প্রাচীনকালে গ্রামের লোকেরা ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি কলসিতে পানি সরবরাহ করত।
সোমবার,
তারিখঃ ১ মে ২০২৩ ইং
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেমন আছেন? পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন আজ আমি সবার মাঝে ঐতিহ্যবাহী কলসি নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
কলসী বা কলস হলো তরল জাতীয় পদার্থ ধারন করার একমাত্র পাত্র। যা গৃহস্থালির কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দেখতে গোলাকার,এর সরু গ্রীবার আছে এবং গ্রীবার শেষ প্রান্তে গোলাকার মুখ রয়েছে। পানি রাখার জন্য মূলত এই কসলী আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে লাগে। কলসী সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা মাটি দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। কলসী মাটি ও পিতলের এই দুই ধরনের হয়ে থাকে।
কলসী তৈরি করা হয় মূলত এঁটেল মাটি,কাদামাটি ও চীনমাটি দিয়ে। এই মাটি গুলো হচ্ছে আঠালো যুক্ত। এ ধরনের মাটি দিয়ে অতি সহজেই কলসী তৈরি করা সম্ভব।
মৃৎশিল্পীরা তারা প্রথমে কাদামাটিকে বস্তু তে রুপ দেয়। এরপর তারা আগুনে উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়িয়ে সেটা কলসী তে পরিনত করে। মাটির তৈরি বস্তুকে আগুনে পোড়ানোর আগে বিভিন্ন রকমের নকশা দিয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তেমন কোন থালা-বাসন পাওয়া যেত না। তখন মৃৎশিল্পীর ব্যবহার বেশি ছিল। মৃৎশিল্পীরা তারা বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈরি পাত্র তৈরি করতো। এর মধ্যে কলসী ছিল অন্যতম। কলসীতে করে আগের যুগের মানুষেরা পানি বহন করে বাড়িতে এনে রাখতো। কলসীতে রাখা পানি যতই সূর্যের তাপমাত্রা হোক না কেন কলসীতে করে রাখা পানি ঠান্ডা থাকতো। আমাদের বাসায় ও আগে মাটির তৈরি কলসী ছিল।
এক সময় গ্রাম অঞ্চলে পানি রাখার পাত্র হিসেবে শুধুমাত্র কলসীর ব্যবহার ছিল ব্যাপক। কলসী বর্তমানে মাটি ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হলেও পিতলের তৈরি কলসীর প্রচলন ছিল ব্যাপক। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সময় ও কালের বিবর্তনে মাটি ও পিতলের তৈরি কলসীর প্রচলন নাই বললেই চলে। বর্তমানে আধুনিক যুগে প্লাস্টিকের ও কাঁচের তৈরি পানির পাত্র ব্যবহার করা হয়। প্লাস্টিকের কারনে মাটি ও পিতলের তৈরি কলসী এখন বিলুপ্তর পথে।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার পোস্ট দেখার জন্য ও পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | Oneplus |
---|---|
ধরণ | ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি কলসী |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @riyan1020 |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@riyan1020.
মাটির তৈরি কলসি নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই, আগের যুগে অনেক মানুষ মাটির তৈরি কলসি ব্যবহার করতো,তবে এই মাটির তৈরি কলসি তেমন দেখা যায় না। এই কলসিতে পানি আনা হতো, আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
আজ থেকে প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে আমি আমাদের বাড়িতে এই মাটির কলসি দেখেছিলাম। কালের বিবর্তনে এখন এসব মাটির কলসি হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির পিতল তামা তৈরি সব হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশের মানুষ পানি সংরক্ষণ করত কলসিতে করে কলসিতে পানি রাখার কারনে পানি অনেক শীতল থাকত। মাটির তৈরি কলসি আমাদের একটি ঐতিহ্য। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি ঐতিহ্য নিয়ে কথা শেয়ার করার জন্য।
আগের যুগে মাটির তৈরি কলসীর ব্যবহার ব্যাপক ছিল। মাটির তৈরি কলসীতে পানি সংরক্ষণ করে রাখত পানি শীতল রাখার জন্য। আমাদের বাড়িতেও মাটির তৈরি কলসী আছে। যা অনেক আগের পূরাতন একটি কলসী। কলসী নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপন করছেন।
মাটির তৈরি কলসে আগেকার সময়ে পানি নিয়ে এসে রাখত।মাটির তৈরি কলস বা হাড়ি বলা হয়। কালের বিবর্তনে মাটির তৈরি কলস আর চোখে পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এক সময় মাটির কলসির ব্যবহার অনেক ছিল। ধীরে ধীরে প্রায় হারিয়ে গেছে। মাটির কলসিতে পানি রাখলে পানি ঠান্ডা থাকে। বর্তমানে কুমার রা আগের মত তেমন মাটির কলসি তৈরি করে না। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
মাটির তৈরি কলসি আমাদের পুরাতন ঐতিহ্য, মাটির তৈরি কলসে পানি খেলে গরমে ঠান্ডা পানি পাওয়া যায়। আগের দিনের মানুষ এই মাটির কলসিতে পানি খেত। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলো এই মাটির তৈরি কলসি।কলসি সাধারণত ব্যবহার করা হয় পানি রাখার জন্য বা পানি বহন করার জন্য।কলসি সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য