ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের চুলা।
মঙ্গলবার,
তারিখঃ ২৫শে এপ্রিল ২০২৩ ইং
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেমন আছেন? পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন আজ আমি সবার মাঝে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চুলা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
সাধারণত মাটি দিয়ে তৈরি চুলাকে মাটির চুলা বলে।প্রাচীন কালে রান্না করার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মাটির তৈরি চুলা। প্রাচীন কালে মানুষ রান্না করতে জানতো না তাই তারা সেসময় কাঠ জ্বালিয়ে সেই আগুনে খাবার পুড়ে খেত।কিন্তু একসময় মানুষ খাবার পুড়িয়ে খেতে খেতে শিখে চুলা বানানোর কৌশল। আর এই চুলা প্রথম বানোনো হয় মাটি দিয়ে।
মাটির চুলা তৈরি করা হয় এঁটেল মাটি দিয়ে। কারন এই মাটি আঠালো হয়।তাই এই মাটি দিয়ে সহজেই চুলা বানানো যায়। মাটির চুলা তৈরি করার জন্য এঁটেল মাটির সাথে তুষ ও পানি দিয়ে মাখতে হবে।অনেকে আবার তুষ এর পরিবর্তে ধানের পাতান ও ব্যবহার করে।মাটির সাথে এগুলো সব মিশিয়ে মন্ড করে নিতে হবে।এরপর নির্দিষ্ট জাগয়ায় চুলা বানানোর জন্য পরিমাপ মতো গর্ত করে নিতে হবে।গর্তের উপরে মন্ড করে রাখা মাটিগুলো হাত দিয়ে ধীরে ধীরে চুলার আকৃতি বানিয়ে নিতে হবে।এরপর মাঝ বরাবর চুলার মুখ কেটে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে এই চুলায় রান্না করা হয়। এভাবেই বানানো মাটির চুলা।
মাটি দিয়ে বিভিন্নরকম ছোট বড় মাটির চুলা তৈরি করা হয়।একচুলা, দুচুলা,কাটাচুলা ইত্যাদি। প্রতিটি চুলায় একটি করে জ্বালানি প্রবেশের গোল মুখ থাকে।মাটির তৈরি চুলায় সব ধরনের রান্না করা হয়।
- একচুলাঃ
একচুলায় সাধারণত একটি পাতিল বসিয়ে রান্না করা যায়। এই চুলায় জ্বালিয়ে প্রবেশের জন্য একটি মুখ থাকে।এই মুখে জ্বালানি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা হয়।আমাদের বাসায় আমরা একচুলাতেই বেশির ভাগ রান্না করে থাকি।
- দুইচুলাঃ
এই চুলায় একসাথে দুইটি পাতিল বসিয়ে রান্না করা হয়।এই দুইচুলায় অনেকে ধান ও সিদ্ধ করে থাকে।
- কাটা চুলাঃ
মাটির তৈরি কাটা চুলা সাধারণত একচুলা দুইচুলা উভয়েই হয়ে থাকে। এই কাটাচুলার উপরের অংশগুলো কাটা থাকে।কাটাচুলার একটি সুবিধা হলো এই চুলায় পাতিলে তেমন কালি হয় না।
একসময় রান্নার একমাত্র মাধ্যম মাটির চুলা হলেও এই মাটির চুলা আজ বিলুপ্তির পথে।এখন মাটির চুলার পরিবর্তে গ্যাসের চুলা ও ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহৃত হয়।গ্রামাঞ্চলে এখনো বেশিরভাগ বাসায় রান্নার কাজে মাটির চুলা ব্যবহৃত হলেও শহরে এর দেখা মেলে না বললেই চলে।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার পোস্ট দেখার জন্য ও পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | Oneplus |
---|---|
ধরণ | ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা। |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @riyan1020 |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@riyan1020.
মাটির তৈরি চুলা শুধুমাত্র গ্রামে দেখা যায়। আর গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জ্বালানি দিয়ে মাটির চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। আর শহরের মানুষ মাটির তৈরি চুলা ব্যবহার করে না। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
গ্রাম অঞ্চলে দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ একটি ভূমিকা পালন করে থাকে এই মাটির তৈরি চুলা। আর এই মাটির তৈরি চুলায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় কাঠ খড়ি খড় শুকনা পাতা গরুর গোবর ধান থেকে বাছাইকৃত পাতান। চুলা সম্বন্ধে অনেক কিছুই লিখেছেন ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
মাটির তৈরি মাটির চুলায় গ্রামের মানুষের রান্না করার জন্য একমাত্র ভরসা। মাটির চুলায় রান্না অনেক সুস্বাদু। আমাদের গ্রামের বাড়িতে এখনো মাটির চুলায় রান্না করা হয়। তবে শহরে মানুষ এই চলার সৌন্দর্য বুঝবে না, অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাটির তৈরি চুলা সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন। মাটির তৈরি চুলগুলো গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এসব চুলা রান্না করার ফলে রান্নার গুনাগুন অনেক ভালো থাকে রান্নার স্বাদ ও অনেক ভালো হয়।খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
গ্রাম অঞ্চলে মাটির চুলার প্রচলন আছে। কিন্তু শহরে এগুলো দেখা যায় না। মাটির চুলার রান্নার স্বাদ অতুলনীয়। আবার এতে কোনো ঝুঁকি থাকে না। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।
মাটির তৈরি চুলা গ্রামে বেশি দেখা যায়। আগে বেশি এই মাটির চুলা ব্যবহার করতো।মাটির তৈরি চুলা সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন। মাটির তৈরি চুলগুলো গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এসব চুলা রান্না করার ফলে রান্নার গুনাগুন অনেক ভালো থাকে রান্নার স্বাদ ও অনেক ভালো হয়।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে জানানোর জন্য ভালো থাকবেন।
#miwcc