"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ।
| তো বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক.... |
|---|
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আর আমাদের বাঙ্গালীদের প্রত্যেকের রক্তে মিশে আছে এই কৃষি। আমাদের দেশের প্রায় ৮০% মানুষ কিসের উপর নির্ভরশীল। এবং এই কৃষি কাজ করে কৃষকরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাই আমরা বলতেই পারি আমাদের রক্তে মিশে আছে এই কৃষি। আমাদের দেশের মাটি সবচেয়ে উর্বর এবং এই উর্বর মাটিতে আমরা যে ফসলেই ফলাই না কেন তা ভালোভাবে যত্ন নিলে তা সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। তাই তো আমাদের দেশ সবুজে ভরে রয়েছে। এবং আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এই উর্বর দেশে উর্বর মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি। এবং কৃষকরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই উর্বর মাটিতে আমাদের দেশের সোনার ফসল ধান চাষ করতেছে।
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে প্রত্যেকে কৃষির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাই আমরা বছরে দুই মৌসুমে ছয় মাস পরপর দুইবার ভিন্ন ভিন্ন ধান চাষ করে থাকে। এবং আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ভাষায় এই দুই মৌসুমকে বলা হয়ে থাকে ইরি ও হেউথ। এবং এই দুই মৌসুমের দুই বার ধান চাষ করার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যেমন, যেসব ধান মটর বা মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে চাষ করা হয়ে থাকে তাদেরকে বলা হয় প্রধানত ইরি ধান। এবং অপরদিকে যেসব ধান শুধু আকাশের পানি এবং মাঝে মাঝে মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে চাষ করা হয় তাদেরকে বলা হয় হেউথ। এখানে মেশিন দিয়ে বেশিটা পানি দেওয়ার লাগে না কিন্তু মাঝে মাঝে আকাশের পানি না হওয়ার কারণে মেশিনের সাহায্যে পানি দেওয়া হয়ে থাকে বিষয়টা আসলে এরকমেই।
 |  |
|---|
আপনারা উপরোক্ত দৃশ্যে যেগুলো দেখতে পারতেছেন এগুলো আমাদের বাসার খরের পুঁজ। আসলে আমাদের গ্রাম বাংলায় এটি বলা হয়ে থাকে। এবং এখানে দুই ধরনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে একটি হলো বড় অপরগুলো হলো ছোট এখানে দুটি ভাগ রয়েছে কারণ এই বর্তমানে যে মৌসুমের ধান চাষ করা হচ্ছে এগুলো ধানের খর অনেক বড় বড় আর্শ রেখে কাটা হয়। এবং এগুলো মেশিনের সাহায্যে মারা হয় না এগুলো হাত দিয়ে ডাঙ্গা হয় এবং গবাদি পশু বা মেশিনের সাহায্যে মাটিতে মেরে পুঁজ দেওয়া হয় এবং পুঁজগুলো অনেক বড় এবং সুন্দর করে বানানো হয়ে থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে এগুলো বসে এরকম ডিজাইন হয়েছে যা দেখতে বেশিটা ভালো দেখাচ্ছে না। কিন্তু যখন প্রথম অবস্থায় এগুলো বানানো হয় দেখতে অনেক সুন্দর লাগে ইনশাআল্লাহ পরবর্তী সময়ে আমি এর সুন্দর একটি দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
এখন আপনাদের মনে একটা খটকা লাগতে পারে কারণ খর গুলোর উপরে বাঁশের ঝিক দেওয়া হয়েছে কেন। এই ঝিক গুলো দেওয়ার কারণটা হলো যেন এই ছোট ছোট খরের পুঁজগুলোতে মুরগি ওঠে খরের মাথা গুলো নষ্ট করে দিতে না পারে। এর কারণও রয়েছে কারণটা হলো যদি এই মাথাগুলো নষ্ট হয় এবং বর্ষার মৌসুমে খরের ভিতরে পানি ঢুকে তাহলে পুরো খরগুলোই পচে যাবে। এর জন্যই খরের উপরে বাঁসের ঝিক দেওয়া হয়েছে। খরের এই সুন্দর দৃশ্য গুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কিন্তু ধীরে ধীরে এগুলো এখন হারিয়ে যাচ্ছে এখন মানুষ জমি থেকে আটি আকারে খড়গুলো এনে ওভাবেই রেখে দিচ্ছে। আমি ছোট থেকেই দেখে আসতেছি আমাদের বাসায় যখন ধান কাটা হতো তখন ওগুলো গবাদি পশু দিয়ে লোক লাগিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে খরের পুঁজ বানানো হতো। দৃশ্যগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর লাগতো এবং সময় গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কেটে যেত। আর এখন গ্রামের এই ঐতিহ্য গুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে চলেছে। তো বন্ধুরা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দেখা হবে আগামী এক গল্পে।
| ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
|---|
| ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
| বিষয় | ফটোগ্রাফি |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
🧡🧡🧡
আমার সম্পর্কে কিছু কথা:
আমি মো: খায়রুল ইসলাম। আর আমার ডাক নাম রিমন। আমি একজন ছাত্র। আমি লিখতে, পড়তে, খেলতে, ফটোগ্রাফি এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে শিখতে অনেক ভালোবাসি।..❤️..
can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
খড়ের পালা গ্রামের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে।আমাদের দেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।বছরে দুবার আমাদের দেশে ধান উৎপাদন করা হয়।আর এ ধান গাছ থেকে প্রাপ্ত খড়ও সংরক্ষণ করে রাখা হয়। খড় মূলত পালা দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। খড়ের পালার ভিতরে পানি ঢুকতে পারে না। তাই খড় সারা বছর ভালো থাকে। এই খড়গুলোকে গরু মহিষকে খাওয়ানো হয়।পাশাপাশি গৃহস্থলীর কাজেও ব্যবহার করা হয় । সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ
My Twitter link...
https://twitter.com/Rimonkhan03/status/1690265074932563968?t=hhCOp-PYHzxvHufJlqOLSQ&s=19
গ্রাম অঞ্চলে এমন খড় প্রায় দেখা যায়।আবহাওয়া সুন্দর মনে হচ্ছে সাথে আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে,সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন সব কিছু।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজে লিপ্ত। এবং গরু ছাগল পালনেও গ্রামের মানুষেরা বেশি উৎসাহী। গরু পালনের ক্ষেত্রে খড় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই গ্রামের মানুষ খড়গুলো গো খাদ্যের জন্য সংরক্ষণ করে রাখে। আর খড় সংরক্ষণের পদ্ধতি হিসেবে তৈরি করা হয় খড়ের পালা।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি পেশার সাথে যুক্ত। ধান কাটার পর মাড়াই শেষে, রোদ্রে শুকিয়ে খড় তৈরি করা হয়। এই খড় সংরক্ষণের জন্য পালা করে রাখা হয়। এই খড়ের পালা গ্রামগঞ্জের সৌন্দর্য। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ
গ্রাম অঞ্চলের খরের পুঁজ আমাদের ঐতিহ্য। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এইসব খরের পুঁজ আমরা দেখে আসতেছি। এই খরের পুঁজ অনেক মানুষ অনেক ভাবে দিয়ে থাকেন, বেশিরভাগ মানুষ এভাবেই খরের পুঁজ দেয় গোলাকার করে। খরের পুঁজ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালই লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
গ্রাম গঞ্জের ঐতিহ্যের ভেতর অন্যতম একটি হলো খড়ের পালা।সাধারণত গো খাদ্যের জন্য এসব খড়ের পালা গুলো তৈরি করা হয়। এসব খড়ের পালা গুলো সাধারণত কেউ গোল করে তৈরি করে আবার কেউ চতুর্ভুজ আকারে তৈরি করে থাকে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রাম অঞ্চলে খড়ের পালা খুব দেখা যায়। খড়ের পালা গ্রাম অঞ্চলের সৌন্দর্য। আমরা ইরি ধান কাটা মাড়া করার পর এই ধরনের খড় পেয়ে থাকি।খড় দিয়ে আমরা জ্বালানি হিসাবেও ব্যবহার করি।আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই। খড়ের পালা খুব সুন্দরও আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
খড়ের পালা গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই এইরকম খড়ের পালা রয়েছে। ফসল মাড়াই করার পর খড়গুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে পালা করে সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের এলাকায় এই খড়ের পালাকে পুজ বলে।ধন্যবাদ ভাইয়া খড়ের পালা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু