বেতের তৈরি কাঠা এবং খুঁচি
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।
একসময় আমাদের দেশে প্রায় সর্বত্রই বাঁশ এবং বেতের তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে বাঁশের তৈরি জিনিস চোখে পড়লেও বেতের তৈরি জিনিস খুঁজেই পাওয়া যায় না। আগে গ্রামাঞ্চলে প্রায় এসব জিনিসপত্র প্রতিদিনই তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতো। বর্তমানে এদের আর দেখা যায় না।
হাটবাজারে এখনো কিছু জিনিস পাওয়া যায়। আমরা যখন ভাত রান্না করি, সেই রান্নার জন্য চাউল কোন পট বা মগ দিয়ে মেপে দেই। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে কখনো পট বা মন দিয়ে মেপে দেওয়া হতো না। গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগই তারা বেতের তৈরি কাঠা ব্যবহার করতেন। এটা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে মানুষ চিনে। এই কাঠা দিয়ে চাউল মেপে দেওয়া হতো তাই গ্রামের মানুষজন এটা খুব ভালোভাবে যত্ন করে রাখতেন।
তাছাড়া এই কাঠার মধ্যে শুকনো খাবার নিয়ে মানুষ খেতেন। যেমন মুড়ি, চিড়া সাথে গুড়, নারিকেল ইত্যাদি। এগুলো যারা তৈরি করতেন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বেত সংগ্রহ করতেন।তারপর সেগুলো কেটে রোদে শুকাতে দিতেন। বেতের তৈরি পাটির চাহিদা ও একসময় অনেক ছিল। কিন্তু বর্তমানে একদমই কমে গিয়েছে। এখানে আপনারা একটি কাঠা এবং একটি ঝুড়ি বা খুঁচি দেখতে পাচ্ছেন। এক ব্যক্তিকে তৈরীর জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছিল সাথে আরো কয়েকটি জিনিস ছিল। প্রথমে তিনি এসব তৈরি করতে রাজি ছিলেন না আমাদেরকে বললেন অনেক আগেই তিনি এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
অনেক অনুরোধ করার পর তিনি রাজি হয়েছিলেন।তারপর কয়েকটি জিনিস তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি বললেন অনেকদিন কাজ করা হয় না তাই কাজের মান কিছুটা খারাপ হয়েছে। আগে এসব জিনিস তিনি ডিজাইন করে তৈরি করতেন। তারপরও আমরা এগুলো হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি। আমার কাছে কাঠার মধ্যে মুড়ি এবং গুড় নিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাড়িতে এগুলো অনেক ছিল।পরে সেগুলো ভেঙে গিয়েছে। সেজন্য অর্ডার দিয়ে এগুলো সংগ্রহ করা।
আগে গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতে বেতের গাছ ছিল কিন্তু এখন আর কেউ সেই গাছ বাড়িতে রাখে না। তারা মনে করে এই গাছের কোন মূল্য নেই বর্তমানে। আমাদের সকলের সহযোগিতা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে অনেক ঐতিহ্য টিকে থাকবে।
বাহ্ আপনার জন্য শৈশব দেখতে পেলাম। এই কাঠা তে করে ছোট সময় মুড়ি খেতাম, আমাদের বাড়িতে এই কাঠা ছিলো অনেক গুলো, বেতের তৈরি কাঠাগুলো সত্যি অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে
ধন্যবাদ
জীবনে প্রথমবার এমন নাম শুনলাম৷ আর জীবনে প্রথমবার এই জিনিসখানা দেখলাম৷ বেতের গাছ খুলনায় বেশি দেখা যায়৷ আপনাদের টাঙ্গাইলে কি বেত গাছ এর চাষ হয়?
এখন চাষ হয় না। ধন্যবাদ
এই কাঠা এবং খুঁচি নামক জিনিসগুলোর সাথে আমি একদমই পরিচিত নই। আজকেই প্রথমবার দেখলাম আমি। ধন্যবাদ আপনাকে এগুলো নিয়ে লিখার জন্য।
ধন্যবাদ
বেতের তৈরি কাঠা ও খুঁচি একটি ঐতিহ্যবাহী। আপনি কাঠা ও খুঁচির ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে করেছেন। দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
বেতের তৈরি খুঁচি দিয়ে আগে ধান ও বিভিন্ন জিনিসপত্র মাপা হতো। আমার দাদু বাড়িতেই এই খুঁচি ছিলো। অনেক পুরাতন জিনিস নিয়ে পোস্ট করেছেন আপি।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
খুব সুন্দর করে কাটা নিয়ে পোস্ট করেছেন, গ্রাম অঞ্চলে এই সব জিনিস খুব কম দেখা যায়, আপনার পোস্ট পরে আমাকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
ছোটবেলায় এগুলো দেখেছিলাম। এখন আর তেমন দেখা যায় না।ভালো লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
বেতের গাছ খুবই কম দেখা যায়। আমাদের এই দিকে তো নাই এগুলো।বেত দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।। এগুলো তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এবং এই হাতের কাজগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ