গ্রামের মানুষের ব্যবহারিত ঐতিহ্যবাহী পাটি
ঐতিহ্যমূলক পোস্ট 🤗Hello Bloggers 🤗 |
---|
🌟 ঐতিহ্যবাহী পাটি 🌟
আসসালামু আলাইকুম। সকলকে জানাই আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ভাল আছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছ। আজকে আমি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ব্যবহার সমগ্র নিয়ে আলোচনা করব। সেটি হল পাটি, যা বসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
গ্রামের মানুষ সাধারণত যেসব জিনিস ব্যবহার করে তার মধ্যে সবথেকে অন্যতম নির্ভর করে পাটি। গ্রামে যেহেতু বেশিরভাগ আগের বাড়ি ছিল মাটির। সেহেতু পুরোপুরি মাটিতে না বসে তারা মাটির উপরে এই পার্টি ব্যবহার করে তার উপরে বসতো এবং বসে তারা তাদের ও ধরণের কাজ করতো। তবে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে যে এই পার্টি বাজারে খুব একটা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় না। সচরাচর খুবই স্বল্প এবং সুলভ মূল্যে এগুলো বাজারে বিক্রি হয়। তবে এগুলো চাহিদা দিনদিন কমে যাচ্ছে। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি এখন দালান বা ইটের তৈরি। যার ফলে মেঝে সেটা পুরোটাই সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরি করা। যার ফলে পার্টির ব্যবহার কেমন একটা হয় না।
আমার মনে আছে আমার বাড়িতে এরকম দুইটা পার্টি ছিল। সেগুলোর বর্তমানে আর নেই ব্যবহার করতে করতে একসময় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর থেকে আমাদের বাড়িতে আর পার্টি কেনা হয়নি। তবে আমার দেখা মতে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে আমি আমার বাড়ি এবং আমাদের বাড়ির আশে পাশেই কারো বাড়িতেই কেমন এই পার্টিগুলো ব্যবহার করতে দেখিনি। সুতরাং বলাই যাচ্ছে যে বর্তমানে পাটিগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তারপরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই পার্টিগুলো ব্যবহার করা হয়।
গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন কাজও করবে সাথে লেগে আছে পার্টি। তবে যেমনটা আধুনিকতা লেগে বর্তমান বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বের হচ্ছে তার আদলেই তৈরি হয়েছিল এই পার্টি। গ্রামের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে এটি লেগে আছে। কারণ বিভিন্ন ধরনের পূজা মন্ডপের মেঝেতে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আগেকার দিনে মসজিদগুলোতে এই পার্টি ব্যবহার করা হতো।
তবে আজকে আমি যেই ফটোগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সেগুলো হচ্ছে বাজারে পার্টি বিক্রেতার দোকানে। তবে দাম অনুযায়ী রয়েছে খুব একটা বেশি দাম না। তবে মোটামুটি একটা ভালো মানের পাটি নিতে গেলে বর্তমানে ১০০ থেকে দেড়শ টাকার মত লাগে।
ধন্যবাদ সকলকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
পাটি গ্রামের ঐতিহ্য। এই পাটি আগে সবার ঘরে পাওয়া যেতো। এখনো আর আগের মতো সবার ঘরে পাওয়া যাবে না। আগে পাটি বিছিয়ে শুয়ে থাকত,বই পড়ত,খাওয়া দাওয়া করত,যাবতীয় কাজ করতো। আপনি পাটি নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী পাটি নিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই। সকলের বাড়িতে এরকম পাটি থাকে, যা খাবার খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় ও খাটের ওপর বিছানো হয়। এই পাটি
গুলো অনেক ধরনের কালার হয়।। এগুলো শীতলপাটি নামে পরিচিত। গরমের দিনে এসব পাটির উপর ঘুমালে ঠান্ডা অনুভূতি পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
পাটি নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি। আপনি ঠিকই বলেছেন, বর্তমানে এই পাটিগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। মানুষ আর আগের মত এগুলো ব্যবহার করে না।এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারও করা যায় না। তবে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে এগিলোর ব্যবহার এখনো দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ঐতিহ্যবাহী পাটি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। পাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। কেউবা পাটি বিছিয়ে শুয়ে থাকেন, কেউ আবার খাওয়া দাওয়া করেন, আবার কেউ পাটিতে বসে পড়াশোনার কাজে ব্যস্ত।পাটি সম্পর্কে ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী পাটি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আজ থেকে প্রায় ১০-১২ বছর আগে মুতরার তৈরি পার্টি সব জায়গায় পাওয়া যেতো। কিন্তু কালাই বিবর্তনীয় মুতরার কেউ এখন চাষাবাদ করে না তাই প্লাস্টিকের পার্টি তৈরি করা হচ্ছে। এই পাটি কে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা সপ বলে চেনে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি পাটি নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন।পাটিতে বিশেষ করে গরম সময় ঘুমানোর মজাই আলাদা আমার বাড়িতে পাটি আছে অনেকগুলোই।তবে গরমের সময় আমি আমার বিছানায় পাটি বিছিয়ে শুয়ে পরি।কারণ গরমের সময় অনেক গরম থাকে এই পার্টি অনেক আরামদায়ক। খুব সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি, খুব সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এই পাটির চাহিদা সারা দেশেই আছে। গরমের সময় এগুলোর চাহিদা সব থেকে বেশি থাকে। আমাদের বাসায় দুটি আছে। উত্তরাঞ্চলে এগুলো বেশি দেখা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো হয়েছে।অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।শুভকামনা রইল ভাই
ধন্যবাদ ভাই
পাটি নিয়ে অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, আগে গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটা ঘরে ঘরে এই পাটি ছিল, আগের দিনের সময় কম বেশি সবার ঘর মাটির ছিল যার কারনে কোনো মেহমান আসলে সবাই এই পাটি টে বসতে দেয়। আমাদের বাসায় একটা পাটি ছিল কিন্তু ওই পাটি টা ছিড়ে গেছে, পাটির দাম খুম কম যার কারনে সবাই এই পাটি কিনতে পারে।এখনো কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় নামাজ পরার জন্য পাটি রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
পাটি নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। গ্রামের ভাষায় এই পাটিকে অনেকেই শপ বলে থাকে। শহরের থেকে গ্রামে এই পাটির চাহিদা সবথেকে বেশি। বিশেষ করে গরমের সময় এই পাটির চাহিদা বেশি হয়।আগেকার দিনে গ্রামের বাসায় আত্নীয় আসলে পাটি বিছিয়ে বসতে দিত।এখন গ্রামের অনেক পরিবারেই এইরকম রীতি দেখা যায়। আপনার তোলা পাটির ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পাটি নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ