পার্বতীপুরের জনপ্রিয় "মামা ভাগিনা মিষ্টির দোকান"
আসসালামুআলাইকুম। আজ আমি পার্বতীপুরের জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকানের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। "মামা ভাগিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট" পার্বতীপুরের বিখ্যাত একটি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। মাত্র কয়েক বছর আগে পার্বতীপুর বাইপাস রোডের পাশেই এটি নির্মিত হয়। হোটেল চালু হওয়ার কিছুদিন পরেই এর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মূলত এই হোটেলের খাবারের মান প্রথম থেকেই ভালো ছিল এবং এখানে খাবারের দাম কিছুটা কম। হোটেলটি জনপ্রিয় হওয়ার আরো দুটি কারণ হল এর অবস্থান এবং এর নির্মাণকাল। এটি পার্বতীপুরের বাইপাস রোডে অবস্থিত এবং এমন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে যখন এখানে ভাল এবং বড় কোন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ছিল না। বাইপাস রোড হল পার্বতীপুরের এমন ব্যস্ততম একটি পথ, যে পথ দিয়ে দূরপাল্লার অনেক ভারী যানবাহন চলাচল করে।
এসব যানবাহনের চালক কিংবা যাত্রীদের ভালো খাবার পরিবেশন করা একমাত্র হোটেল এটি। এই হোটেলের খুব কাছেই আরো একটি হোটেল নির্মিত হয়েছিল কিন্তু সে হোটেলটি মানুষকে আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়। তাই বলা যায় পার্বতীপুরের বাইপাস রোড এলাকায় এই হোটেলটি খাবারের গুণগত মান বিবেচনায় এবং কাস্টমারদের পছন্দের তালিকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
মামা ভাগিনা হোটেল রেস্টুরেন্ট বেশ বড় একটি জায়গাজুড়ে অবস্থিত এবং এখানে গাড়ি পার্ক করার জন্য বেশ বড় একটি জায়গা বরাদ্দ আছে। এসব কারণেও হোটেলটি সবার কাছে প্রাধান্য পায়। শুরুর দিকে মামা ভাগিনা হোটেলের আলাদা কোন মিষ্টির দোকান ছিল না। ভাত, বিভিন্ন ধরণের মাছ-মাংস, গ্রিল, সবজি, রুটি, নান ইত্যাদি খাবারের জন্য এই হোটেলটি বেশ জনপ্রিয় ছিল।
পরবর্তীতে মামা ভাগিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর পাশেই একটি মিষ্টির দোকান চালু করা হয়। হোটেলের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানটিও ক্রমেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ এই মিষ্টির দোকানে অনেক ধরণের সুস্বাদু মিষ্টি পাওয়া যায়। তাছাড়া মিষ্টির দোকানের অভ্যন্তরীন ভাগ সুন্দরভাবে সাজানো এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এরকম মিষ্টির দোকান পার্বতীপুরে আর একটিও নেই।
হোটেলের বিভিন্ন ধরণের মিষ্টির ছবি এবং দাম
প্রথম ছবি দুটিতে এ হোটেলের প্রায় সব ধরণের মিষ্টি একসাথে দেখতে পাচ্ছেন। আমি নিচে কিছু একক মিষ্টির ছবিও আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এই হোটেলে বিভিন্ন সময়ে এই মিষ্টিগুলো টেস্ট করেছিলাম। মিষ্টিগুলোর স্বাদ অতুলনীয়। এত পদের মিষ্টি পার্বতীপুরের অন্য কোন হোটেলে খুব একটা দেখা যায় না।
হোটেলের অভ্যন্তরভাগের কিছু ছবি
যদিও মিষ্টির দোকানটি একটু ছোট। কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ ভাগ এতটা সুন্দর যে অনেকেই এখানে বসে মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। এখানে বসে মিষ্টি খাওয়া সত্যিই উপভোগ্য। যেকোনো উৎসবের সময় এখানে বসার জায়গা খুঁজে পেতে আপনাকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরকম সুন্দর হোটেলে মিষ্টি খাওয়ার মজাই অন্যরকম।
- ডিভাইস- স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
- লোকেশন- MW78+9X2 Parbatipur
ছাই টোস্ট মিষ্টি আমি কোনদিনও খাই নি। পোড়া বাড়ী মিষ্টিটা খেতে ভালোই লাগে। আমি মিষ্টিজাতীয় খাবার কম পছন্দ করি। আপনার সাবলীল উপস্থাপনা এবং চমৎকার ছবিগুলো দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
মামা ভাগিনা হোটেলে আমি অনেক বার খাওয়া দাওয়া করছি,আপনার পোস্টের ছবি গুলো দেখে খুব ভালো লাগরো,কারন আপনি প্রতিটা মিস্টির দাম আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনেক লোভনীয় ছবি তুলেছেন ভাইয়া। মিষ্টি খেতে তো সবাই পছন্দ করে। আপনার পোস্ট এবং পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে মিষ্টির দোকানটি বেশ স্বনামধন্য এবং জনপ্রিয়। অসাধারণ ভাবে আপনি পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
মামা ভাগিনা হোটেল এ অনেক বার খাওয়া হয়েছে কিন্তু মিষ্টির দোকানটিতে কখনও যাওয়া হয় নি। আশা করি কোন একদিন যাব মিষ্টি খেতে এর পাশ দিয়ে মাঝে মাঝেই যাওয়া হয় কিন্তু খাওয়া হয় না। ধন্যবাদ মিষ্টি গুলোর সঠিক বর্ণনা দেওয়ার জন্য।
ইনশাআল্লাহ্ একদিন মিষ্টি খাবো একসাথে।
বিভিন্ন রকমের মিষ্টি দেখে তো ভাই খেতে ইচ্ছে করতেছে। মিষ্টির দোকান নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। পার্বতীপুর যখন যাবো ইচ্ছা আছে এই দোকানের মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই।
কবে কখন যে একা একা গিয়ে মিষ্টি খেয়ে আসেন গন্ধ ও পাই না। তবে আপনার ফটোগ্রাফি বরাবরের মতোই অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ বস।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
পার্বতীপুরের জনপ্রিয় মামা ভাগিনার দোকানটি নিশ্চয়ই পার্বত পার্বতীপুরের জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকান। দোকানের ভিতরের ডেকোরেশন এবং মিষ্টির ডিসপ্লে দেখে বোঝাই যাচ্ছে এর মিষ্টি কতটা উন্নত মানের। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মিষ্টি নিয়ে এত সুন্দর পোস্টটি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
মামা ভাগিনা হোটেল প্রথম মতো খুব ছোট ছিলো কিন্তু, তার সুস্বাদু খাবার মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। এখন হোটেলটি ছোট হলেও তার নাম চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।খুব সুন্দর হয়েছে।
বাহ্ দেখেই খেতে হচ্ছে করছে। মিষ্টি আমার খবুই পছন্দের। তবে রেষ্টুরেন্টটা বেশ সাজানো গুছানো, অনেক সুন্দর পরিবেশ। একদিন যেতে হবে এই মামা ভাগিনা মিষ্টির দোকানে। ধন্যবাদ ভাই
অবশ্যই, একবার খেতে পারেন এই রেস্টুরেন্টে। ধন্যবাদ।