কন্টেস্ট- শুঁটকি মাছের যেকোনো রেসিপি । শুঁটকি মাছের ভুনা||
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি ,মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি @rumana12 আজকে আমি স্টিম ফর ট্রাডিশন কর্তৃক আয়োজিত কনটেস্টে অংশগ্রহণ করব। আজকের প্রতিযোগিতার বিষয় হলো - শুঁটকি মাছের যেকোনো একটি রেসিপি।চলুন তবে শুরু করা যাক ,আজকের প্রতিযোগিতার বিষয় এর উপর ভিত্তি করে আমার প্রস্তুত করা শুঁটকি মাছের ভুনা রেসিপিটা।
শুঁটকি মাছ আমাদের অনেকেরই পছন্দের। শুঁটকি মাছের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি।শুঁটকি মাছের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি এর মধ্যে থেকে আজকে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুঁটকি মাছের ভুনা রেসিপিটা নির্বাচন করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের সকলকে আমার রেসিপি পোস্টটি ভালো লাগবে।
শুঁটকি মাছ | পরিমাণ মতো |
---|---|
তেল | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
মরিচ কুচি | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
গুড়া মসলা | পরিমাণ মতো |
চলুন তবে দেখে আসি রান্নার ধাপগুলো।
প্রথমেই রেসিপিটির জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান একত্রিত করে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি করে নিয়েছিলাম এবং রসুন এর কোয়া গুলো হালকা করে বেটে নিয়েছিলাম।
এবার শুঁটকি মাছ গুলো হালকা লালচে করে ভেজে নিয়েছিলাম। এবং ভাজা হয়ে গেলে সেই শুঁটকি মাছ গুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
এবার একটি পাত্রে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে সেই তেল হালকা গরম হওয়ার অপেক্ষা করেছিলাম।
সেই হালকা গরম তেলে রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি গুলো দিয়েছিলাম। এইসব উপাদান গুলো হালকা লালচে রঙের না হওয়া পর্যন্ত ভেঁজে ছিলাম।
পেঁয়াজ মরিচ রসুন গুলোর রঙ হালকা লালচে রঙের হয়ে গেলে সেখানে শুঁটকি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সাথে স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ যোগ করে নিয়েছিলাম।
এই ধাপে সবগুলো উপাদান যেন সুন্দরভাবে মিশ্রিত হয় সেজন্য ,খুব সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করে নিয়েছিলাম। তবে আপনারা চাইলে পানি নাও ব্যবহার করতে পারেন।
সর্বশেষ এই ধাপে পানি দেওয়ার দেড় থেকে দুই মিনিট পর সবগুলো উপাদান পুনরায় একটু কষে নিয়েছিলাম। রেসিপিটি নামানোর পূর্বে সামান্য পরিমাণে গুড়া মশলা উপরের ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। মসলাটি সুন্দরভাবে মিশ্রিত হওয়ার জন্য আবার একটু নেড়েচেড়ে রেসিপিটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম। এবং পরিবেশনের জন্য একটি বাটিতে তুলে নিলাম।
রান্নাটি পরিবেশন এর জন্য প্রস্তুত। তবে আমি বাটিটা সাজানোর জন্য কোন কিছু ব্যবহার করিনি ।আপনারা চাইলে যে কোন ভাবেই সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি-@jufrimj,@Yuswadi, @RadjaSalman |
---|
ডিভাইস | Redmi Note 11 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rumana12 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আজকে শুধু শুটকি মাছের রেসিপি দেখতেছি এত এত রেসিপি দেখি খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে প্রবল। একাই না খাইয়ে আমাদেরও তো একটু দিতে পারেন। যাইহোক অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করছে এভাবে রান্না করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। বাসায় মা সচরাচর এভাবেই শুটকি মাছ রান্না করে থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/rumana4102/status/1701617840107970978?t=rLIYCnCOzDW941zIiXZ9uA&s=19
রান্নার কালার দেখে খাওয়ার ইচ্চে করতেছে কিন্তু হামাক রান্না করে দেওয়ার মানুষ নাই। আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর করে রান্না করার রেসিপি শেয়ার করেছেন যা আমার কাছে একটি সহজ পদ্ধতি মনে হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু হবে বলে আশা করি। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
রেসিপি দেওয়াই আছে নিজেই রান্না করে খান। ধন্যবাদ আপনাকে।
বউ ছাড়া এই রান্না ভালো লাগবে না 😊।
বিয়ে করে নেন।
বাহ্ চমৎকার রেসিপি, শুটকি মাছ আমার অনেক পছন্দের খাবার। বাসায় মাঝে মাঝেই শুটকি মাছ খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে, মনে হয় খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন আপু। প্রতিযোগিতার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শুটকি আমার পছন্দের একটি খাবার। আপনাদের অনেকেও শুকিয়ে মাছ খেতে পছন্দ করেন। শুটকি মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। শুটকি মাছের ভুনা খেতে বেশ মজার হয়। এছাড়া বিভিন্ন তরকারিতে শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করলে সেই রান্না খেতে বেশ ভালো লাগে। আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন তরকারি শুটকি দিয়ে রান্না করি। আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে শোল মাছের শুটকি। শোল মাছের শুটকি শুটকি মাছের মত অন্যতম একটি। শোল মাছের শুটকি ভুনা করে খেলে বেশ মজা লাগে। শোল মাছের শুটকির প্রচুর দাম হয়ে থাকে। এজন্য এটি সবসময় কিনে খাওয়া যায় না। আমার জানামতে এখন বাজারে এটি তিন হাজার টাকা কেজি হয়তো। তবে অনেক ফেরিওয়ালা বাড়িতে বাড়িতে শুটকি বিক্রি করে বাহির হতো আগে এখন কম দেখা যায়। তবুও মাঝে মাঝে দুই একজনকে দেখা যায় শুটকি বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের এই উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সৈয়দপুরে সবথেকে বড় শুটকির আরৎ রয়েছে। এখানে অনেক ধরনের শুটকি পাওয়া যায়। সৈয়দপুর থেকে দিনাজপুর যাওয়ার রোডে অনেক শুটকির দোকান দেখতে পাওয়া যায়। আপনি শুটকি মাছের রেসিপিটি বেশ চমৎকারভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি বেশ চমৎকার রান্না করতে পারেন। আপনি আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনার রান্না করা তরকারি টেস্ট অনেক ভালো হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই
শুটকি উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই অঞ্চলের মানুষ এটি খুবই পছন্দ করে। আমিও শুটকি পছন্দ করি, তবে বড় শোল মাছের শুটকি আমার বেশী ভালো লাগে। খুবই চমৎকারভাবে শুটকি ভুনার রেসিপিটি দেখিয়েছেন। এগুলো কি মাছের শুটকি...??? কন্টেস্টের জন্য শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কি মাছের যে শুঁটকি তা আমি বুঝতে পারি নাই দেখে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Thank you.
শুঁটকি মাছের ভুনা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন।শুঁটকি মাছের ভুনা আমারও অনেক ভালো লাগে,গরম গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি দেখে অনেকেরই উপকার হবে,আমার মতো যারা এ রেসিপিটি জানা নেই তারা বাসায় বানিয়ে খেতে পারবে।আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শুঁটকি মাছ পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে আমার পছন্দের একটি খাবার। আপনার শুঁটকি মাছের ভূনা রেসিপি দেখে আমার জিভে পানি চলে আসছে। প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করার জন্য। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি শুটকি রেসিপি সম্পর্কে। আসলে শুটকি রেসিপিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয় এবং খেতেও অনেক মজার হয় কারণ অনেকেই আবার এই শুটকি পছন্দ করে না কিন্তু শুটকি খেতে আসলে অনেক মজার হয়। আমি একান্ত এটি খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। এবং প্রত্যেকটি স্টেপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সকলের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।