছোট বাচ্চাদের খেলনা দিয়ে খেলা।ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা থাকে যেমন প্লাস্টিকের গাড়ি,ব্যাট,বল,বিভিন্ন ধরনের মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, পুতুল ইত্যাদি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বিশেষ খেলনা হল কাপড়ের তৈরী পুতুল।
ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের পুতুল দিয়ে খেলে।পুতুল মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল প্লাস্টিকের তৈরী পুতুল,আরেকটি হল মাটির তৈরী পুতুল আর সর্বশেষে হল কাপড়ের তৈরী পুতুল।প্লাস্টিকের তৈরী পুতুল দিয়ে আমরা ছোটোবেলায় খেলেছিলাম।এই পুতুলগুলোর নিচে বাঁশি লাগানো থাকতো তাই চাপ দিয়ে আবার ছেড়ে দিলে প্যাঁ-পুঁ শব্দ হতো।মাটির তৈরী পুতুল দিয়েও আমরা ছোটবেলায় খেলেছি। মাটির হাতি,ঘোড়া,বাঘ,হরিণ, বউ এসব ধরনের পুতুল পাওয়া যায়। আমি একটি মাটির মাছও কিনেছিলাম। আমার বড়আম্মা মাটি দিয়ে পুতুল বানাতে পারেন।আগে তিনি আমাদের লাল মাটি দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর পুতুল বানিয়ে দিতেন।
কাপড় দিয়েও বিভিন্ন ধরনের পুতুল তৈরী হয়।কাপড়ের পুতুলগুলো খুবই নরম ও তুলতুলে হয়ে থাকে। এগুলোর ভিতরে সাধারণত কাপড়ের তুলা দেওয়া থাকে। তাই এগুলো এত নরম হয়।ছোটবেলা থেকেই আমরা গ্রামেই থাকি।তাই আমাদের সময় এত ভাল মানের পুতুল থাকলেও আমরা সেগুলো দেখিনি।
কাপড় দিয়ে শুধু বর-বউ নয় বিভিন্ন প্রাণীর অবয়বেও পতুল তৈরী করা হয়। যেমন কুকুর,বিড়াল,মাছ,পান্ডা, ডোরেমন,মুরগী, হাঁস ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতিতে তৈর করা হয়। এই ধরনের পুতুলগুলি আমার খুবই ভাল লাগে। এই ধরনের পুতুলগুলি খুবই নরম হয় আর এগুলোর ওজনও খুব কম হয়। তাই বাচ্চারা সহজেই এ পুতুলগুলো নিয়ে খেলতে পারে।এগুলোর দ্বারা বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা না। এই পুতুলগুলো ছবির মতো বাস্তবেও অনেক কিউট। আর এগুলো দাম মাত্র ১৫০ টাকা।ব্যক্তিগতভাবে আমার এগুলো খুবই ভাল লেগেছে এবং এর মধ্যে থেকে আমিও একটি মাছ ক্রয় করেছি।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি একদম ঠিক বলেছেন শিশু কাল আমাদের সবার জীবনের একটি আনন্দ ও সুখময় অংশ। ছোটবেলায় আমরাও বিভিন্ন ধরনের পুতুল দিয়ে খেলতাম। তবে এখনকার বাচ্চাদের মাঝে পুতুল দিয়ে খেলার আর ততটা আগ্রহ দেখা যায় না। বর্তমানের সবাই তাদের বাচ্চাদের চুপ করানোর জন্য মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের কার্টুন বা গেম দেখার জন্য ধরিয়ে দেয়। যা বর্তমানে একটি কঠিন বাস্তব সত্য। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ।
আমরা ছোটবেলায় এরকম কাপড়ের তৈরি খেলা দিয়ে বেশ খেলা করতাম। তবে আমাদের সময় কাপড়ের থেকে মাটির খেলনা দিয়ে বেশি খেলতে ভালো লাগতো। মাটির তৈরি এরকম খেলনা পাওয়া যেত যা দিয়ে আমরা সারাদিন সবাই মিলে খেলতাম। আমার বাড়িতে এরকম কাপড়ের তৈরি খেলনা অনেকগুলো রয়েছে। আমার ভাগিনা আমাদের বাড়িতে আসলে এগুলো নিয়ে খেলা করে। আমি বাজার থেকে অনেকগুলো কিনে এনেছিলাম ওর খেলার জন্য এবং অনেকগুলো খেলা কিনে নিয়ে তাকে দিয়ে আসি। এই ধরনের খেলনা পুতুল গুলো বেশ চমৎকার লাগে দেখতে। ছোট বাচ্চারা এসব খেলনা বেশ পছন্দ করে। বাচ্চারা এসব খেলা নিয়ে খেলতে বেশ আনন্দ উপভোগ করে এবং আমরা বড়রাও ছোট বাচ্চাদের এসব খেলনা কিনে দিতে বেশ পছন্দ করি।কাপড়ের তৈরি এমন অনেক রকমের পুতুল পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের প্রাণী এবং বর কনে ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের পুতুল কাপড় দিয়ে তৈরি করা যায়। এগুলো বেশ সুন্দর কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে এবং আরামদায়ক লাগে হাতে ধরতে। আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। আশা করি আপনি ভবিষ্যতেও এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুধু বাচ্চারা নয় অনেক বড় মেয়েরাও পুতুল নিয়ে ঘুমায়। তবে শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পারে পুতুল দিয়ে খেলা করার জন্য। বাজারে প্লাস্টিকের পুতুল থাকলেও কাপড়ের পুতুল আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তবে গ্রামের মানুষ কাপড়ের এই পুতুল গুলো তেমন কিনে না। শহরের মানুষ সবথেকে বেশি এই পুতুল গুলো ব্যবহার করে। সুন্দর লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চাদের পছন্দের খেলনা কাপড়ের তৈরি পুতুল, যেটার নাম টেডিবিয়ার অথবা বাহারী নামে অনেকেই ডাকে। ছোটবেলায় কাপড়ের ছোট ছোট পুতুল দেখতাম, এখন দেখি বিশাল আকৃতির বড় বড় পুতুল মার্কেটে সাজিয়ে রেখেছে, যেগুলো কেনার জন্য মেয়েরাই বেশিভাগ ক্রেতা। আমাদের বাড়িতে কাপড়ের তেমন একটা পুতুল নেই, তবে আমার আপুর বাড়িতে রয়েছে, আমার ভাগিনা ভাগিনিকে দেখি এসব পুতুল নিয়ে খেলা করতে। আগের দিনে আমরা মাটির তৈরি খেলনা দিয়ে খেলা করতাম, এখনকার বাচ্চারা প্লাস্টিকের তৈরি কাপড়ের তৈরি খেলনা দিয়ে খেলা করে। আর বর্তমান যুগে তো ভার্চুয়াল জগতের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে এখনকার বাচ্চারা। তারা মোবাইলে গেমিং করে, টিভিতে কার্টুন দেখে, কম্পিউটার চালাতে পর্যন্ত পারে। আমাদের সময় এগুলো ছিল বিলাসিতা। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু, ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চাদের পছন্দের খেলনা কাপড়ের পুতুল সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চা গুলো কাপড়ের পুতুল বেশি পছন্দ করেন। তাদের খেলনার মধ্যে সবথেকে বেশি পছন্দ নিও খেলনা হলো কাপড়ের পুতুল। তবে এখন আর আগের জামানা নেই আপু। এখন বাচ্চারা বায়না ধরলে মোবাইলে কার্টুন দেখিয়ে অভিভাবকরা সান্তনা দেয়। তবে আগেরকার বাচ্চাদের খেলনা দিয়ে চুপ করানো হতো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
সত্যিই আমাদের সময়টা অনেক ধরনের খেলনা দিয়ে খেলে কাটিয়ে দিয়েছি। তবে এ প্রজন্মের বাচ্চারা খেলনা দিয়ে খেলার প্রতি বেশি একটূ আগ্রহী না। তবে এরকম কাপড়ের তৈরি পুতুল সব মেয়ে বাচ্চাদের বাসায় রয়েছে। কারণ কাপড়ের পুতুল দিয়ে খেলতে মেয়ে বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে। এমনকি বড় মেয়েরাও কাপড়ের পুতুল খুবই পছন্দ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
ছোট বাচ্চাদের পুতুল অনেক পছন্দ হয়ে থাকে। তারা এই ছোট পুতুলকে ঘিরে সারাদিন খেলাধুলা করে থাকে। এমনকি কখনো কখনো খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে পুতুল খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া এসব তৈরি পুতুল বিভিন্ন ধরনের মেলা পার্বণ্য ও সভায় যে দোকানগুলো দেখা যায় সেই দোকানগুলোতে এ ধরনের পুতুল ভালো দেখা যায়। আর এগুলো বাচ্চা কেনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করে থাকে। আমাদের দোকানে এরকম পুতুল অনেক রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।