ঐতিহ্যবাহী পুঁথির কাজ

in Steem For Traditionlast year

আসসালামু ওয়ালাইকুম
আমি @sadikhajannat, আপনারা সবাই কেমন আছেন।আমি ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের বলবো মেয়েরা পুঁথি দিয়ে কিভাবে নানা রকম জিনিসপত্র বানায়।

IMG_20230224_185221.jpg

সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ মানুষের চিরন্তন।বিশেষ করে যুবতী তরুণীরা যুগে যুগে নিজেদের সাজিয়ে /আকর্ষনীয় করে তুলতে সাহায্য নিয়েছে বিভিন্ন উপাদানের। কেউবা ফুল,লতাপাতা কেটে রঙ্গিন করে তুলেছে করপুট।পান খেয়ে রঙ্গিন করেছে ঠোট। কেশদাম সাজিয়েছে নানা ফুলের মালায়। কোনো কোনো আদিবাসী মুখ আর অঙ্গে একেছে খড়ি মাটি দিয়ে নানান রকম নকশা। কিন্তু এসবেও যেনো মন ভরেনি নারী কুলের।

আর তাইতো সৃষ্টি হয়েছে স্বর্ন -রৌপ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাতু, করি ঝিনুক বা পুঁথির নানা রকম অঙ্গাভরন।
যার চাহিদা সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজও চলছে বিভিন্ন রুপে বিভিন্ন আঙ্গিকে। প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষেও মেলে নানারকম নকশা করা পোরা মাটির বা বিভিন্ন ধাতুর তৈরী পুঁথির মালা, চুড়ি, কানের দুল,পায়ের মল আরো কত শত জিনিস ইত্যাদি।

received_503994394348202.jpeg

শুধু সাজার গহনা না এখন নারীরা ঘর সাজানোর জন নানা রকম জিনিসপত্র বানায়। পুঁথি জিনিস তৈরী করে সাবলম্বী হচ্ছে নারীরা কেউ করছে পাখি ফুল,কেউ করছে ব্যাগ। গ্রামের নারীরা এখন ব্যস্ত পুথি দিয়ে নানা রকম শোপিচ তৈরী করতে। আমাদে এখানে পার্বতীপুর উপজেলায় এখনো দেখা যায় গ্রামের নারীরা বিভিন্ন ধরনের সপিস বানানোর কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে। তারা পুথি দিয়ে নানা রকম শোপিচ বানিয়ে ঘর সাজাচ্ছেন নয়তা তারা বিক্রি করছেন। এই কাজটি কেউ শখের জন্য করছে আবার কেউ পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য করছে। কেউ আবার এই পুঁথির কাজের ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের এই উপজেলায় গরীব মানুষের আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য বা তারা যেনো এই কাজ করে কিছু উপার্যন করতে পারে তার জন্য সরকার থেকে এই কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

তারা এখানে তৈরী করে ক্রিস্টাল পুঁথির শোপিস। যা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। এসব শোপিস তৈরিতে ব্যবহ্নত হয় বিভিন্ন আকৃতির পুথি। কোনটির নাম ছক্কা পুতি, পৃথিবি পুঁথি, কামরাঙ্গা পুঁথি, পার্ল পুথি, লাউ পুথি,কোনটি আবার ডায়মন্ড পুথি। এর সঙ্গে দরকার হয় রগ সুতা। ফল, হাতের ব্যাগ, টিস্যু বক্স, ওয়ালেট, ডোরবেল, ফলের গাছ, ফুলদানি, কলমদানি, পুতুল, টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরি করছেন নারীরা।
এসব পণ্য স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করছেন নারীরা।

1677249907042.jpg

বাসায় বিভিন্ন ক্রিস্টালের শোপিস তৈরি করছেন নারীরা। এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ খুলে নিজ হাতে তৈরি করে ক্রিস্টালের শো-পিস নিজেই বিক্রি করছেন তারা। এমনকি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন তারা। স্থানীয়ভাবে ক্রিস্টালের শোপিস এর চাহিদা কম হলেও অনলাইন মার্কেটে এর প্রচুর চাহিদা ইত্যাদি।

Sort:  
 last year 

শখের বসে ক্রিস্টাল পুঁথি দিয়ে আমি একটি টিস্যু বক্স বানিয়ে ছিলাম। সেটি বানানোর সময় আমি বুঝতে পেরেছি এটি আসলে খুব সহজ কাজ নয়। এই কাজগুলো করতে অনেক ধৈর্য এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে এগুলোর বাজার মূল্যও বেশ চড়া।

ধন্যবাদ

 last year 

দিন দিন মেয়েরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। পুতির কাজ করে যেমন ঘর সাজাচ্ছে। তেমন রপ্তানি করা হচ্ছে। নারীদের নানা হস্তশিল্প দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক সুন্দর লিখছেন। অনেক ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

 last year 

পুঁথির কাজ দেখতে খুবই আকর্ষণীয় এবং এগুলো সৌখন মানুষেরা খুব পছন্দ করেন।

আমাদের এই উপজেলায় গরীব মানুষের আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য বা তারা যেনো এই কাজ করে কিছু উপার্যন করতে পারে তার জন্য সরকার থেকে এই কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে

এটা সরকারের পক্ষ থেকে বেশ প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। আপনিও কি পুঁথির জিনিসপত্র তৈরি করতে পারেন? দারুণ লিখেছেন।

ধন্যবাদ,,,
জি ভাইয়া আমিও পাড়ি,,

 last year 

আপনার পোস্ট কোয়ালিটি মান সম্পন্ন করতে হবে। ছবিগুলো ঘোলা আসছে। ভাল করে ছবি তুলে পোস্ট করবেন। পোস্টে অন্তত ৫ থেকে ৬ টি ছবি দিয়ে পোস্ট করবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

 last year 

পুথির কাজ গুকা বেশ শৌখিন হয়ে থাকে। গ্রামের মেয়েরা সেগুলো বিক্রি করে বেশ আর্থিক উন্নতি করছে। আর পুতির তৈরি কাজ সব জায়গাতে বেশ জনপ্রিয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন।

ধন্যবাদ

 last year 

গ্রামের মেয়েদের হাত শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত। তারা অনেক শৈল্পিক কাজ জানে। তারা তাদের দক্ষতা দারা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। ধন্যবাদ, ুত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ

 last year 

পুথির কাজ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।পুথি দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায়।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।আপনার পোস্টি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

 last year 

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। গ্রামীন নারীরা পুথির কাজ করে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে। বিশেষ করে ঘরের শোপিজ হিসেবে পুথির তৈরী জিনিসের তুলনা হয় না।
IMG_20220703_150811.jpg

IMG_20220919_145632.jpg

ব্যাগ থেকে শুরু করে মেয়েদের অনেক জিনিস তৈরী করা যায় এবং সারা দেশ ব্যাপি আয়বর্ধক আইজিএ প্রশিক্ষন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের পুথি দিয়ে শোপিজ তৈরীর কাজ শেখানো হয়। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো হয়েছে।

ধন্যবাদ

 last year 

পুথি দিয়ে তৈরি করা এসব শোপিস, ব্যাগ এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে বেশ সুন্দর। বর্তমান এর ব্যবহার ও অনেক বেশি।পুতির কাজগুলো সৌখিনতার সাথে করা হয় এবং বর্তমানে দামও বাজারে বেশ ভালো। অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

 last year 
CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67975.29
ETH 3240.67
USDT 1.00
SBD 2.66