ভবানিপুরে অবস্থিত অতি প্রাচীন "ভূত পুকুর" নামক স্থান
মঙ্গলবার
তারিখ - ০১ আগস্ট ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে ভবানিপুরে অবস্থিত অতি প্রাচীন "ভূত পুকুর" নামক স্থান নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
বন্ধুরা, পার্বতীপুরের ভিতরে এমন একটি জায়গা আছে এই জায়গার নাম এর আগে কখনো শুনি নি। কয়েক মাস আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখলাম দেখলাম যে, পার্বতীপুরের ভবানীপুরে ভূত পুকুর নামক একটি স্থান রয়েছে। আর সেখানে নাকি প্রায় অনেক মানুষ গিয়ে স্থানটি দেখে আসছে। তো আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম এই ভূত পুকুরটি দেখার জন্য। এই জায়গাটি পার্বতীপুর শহর থেকে কিছু টা দূরে। আর এই ভূত পুকুরটি ভবানিপুরের মধ্য অবস্থিত। তবে এই জায়গাটির নাম এমন কেনো হলো আমরা জানতে পারি নাই। তবে এই জায়গাটি অনেক নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। হয়ত বা এই কারণে এই জায়গাটির নাম ভূত পুকুর।
হয়তোবা এই বড় পুকুরটির জন্য এই স্থানটির নাম ভূত পুকুর করা হয়েছে। তবে অবশ্য সন্ধ্যার পরে এই জায়গাটিতে না যাওয়া উত্তম। কেননা এটি একেবারে নিরিবিলি জায়গা এবং এখানে জন মানব শূন্য। কোন মানুষ জন দেখা পাওয়া যায় না। শহর থেকে অনেকটাই দূরে এবং গ্রামের একটি পাশে এই জায়গাটা অবস্থিত। অবশ্য আমাদের এই জায়গাটা খুঁজে পেতে অনেকটা কষ্ট হয়েছে। কেননা আমরা কয়েকবার ভুল রাস্তায় চলে গিয়েছিলাম। অবশ্য এই জায়গাটিতে বড় একটি পুকুর রয়েছে এবং এই পুকুরে আমরা কোন মাছ দেখতে পাই নাই। তবে সঠিক জানা নাই যে এই পুকুরের মাছ চাষ হয় কিনা।
পুকুরের চারপাশে সবুজ ঘাসে ভর্তি হয়ে আছে এবং আশেপাশে কিছু গাছগাছালি লাগানো আছে। যার কারণে এই জায়গাটা একটু অন্যরকম অনুভূতি হয়। চারিদিকে সবুজ ঘাসে ভরা যার কারণে ছবিগুলো আরো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এবং পুকুরটি আনুমানিক অনেকটাই বড়। এ রকম পুকুর গ্রামের ভিতরে খুবই কম দেখা যায়। তবে আশা করা যায় এখানে হয়তোবা মাছ চাষ করা হয়। কেননা এত বড় পুকুর ফেলে রাখার জন্য নয়। তবে এখানে তিনজনের সমাধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তারা সনাতন ধর্মের লোক এবং হয়তো এখানে তাদের জন্য পূজা পাঠ করা হয়।
এই সেই সমাধি স্থান যেখানে তিন জন সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের সমাধি দেওয়া রয়েছে। অবশ্য এই ব্যক্তি গুলো নাম উল্লেখ আছে কিছু কাছে যেতে ভয় ভয় করছিলো। যেহেতু মাগরিবের আযান কিছু সময় আগে দিয়েছিলো। যায় হোক এখানে ঘুরে আসলাম।
তবে এই জায়গাটি তে বড় একটি তেঁতুল গাছ রয়েছে। সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এই গাছটি অনেক বছর এর পুরাতন। গাছে অনেক তেঁতুল ও রয়েছে। কৃষি জমির শেষ দিকে এই ভূত পুকুর অবস্থিত। অনেকে এখানে ঘুরতে আসে আমাদের মতো।
ডিভাইস | Samsung A52. |
---|---|
লোকেশন | ভবানিপুর, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @shamimhossain |
এই ভুত পুকুর দেখার জন্য ২-৩ মাসে আগে গিয়েছিলাম কিন্তু সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছি। পরর্বতীতে আপনাকে নিয়ে যাব। সুন্দর ফটোগ্রাফি হয়েছে।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অতি প্রাচীন ভূত পুকুর সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি বর্ণনা দিয়েছেন আপনি। এবং প্রত্যেকটি ফটো এতটাই সুন্দর লাগতেছে যে বলে বোঝানোর মত না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ
আপনার পোস্টের লেখাগুলো পড়লাম ভাই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ভুতুড়ে একটি জায়গা এটি।তবে পুকুরটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড়।আসলেই ভাই এসব জায়গায় না যাওয়াটাই ভালো।দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
আপনার শেয়ার করা কভার ফটো দেখার পর পোস্ট পড়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি কি বলব। প্রত্যেকটি ছবিই সুন্দর হয়েছে তবে কভার ফটোটা খুবই দারুন। বর্তমানে আমরা ফেসবুকের ভাইরাল স্থানগুলোতেই বেশী যাই। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপি
ভূত পুকুরের তোলা সবগুলো ছবি অসাধারণ হয়েছে।পুকুরের আশেপাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর। আমার মনে হয় ঐ পুকুরে আগে কোন কিছু ঘটেছিল। সেজন্যই মনে হয় এর নাম ভুতপুকুর। তাছাড়া এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কিছু কবরও দেখতে পাচ্ছি।এমন জায়গা দেখলেই সত্যি একটু ভয় ভয় লাগে। অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
ভুত পুকুরটি সত্যি দেখার মতো, সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে তেঁতুল গাছটি, দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক পুরনো তেঁতুল গাছ, আর ভূত পুকুর নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো মনের মতো ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
দেখেই বুঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক ভয়ানক। পিকচারে যেসব দেখা যাচ্ছে সেগুলো কি হিন্দুদের কবর। আমাদের এলাকায় তো এইভাবে হিন্দুদের চিতাতে পোড়ানোর পর এভাবে কবর দিয়ে রাখে। তবে ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্টে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/mdshamim1252/status/1686246715152818176?t=Z7tVDoMbFPAf3aerSwYsXw&s=19